ফিচার

    নবাব শামসুল হুদা: জীবন ও সমকাল

    || ফারুক আহমদ || সৈয়দ শামসুল হুদা: জীবন ও সমকাললেখক: তাবেদার রসুল বকুলপ্রকাশক: নাগরী, সিলেটপ্রকাশকাল: ফেব্রুয়ারি ২০২২মূল্য: ৮৫০ টাকা।অনলাইন পরিবেশক:…

    Read More »

    গ্রন্থ আলোচনা::. নবাব শামসুল হুদা: জীবন ও সমকাল

    ।। ফারুক আহমদ।। সৈয়দ শামসুল হুদা: জীবন ও সমকাললেখক: তাবেদার রসুল বকুলপ্রকাশক: নাগরী, সিলেটপ্রকাশকাল: ফেব্রুয়ারি ২০২২মূল্য: ৮৫০ টাকা।অনলাইন পরিবেশক: রকমারি…

    Read More »

    সৈয়দপুর বংশদ্ভূত প্রথম এমপি সৈয়দ আবু হোসেন

    || আহমদ কুতুব || লণ্ডন, ২৩ মা‍র্চ : সাণ্ডারল্যাণ্ড মসজিদের খতিব, শায়েখ হাফিজ সৈয়দ ইমাম উদ্দিন, ডারলিংটন মসজিদের খতিব শায়েখ…

    Read More »

