ফিচার

ফরীদ আহমদ রেজা: এক দূরগামী স্বপ্নদ্রষ্টা

সুহৃদ-শুভার্থীদের শুভেচ্ছা ও ভালোবাসায় লণ্ডনে ৭১তম জন্মদিন উদযাপন

|| কাইয়ূম আবদুল্লাহ ||
লেখক: কবি ও সাংবাদিক। সাপ্তাহিক সুরমার বার্তা সম্পাদক।

ফরীদ আহমদ রেজা। কবি ও কলামিস্ট। সাহিত্য-সাংস্কৃতিক অঙ্গনে আমরা তাকে এই পরিচয়েই চিনি। কিন্তু মেধা ও মননে তাঁর জীবনাচরণের ব্যাপ্তি আরো বর্ণাঢ্য ও বিস্তৃত। মানুষগড়ার কারিগর হিসেবে শিক্ষকতা পেশায় কেটেছে জীবনের উল্লেখ্যযোগ অংশ। সমাজচিন্তা সেই ছোটবেলা থেকে মনে বাসা বেঁধেছিলো বলেই মাধ্যমিক স্কুলে থাকাবস্থায় জড়িয়ে পড়েন ছাত্র রাজনীতিতে। একটি আদর্শিক ছাত্ররাজনীতির প্রাথমিক পর্যায় থেকে শীর্ষ পর্যায়ে যোগ্যতার সাথে নেতৃত্ব দিয়ে বহুক্ষেত্রে ইতিবাচক ইমেজ গড়তে সক্ষম হন। কিন্তু আনুগত্যের নামে অযাচিত কর্তৃত্বপরায়নতাকে মেনে নিতে পারেননি বলে সেখানে ছেদ পড়ে। তারপর আবার শিক্ষকতায় প্রবেশ। পুরোপুরি মনন চর্চায় মনোনিবেশ। তাঁর এই মনন চর্চা থেকে মানবিকতা, সামাজিক অসঙ্গতি পাঠককে মুক্ত ও উদার চর্চার চিন্তার খোরাক যোগাচ্ছে প্রতিনিয়ত। সব ধরনের পশ্চাদমুখী ধ্যান-ধারণা থেকে সচেতনভাবে নিজেকে মুক্ত রাখার প্রচেষ্টা তাঁর লেখা, বক্তৃতা ও আলোচনায় প্রাধান্য পায়। ফরীদ আহমদ রেজার প্রখর সমাজচিন্তা এবং বহুমুখী প্রতিভা ইতোমধ্যে তাকে একজন অনুকরণীয় ব্যক্তিত্বে পরিণত করেছে।

ভরা ব্রিটিশ সামারে বৃষ্টি! তাহলে কি প্রকৃতিও ভালোবাসায় ভিজিয়ে দিতে চেয়েছিলো কবির রোমান্টিক মনোজগত। তাও হতে পারে। কারণ বৃষ্টিবন্দনা করেননি বাংলা ভাষায় এমন কম কবিই রয়েছেন। বৃষ্টি যে নদী, হাওর বেষ্টিত বদ্বীপ বাংলার নর-নারীর মনেও পুলক সঞ্চারী, তাও বলার অপেক্ষা রাখে না। সে যা-ই হোক, ভর বৃষ্টিদিনে জন্মদিনের শুভেচ্ছাস্নাত হলেন কবি। তিনি শুধু কবিই নন, গদ্য লেখকও এবং শুরু থেকেই রয়েছেন সাংবাদিকতার সাথে জড়িত। বৃষ্টিকে উপক্ষো করেই সবাই এলেন তাদের প্রিয়জন, কবিকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাতে। লণ্ডন বাংলা প্রেসক্লাব কার্যালয়ে ৩০ জুলাই, রোববার বিকেলে সর্বস্তরের সুহৃদ-সহকর্মী ও শুভার্থীদের হার্দিক ভালোবাসা এবং ফুলেল শুভেচ্ছায় সিক্ত হন ফরীদ আহমদ রেজা। যথারীতি কেক কেটে, ফুল এবং উপহার প্রদানের মাধ্যমে উদযাপন করা হয় তাঁর ৭১তম জন্মদিন। অনেকের শুভেচ্ছা ও মূল্যায়নধর্মী বক্তব্যে ওঠে আসে তাঁর সমাজচিন্তা, সাহিত্যভাবনা ও লেখালেখির ইতোবৃত্ত।