    নারীবৃক্ষ: নারীর আত্মপ্রত্যয়ী হয়ে ওঠার গল্পের সমাহার

    গ্রন্থালোচনা নাহিদ নেওয়াজ  নারীবৃক্ষ গল্পগ্রন্থটি লেখক লুনা রাহনুমার একটি অনবদ্য সৃষ্টি। এই বইটির পরতে পরতে সমাজ, সংসারের জীবন গাঁথা।নারীবৃক্ষ গল্পগ্রন্থের ১৬টি গল্প জুড়েই প্রেম, প্রণয়, বিনয়, ব্যক্তিত্ব যেন আমাদের চারপাশের মানুষগুলোকে বিশ্লেষণ করে।পাঠকের কাছে নারীবৃক্ষ গল্পগ্রন্থের প্রতিটি গল্পে নারী যেন বৃক্ষের মতো আগলে রাখে প্রতিটি সংসারকে। প্রতিটি গল্পে আছে নতুননতুন শিক্ষা, আছে বেঁচে থাকার অনুপ্রেরণা। জীবনযুদ্ধে জয়ের তৃষ্ণা কিংবা কঠোরের প্রচ্ছন্নে কোমলতার স্পর্শ। গল্পের পরতেপরতে বিচিত্র মানুষের সচিত্র অভিজ্ঞতা ও বাস্তবতা জীবনের সাধারণ কিছু ভুল থেকে নিজেদের সচেতন করে স্বাভাবিক ওসুন্দরের ইঙ্গিত দেয়। ভুলগুলো ঝরাপাতা কিংবা মরা ফুলের মতো খসে পড়ে জীবনকে অর্থবহ করে তোলার প্র‍য়াস রাখেনারীবৃক্ষ গল্পগ্রন্থের প্রতিটি গল্প। একজন নারী কীভাবে অগ্রসর হতে পারে অথবা অসহায় নির্ভরশীল নারী হঠাৎ কীভাবে সাহসী ও আত্মপ্রত্যয়ী হয়ে ওঠে, কিংবাভালোবাসার মানুষের কঠিন অপমানকে হাজার কষ্ট সত্ত্বেও তুড়ি মেরে উড়িয়ে দিয়ে আত্মশক্তিতে বলীয়ান ও আকর্ষণীয়ব্যক্তিত্বের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হতে পারে এসবই এই গল্পগ্রন্থ “নারীবৃক্ষের” প্রধান উপজীব্য। তাই পাঠকের কাছে গল্পের বইটি প্রকৃতইএকটি শিক্ষামূলক,জীবনদর্শী ও বাস্তবতার ছবিতে আঁকা একটি অসাধারণ অনুপ্রেরণার উৎস হতে পারে। এই গল্পগ্রন্থের প্রথম গল্প “তরুলতা“- যে তরুলতাদের জীবনের গল্প নীরবে আড়াল হয়ে যায় সমাজের নিয়মের বেড়াজালে। শুধুলতারা বুকে আগলে রাখে কিছু ব্যথাতুর স্মৃতি।শৈশব পার করে কৈশোরের উদ্দাম হওয়া লেগেছিলো তরু ও লতার জীবনে।ভালোবেসেছিল একে অপরকে। আর তাই কোন এক নিঝুম রাতে তরু লতাকে বিয়ে করেছিল। কিন্তু পরিবার মেনে নেয়নি।মর্যাদা ও শক্তির কাছে লতার পরিবার মাথা নত করে। দিব্যি কেটে যায় দিন, যেন কিছুই হয়নি। এ যেন বউ পুতুল খেলার মতো।তরুর সাথে লতার সংসার হয়নি। সমাজে নারীরাই সকল পাপের স্রষ্টা। ফলাফল কিছুদিন পর লতাদের চলে যেতে হয় গ্রামছেড়ে। কিন্তু তরুর কিছু হয় না, কখনো খবরও নেয়নি। আমাদের চারপাশের লতারা এভাবেই হেরে যায় ভালোবাসার কাছে, সমাজের নিয়মের কাছে। ছোটবেলা থেকে বাবা মা হারানো এতিম পারুর এ পৃথিবীতে একমাত্র ভালোবাসার আশ্রয় স্বামী শিপন। ভালোবাসার কাঙালপারু “মেন্দি মেন্দি ভালোবাসা” খেলা খেলে। মেন্দি মেন্দি ভালোবাসা গল্পে পারুর মনে সব সময় ভয় ও সংশয় কাজ করেশিপনকে হারানোর। শিপন যতই ভালোবাসে, পারু মরিয়া হয়ে ওঠে আরো ভালোবাসার জন্য। আর শিপন পারুর মাথার উপরছাদ হয়ে থাকে পরম ভালোবাসায়। বিশ্বাস ও ভরসার হাত দিয়ে পারুকে আগলে রাখে বুকের পাঁজরে। তিতির-রুশাপা দুই বন্ধুর জীবনের গল্প “প্রেমিক” – দুই বন্ধুর দুষ্টু মিষ্টি নিত্যদিনের খুনসুটির মাঝে হঠাৎ এসে জায়গা করে নেয়সুমাইয়া। রুশাপা ভালোবাসতো তিতিরকে। কিন্তু কখনো বলা হয়নি। একদিন খুব লাজুক কন্ঠে তিতির রুশাপাকে তারভালোবাসার মানুষের কথা বলে। সেই মানুষটি হলো সুমাইয়া। অভিমান ও চাপা কষ্ট বুকে নিয়ে তিতিরকে সুখে দেখে চলে গেলরাজশাহী। সেখানে রুশাপা একটি ছেলের প্রেমে পড়লেও তিতিরের স্মৃতি মাঝেমাঝেই তাকে কষ্ট দেয়। বহুদিন পর রুশাপাজানতে পারে সুমাইয়া ছেড়ে গেছে তিতিরকে। তিতির এখন এ্যাসাইলামে। আগপিছ কিছু চিন্তা না করে রুশাপার যুদ্ধ শুরু হয়তিতিরকে ভালোবাসার। তিতিরকে নিয়ে নতুন করে বেঁচে থাকার ইচ্ছে রুশাপার প্রবল হয়ে উঠে। তারা একসাথে ছিলো খুবকাছাকাছি। রুশাপা তিতিরকে আগলে রাখে বুকে। আর তিতির মনে সুমাইয়ার জন্য ভালোবাসা। এই দুইয়ের মাঝে তিতির আররুশাপা এক সাথে থেকেও যেন যোজন যোজন দূরত্বে বসবাস। ভালোবাসা যেমন মানুষকে উদার করে তেমনি মাঝে মাঝে করে তোলে হিংস্র,অপরাধী। ভালোবাসার লোভে স্বার্থপর হয়ে ওঠেমানুষ। তবুও কখনো অবসরে জীবনের হিসাব মেলাতে গিয়ে মানুষ অনুভব করে তার অপরাধ যা “ভালোবাসার দায়” গল্পে উঠেএসেছে। রুবার জীবনে সব আছে। কিন্তু তবুও সে শান্তি পায় না। কারণ একসময় সে ঠকিয়েছে সাগুফতাকে। যন্ত্রণার আগুনেদগ্ধ হয় রুবা। আজ বহু বছর পর তার এসব মনে পড়ছে। উচ্চবিত্ত পরিবারের সৌখিন আদুরে মেয়ে সাগুফতার সাথে প্রেম ছিলোতুষারের। এসব জেনেও রুবা ফোনে কথা বলতে বলতে প্রেমের ফাঁদে ফেলেছিলো তুষারকে।তারপর বিয়ে করে চলে এলোজাপানে। দীর্ঘ ১২ বছর পর আজ বড্ড খারাপ লাগছে সাগুফতার জন্য। নিজেকে অপরাধী লাগছে। ঘনিষ্ঠ বান্ধবী সীমারমাধ্যমে সাগুফতার করুণ কাহিনী শুনে রুবার কষ্টের পরিমাণ যেন আরো বেড়ে যায়। ধনীর দুলালী মেয়েটির এখন সংসার চলেমানুষের যাকাত ফেতরার টাকা দিয়ে। রুবা ভাবতে থাকে, এই মিলিয়ন ডলারের ফ্ল্যাট, এমন চাকচিক্যময় বিলাসবহুল জীবন, বাচ্চাদের ঝকঝকে ভবিষ্যত সবকিছুর সাথে সাগুফতা না থেকেও জড়িয়ে আছে। রুবা তুষারকে জানায় সে কথা। আর তাইভালোবেসে প্রেম নিয়ে আসা যৌবনের একজন মধুর নারীর জন্য গভীর একটা দীর্ঘশ্বাস আলগোছে বেরিয়ে আসে তুষারের জমাটবুকের ভেতর থেকে। “জয় পরাজয়ের দ্বৈত তলা” গল্পে সরলতার সুযোগে বিশ্বস্ত বান্ধবীর অবিশ্বাস্য বিশ্বাসঘাতকতার এক করুণ কাহিনী চিত্রিতহয়েছে। সামসুন্নাহারের মতো সুন্দরী, আত্মপ্রত্যয়ী, ব্যক্তিত্বসম্পন্ন একটি আপোষহীন মেয়ের বান্ধবী নীলু।নীলু শামসুন্নাহারকেভালোবাসলেও মেনে নিতে পারত না তার সফলতা ও গ্রহনযোগ্যতাকে। প্রতিটি বিষয়ের পরাজয় নীলু একটু একটু করে জমিয়েরেখেছিল বুকের ভেতরে। জীবন বড় বিচিত্র। কে আপন কে পর- এক জীবনে বোঝা বড় দায়। বিয়ের বেশ কিছু দিন পরশামসুন্নাহারের বাড়িতে বেড়াতে এসে চুরি করে নিল তার স্বামী নিজামকে। নিজের লাবন্যময়ী শরীর যেমন নারীর নিজের শত্রু, তেমনি পুরুষের অপ্রতিরোধ্য নারী বাসনাও তার সবচেয়ে বড় দুর্বলতা। এই দুর্বলাতাকেই কাজে লাগিয়ে সামসুর স্বামী নিজামকেসাত মাসের মাথায় বিয়ে করে নীলু। নীলুর তখন মনে হলো এই প্রথম সে সামসুর কাছে জিতে গিয়েছে। সামসুর সাথে নীলুরদেখা হলো মেলায়। নীলু আশা করেছিল সামসু তার কাছে আজ যা চাইবে তাই দেবে হাত ঢেলে। কিন্তু সামসু কখনো চেয়ে নেওয়ামানুষ নয়। সামসু বলে, ‘তোর জীবনে আমি দাতা হয়ে ছিলাম আগে, চিরকাল তাই থাকবো। আমি দিবো, তুই নিবি।