সুরমা সম্পাদক ও গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব শামসুল আলম লিটনের সঞ্চালনে একে একে শুভেচ্ছা জানালেন উপস্থিত বিশিষ্টজনেরা। বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও ভয়েস ফর বাংলাদেশীজ‘র চেয়ার ড. হাসানাত এম হোসাইন এমবিই একটি ইংরেজী কবিতার মাধ্যমে কবিকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, তিনি আমাদের জন্য উপহার। বিলেতের প্রাচীনত সংবাদপত্র জনমত সম্পাদক ও কমনওয়েলথ জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের সহ-সভাপতি বিশিষ্ট সাংবাদিক সৈয়দ নাহাস পাশা তাদের পারিবারিক বন্ধন ও সম্পর্কের স্মৃতিচারণের পাশাপাশি ফরীদ আহমদ রেজার গদ্যের প্রশংসা করে কবিতার চেয়ে গদ্য বেশী লেখার অনুরোধ জানান। চ্যানেল এস‘র প্রতিষ্ঠাতা চেয়ার মাহী ফেরদৌস জলিল তাঁর উদ্যোগে প্রকাশিত কোরআন শরীফের সহজ বঙ্গানুবাদ প্রজেক্টে ফরীদ আহমদ রেজার সহযোগিতার কথা তুলে ধরে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। অধ্যাপক আব্দুল কাদির সালেহ জন্মদিনে শুভেচ্ছাস্নাত ফরীদ আহমদ রেজার জীবন ও কর্মের উপর সংক্ষেপে আলোকপাত করেন। টাওয়ার হ্যামলেটসের মেয়রের উপদেষ্টা ও লণ্ডন বাংলা প্রেসক্লাবের সাবেক সেক্রেটারি সাংবাদিক মুহাম্মদ জুবায়ের সেই সিলেটে থাকাকালে বিশিষ্টজনদের কাছে ফরীদ আহমদ রেজার শক্তিমান লেখক সত্ত্বা ও সদ্বগুণাবলীর কথা শোনার কথা তুলে ধরেন। লণ্ডন বাংলা প্রেসক্লাবের ট্রোজারার সালেহ আহমদ অধুনালুপ্ত লণ্ডন থেকে প্রকাশিত একমাত্র দৈনিক “বাংলাদেশ প্রতিদিন”-এ কবির সাথে কাজ করার স্মৃতিচারণ করেন। “নীলু’র জন্য কবিতা” শীর্ষক কবিতার একটি পর্ব আবৃত্তি করেন আবৃত্তিশিল্পী সোমা দাস। কবিতাটির শেষ স্তবক ছিলো— “তোমার গানের সুরে ঘুমন্ত সহিস/ জাতীয় সঙ্গীত মুখে চোখ তুলে চায়।”  আর কবির অনুজ বিশিষ্ট কবি আহমদ ময়েজ বড় ভাই ফরীদ আহমদ রেজার কাব্যসাহিত্যের নানাদিক নিয়ে আলোকপাত করেন।