আমারএঁটো তুই খাবি’। সামসু চলে যায়। জয় পরাজয়ের হিসেবে কে আসলে জয়ী হলো এই হিসেবটা নতুন করে কষতে থাকে প্রতারকবোকা নীলু। বিয়ের বারো বছর পরেও নাদিয়া মা হতে পারেনি। তাই বাড়িতে তার তেমন কোন কদর নেই। নিত্যদিনের রান্না, খাওয়া, সংসারসবই আছে নাদিয়ার, নেই শুধু উঠোন জুড়ে খেলে বেড়াবার মতো একটা বাচ্চা কিংবা মা বলে ডাকে এমন কোন সন্তান। কিছুকিছু মেয়ের গোটা জীবনটাই ট্রাজেডির মতো। বয়স হলে বিয়ে কেন হচ্ছে না, বিয়ে হলে বাচ্চা কেন হচ্ছে না, বাচ্চা হলে মেয়ে কেনহলো, মেয়েটা দেখতে মায়ের মতোই কালো। “নারীবৃক্ষ” গল্পের নাদিয়ার জীবন যেন প্রকান্ড একটা শূন্যের মতো স্থির। মাঝেমাঝে সে ভাবে, এই সংসারের প্রতি মানুষের এতো মায়া জন্মায় কেন! টানটা আসলে কোথায়!কিসের জন্য মানুষ বেঁচে থাকে? সন্তানহীন নাদিয়া ঘরের এক একটি পুরোনো আসবাবপত্রের মতোই এখন নিতান্ত সাদামাটা আর বিশেষত্বহীন এই সংসারে।উঠোনে তার প্রিয় একটি সজনে গাছ আছে। পুরো বাড়ি জুড়ে রাতের নীরবতার শব্দ। ঘর থেকে বেরিয়ে উঠোনে এসে দাঁড়ায়নাদিয়া। সাদা ফুলে ছেয়ে যাওয়া সগৌরবে দাঁড়িয়ে থাকা সজনে গাছটিকে নাদিয়ার মানুষ মনে হয়। একজন নারী। ফুল-ফল-ছায়া আর বিশুদ্ধ বাতাস দিয়ে চারপাশের সবাইকে কেমন পরিতৃপ্ত করে রেখেছে নারীবৃক্ষটি যা পারেনি নাদিয়া। “পাখি তুমি উড়ে যাও, শব হয়ে নিভে যাও” – গল্পে এক সংগ্রামী নারীর করুণ জীবন কাহিনী বিধৃত হয়েছে। সন্তানদেরসুশিক্ষায় শিক্ষিত করার স্বপ্নে স্বামী-মরা নাজমার আপোষহীন জীবন যুদ্ধের গল্প। তার অসহায় জীবনে গ্রামের পুরুষ কেউ কেউসাহায্যের হাত বাড়াতে চায়। কিন্তু সহানুভূতির হাতগুলো থাকে ভীষণ নোংরা। স্যাতস্যাতে সাপের লিকলিকে জিহ্বার মতোশরীরের নানান খাঁজে-ভাজে আড়ালে আবডালে ছোবল মারতে চায়। আত্মসম্মানের সাথে আপোষহীন নাজমা পাড়ি জমায়ইসলাম ধর্মের লীলাভূমি সৌদি আরবে। দালালরা তাকে হাসপাতালে চাকরি দেওয়ার কথা বললেও তাকে নিয়ে যাওয়া হয়বাসাবাড়িতে কাজের জন্য। তবে দেশের হায়েনাদের হাত থেকে রক্ষা পেলেও রক্ষা পায় না পূন্যভূমি আরবের পুরুষদের ছোবলথেকে।অনাহার, অর্ধাহার, নির্যাতন, রাতের আঁধারে কখনো বাবা, কখনো ছেলের শরীরের চাহিদা মেটাতে মেটাতে ক্লান্ত নাজমাএকদিন জীবনযুদ্ধে হার মানে।লোক জানাজানি হবে দেখে বাড়ির মালকিন ছাদ থেকে ধাক্কা মেরে ফেলে দেয় গর্ভবতী নাজমাকে।দেশে পড়ে রয় তার স্বপ্নময় দুটি সন্তান ও মা। জীবনের বাঁকে বাঁকে রহস্য। প্রতিটি মানুষের জীবনই এক একটি গল্প। লক ডাউনে মানুষ যখন ঘরবন্দী, অফিস যখন ঘরে-ওয়ার্কিং ফ্রম হোম এমন সময়ের একটি গল্প “ব্যবকলন” – রুবিনা ও শাহেদ কর্মজীবী দম্পতি। দুজনেই ঘরে বসে অফিস করে।