আয়োজক সংগঠন “অখণ্ড বাংলাদেশ আন্দোলন”র প্রধান এবং “দ্যা গ্রেইট বেঙ্গল টুডে”র প্রধান সম্পাদক হাসানাত আরিয়ান খান গুণীজন ফরীদ আহমদ রেজার জন্মদিনকে উপলক্ষ করে তাকে সম্মান জানাতে পারায় আনন্দ প্রকাশ করেন এবং ভবিষ্যতে এধরনের আরো গুণী ব্যক্তিদের নিয়ে নান্দনিক আয়োজনের আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ও বক্তব্য রাখেন শিক্ষাবিদ শাহ আলম, সাপ্তাহিক সুরমা ইংলিশ সেকশনের সম্পাদক সৈয়দ মামনুন মুর্শেদ, হবিগঞ্জ প্রেসক্লাবের প্রধান উপদেষ্টা ও মুক্তিযোদ্ধা কমাণ্ডার এম এ রব, কবির আরেক অনুজ প্রাবন্ধিক ও কমিউনিটি এক্টিভিস্ট আহমদ কুতুব, মাওলানা রফিক আহমদ, সাংবাদিক ও কমিউনিটি এক্টিভিস্ট বদরুজ্জামান বাবুল, সাংবাদিক মুহিতুর রহমান বাবলু, সাংবাদিক মাহবুব খানসুর, সুরমার স্পোর্টস রিপোর্টার কবি মুহাম্মদ শরীফুজ্জামান, লণ্ডন বাংলা প্রেসক্লাবের ইভেন্ট এণ্ড ফেসিলিটিজ সেক্রেটারি সাংবাদিক রেজাউল আলম মৃধা, সাংবাদিক আমিমুল ইসলাম তানিম, প্রবাসী অধিকার পরিষদের জামান সিদ্দিকী প্রমুখ।

কবি ফরীদ আহমদ রেজা সপরিবারে বিলেতের স্থায়ী বাসিন্দা হয়েছেন দীর্ঘদিন থেকে। বিলেত জীবনকে আমরা সাধারণতঃ পরবাস হিসেবেই দেখে আসছি। কিন্তু তিনি এক্ষেত্রে এক ব্যতিক্রম ব্যক্তিত্ব। তাঁর লেখা ও বক্তৃতায় এসব পশ্চাদভাবনা পরিহারের উপদেশ পাওয়ার পাশাপাশি এই বিলেত ভূমিকে নিজেদের দেশ হিসেবে আপন করে নেবার জোর সবক পাই। তাকে বিভিন্নভাবে বলতে দেখেছি যে, আপনি নিজেকে যে পর্যায়ের মুসলমানই ভাবেন না কেন- সবকিছুর পরে আপনি একজন ব্রিটিশ-মুসলিম। যতোই বাঙালি ভাবুন না কেন আপনাকে অবশ্যই ভুললে চলবে না আপনি একজন ব্রিটিশ-বাঙালি। তাঁর মতে, ধর্ম এবং জাতীয়তাকে মননে লালনের সাথে সাথে আপনি যে মাটির হাওয়া ও পুষ্টিতে বেড়ে ওঠছেন ও বিচরণ করছেন সেটিকে আপন করে নিতে হবে, কারণ সেটাই এখন আপনার অতন বা স্বদেশ। আর সেখানে যদি আপনার ধর্ম বা স্বীয় কালচারের প্রতিষ্ঠা করতে চান তাহলে সেটিকে পরিপূর্ণ ভালোবেসে এবং সেটির কল্যাণ কামনায়ই তা করতে হবে।

কাব্যকলার বিনির্মাণ কিংবা লেখক সত্ত্বার বিচারে ফরীদ আহমদ রেজা একজন আশাবাদী ও দূরগামী স্বপ্নদ্রষ্টা। তাঁর হতেই সৃজিত হয়েছে ব্যাপক পাঠক সমাদৃত এবং বলা যায় কালজয়ী কবিতা “যিসাসের আগমন অনিবার্য”। যথেষ্ট রোমান্টিক মননসমৃদ্ধ তিনিই বলেছেন- “যে ঘরে রমণী নেই সেই ঘর বিরাণ বসতি”।

লেখালেখির সূচনা থেকে নিরবধি সমান গতিতে চলছে ফরীদ আহমদ রেজার কলম। কবিতায় যেমন বিমূর্ত হয়ে চিত্রিত হয়েছে শৈল্পিক রোমাঞ্চ ও স্বপ্ন তেমনে কলাম ও গদ্য রচনায় সমাজ বাস্তবতা তুলে ধরে সমাজের প্রতি দিক-নির্দেশনা তাঁর লেখকসত্ত্বাকে শ্রদ্ধেয় ও সমাদৃত করছে গণমানসে।