শাহেদ যখন মর্নিং ওয়ার্ক করে রুবিনা তখন সকালের নাস্তা বানায়। অফিসের ফাঁকে বিরতিতে শাহেদ যখন বিশ্রাম নেয় রুবিনাতখন দুপুরের রান্না করে। বাচ্চারা ঘরে থাকায় বাচ্চাদের নানান রকম চাহিদা মেটাতে হয়। নতুন নতুন রান্না করে খাওয়াতে হয়।শাহেদ থাকে নিজের মতো, যেন অফিসে আছে যেখানে বসে বাচ্চা বা স্ত্রীর সাথে কথাও বলা যায় না।রুবিনার কঠোর পরিশ্রমে, তাদের দুজনের দীর্ঘ সংগ্রামে সংসারের অবস্থা ফিরেছে। তবে এখন বিলাসী এই জীবনে অবসরের সময়টুকুতে একে অন্যের পাশেথেকেও আনন্দ পায় না তারা। রুবিনার আয় করা ডলারে তাদের বাড়ির মান্থলি মর্টগেজ, কাউন্সিল ট্যাক্স, মোবাইল বিলসহআরো অনেক খরচ যায় বাকি ডলার ট্রান্সফার হয় শাহেদের একাউন্টে যা রুবিনা পছন্দ করে না।পরিশ্রান্ত রুবিনা চাকরি ছেড়েদিতে চায়। শাহেদ তাতে বাধ সাদে। দিন দিন দুটি মনে পরস্পরের প্রতি অরুচি বাড়তেই থাকে। রুবিনা সিদ্ধান্ত নেয় সে শাহেদেরসাথে থাকবে না। যেহেতু বাড়ির দায়িত্ব ও খরচ রুবিনা সামলায় সেহেতু রুবিনা শাহেদকে চলে যেতে বলে। বুক ভরে নিঃশ্বাসনিয়ে কিছুদিন বাঁচার ইচ্ছে রুবিনার। হয়তো এটাই তার নিজের জন্য নিজের দেওয়া সেরা উপহার- শান্তি! “যদিও সে চেয়েছিল কাছে থাকতে” – গল্পটিতে কে চেয়েছিল? কৃতজ্ঞতা না ভালোবাসার জন্য কাছে থাকতে চেয়েছিল? একসাথে কি দুজন কে ভালোবাসা যায়? গল্পের নায়িকা সায়মা ভালোবাসার জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করে। ম্যাকডোনাল্ডাইসে কঠোরপরিশ্রম করে প্রতিষ্ঠিত করেছিল প্রানপ্রিয় স্বামীকে। বুকে আগলে রেখেছিল সন্তানদের। এতোদিন পর স্বামী যখন চাকরি পেলতখন যেন তাদের জীবনে আনন্দের ঢেউ বয়ে গেল। কিন্তু কে জানতো এই আনন্দের ঢেউয়ের নোনা জলে ভেসে যাবে তারসংসার। ক্ষয়িষ্ণু হয়ে পড়বে ভালোবাসা। সাগরের তীরে পরিচয় হলো এক দম্পতির সাথে তাদের। দম্পতিটির স্ত্রীর বয়স অনেককম। কিছুদিনের মধ্যে তাদের মাঝে আত্মীয়তার সম্পর্ক তৈরি হলো। সায়মা রাইমাকে নিজের বোনের মতো আদর স্নেহ আরভালোবাসার সব অধিকার দেয়। একদিন এই রাইমা তার স্বামীর সাথে ডিভোর্স করে থেকে গেল সায়মাদের বাসায়। হঠাৎ করেএতোদিন পর অবিশ্বাসের ছুরি বুকে বসিয়ে চিরচেনা স্বামী মুহুর্তে অচেনা হয়ে যায়। মেয়ের বয়সী রাইমাকে বিয়ে করতে চায়পাভেল। ধর্মের নানা অযুহাত দেখিয়ে সায়মাকে বোঝানোর চেষ্টা করে। কিন্তু পাভেল এক সাথে দুজনকেই চায়। এখন সায়মারচেয়ে রাইমাকেই তার বেশি ভালো লাগে। তবু সে দুজনের সাথে থাকতে চায় সায়মার প্রতি তার অশেষ কৃতজ্ঞতা থেকে।আত্মসম্মানে আঘাত লাগে সায়মার।সন্তানদের নিয়ে আবারো ফিরে আসে ঘিঞ্জি সেই ছোট্ট ঘরটিতে। শুরু করে আবারও কাজ।সেই জীবনযুদ্ধ, সন্তানদের আঁকড়ে বেঁচে থাকার প্রতিজ্ঞা।সায়মার জীবনের গল্প যেখান থেকে শুরু হয়েছিল ঠিক সেখানেই এসেথেকে গেছে। তবু হাল ছাড়ে না সায়মা। তিন বন্ধুর প্রেমের গল্প “দ্বিতীয় সম্পর্ক”…

    Read More »

    বাংলাদেশের চা-এর সম্রাট এখন লণ্ডনে

    ।। আহমেদ রুবী ।। বাংলাদেশের চা সম্রাট সম্বন্ধে লিখতে গেলে প্রথমেই ১৬৯টি চা বাগান সম্বন্ধে লিখতে হয়। এতে জড়িয়ে আছে…

    Read More »

    আমাদের বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ড

    ।। সৈয়দ হিলাল সাইফ ।। দূরের গ্রহ নক্ষত্রের দূরত্ব বোঝাতে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ‘আলোক বর্ষ’ শব্দটি ব্যবহার করা হয়। সৌরজগতের বাইরে…

    Read More »

    পর্যটন: শ্রীভূমি সিলেট

    ।। মুহাম্মদ শামসুল ইসলাম সাদিক ।। সুজলা-সুফলা, শস্য-শ্যামল অপরূপ সৌন্দর্যে ঘেরা এই বাংলাদেশ। আমাদের দেশে প্রতি প্রান্তরে ছড়িয়ে চিটিয়ে আছে…

    Read More »

    দৃষ্টিনন্দন হোয়াইটচ‍্যাপল স্টেশন একটি নতুন যুগের প্ল‍্যাটর্ফম

    ।। সৈয়দ হিলাল সাইফ ।। লেখক: ছড়াকার ও সাংবাদিক। লণ্ডন, ১৪ সেপ্টম্বর : টাওয়ার হ্যামলেটস বারার সব’চে ঘনবসতিপূর্ণ এবং ব্যস্ততম…

    Read More »

    স্মরণ: বীর মুক্তিযোদ্ধা ম আ মুক্তাদীর

    ।। মো. গয়াছুর রহমান গয়াছ ।। লেখক: রাজনীতিক ও সমাজসেবক। সত্তর ও আশির দশকের আপোসহীন ছাত্রনেতা, সিলেটও জাতীয় দাবী-দাওয়া আদায়ে…

    Read More »

    জিসিএসইতে লণ্ডন এণ্টারপ্রাইজ একাডেমীর অভাবনীয় সাফল্য

    লণ্ডন, ৮ সেপ্টম্বর : লণ্ডন এন্টারপ্রাইজ একাডেমীর যাত্রা শুরু হয় মাত্র ২০১৪ সালে। একটি নতুন ফ্রি স্কুল হিসেবে অনেক চ্যালেঞ্জ…

    Read More »
    Back to top button
    Close
    Close