ফরীদ আহমদ রেজা বর্তমানে বিলেতের প্রধানতম ও সর্বাধিক পাঠক সমাদৃত সাপ্তাহিক সুরমার প্রধান সম্পাদক। তাঁর জন্ম সমৃদ্ধ ভাটি বাংলার ঐতিহ্যবাহী জনপদ সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর থানার সৈয়দপুর গ্রামে। গ্রামে শৈশব কাটলেও তাঁর বেড়ে ওঠা নগরে নগরে ঘুরে ঘুরে। সিলেট থেকে ঢাকা অতঃপর বর্তমান বিশ্বের কসমপলিটান সিটি ল-নে। তারুণ্য থেকেই সাহিত্য ও ছাত্ররাজনীতি দুটোতেই সমান বিচরণ ছিলো, আছে। ছাত্ররাজনীতিতে জড়িয়ে যেমন রাজধানী ঢাকা ও শিল্পনগরী চট্টগ্রামসহ দেশের প্রায় সবকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তাঁর সাহসী ও মেধাবী পদচারণায় ছিলো মুখর। ঠিক একইভাবে সাহিত্য ও সাংবাদিকতাচর্চার ক্ষেত্রেও বেড়ে ওঠার স্মৃতিময় শহর সিলেট থেকে শুরু করে নগর ঢাকার সংবাদমাধ্যম ও সাহিত্যাঙ্গনে ছিলেন সমান সক্রিয়। একই সাথে সাংবাদিক ও সাহিত্যিকদের আড্ডায় আজও প্রাণ সঞ্চারী একজন সপ্রাণ-সখা। তবে একটি বিষয় লক্ষ্যণীয় যে, মরমী পারিবারের সন্তান হয়েও তিনি ব্যতিক্রম। তাঁর লেখালেখি একটু খেয়াল করে তাকালে দেখা যাবে, তিনি মরমী ধারার চেয়ে প্রকৃতি, সামাজিক টানপোড়েন ও রোমাঞ্চই তাঁর কাব্যচর্চা তথা লেখালেখিতে পরিস্ফুটিত হয় বেশী। অনেকদিন থেকে অনবরত লিখে চলেছেন ফরীদ আহমদ রেজা। কিন্তু সেদিক থেকে তাঁর লিখা গ্রন্থবদ্ধ হয়েছে কম। তবে ইতোমধ্যে তাঁর দুটি গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। ২০০০ সালে প্রকাশিত এই গ্রন্থ দুটি হচ্ছে যথাক্রমে- যিযাসের আগমন অনিবার্য’ (কাব্য) এবং ‘বিপরীত উচ্চারণ’ (প্রবন্ধ)।

নিজ গ্রামের পরিচিতি ও প্রসিদ্ধি নিয়ে আলাদা আত্মতৃপ্তী আছে ফরীদ আহমদ রেজার। তাঁর ভাষায় ‘বাড়ি কই? সৈয়দপুর’। সেই সুপরিচিত সৈয়দপুর গ্রামে ১৯৫২ সালের ৩০ জুলাই জন্ম গ্রহণ করেন এই বহুপ্রতিভার অধিকারী। ব্যক্তিগত জীবনে স্ত্রী, ২ ছেলে ও ২ মেয়ে সন্তান নিয়ে ফরীদ আহমদ রেজার সংসার। তাঁর দাদা ছিলেন বিশিষ্ট মরমী কবি পীর মজির এবং বাবা পীর মনফর উদ্দিনও কাব্যচর্চা করেছেন। বাবার তিরোধানে পর মা সৈয়দা সুফিয়া আহমেদের মাতৃত্বের মহীয়ান ছোঁয়া বহুদিন আলোকিত করে রেখেছিলো ফরীদ আহমদ রেজা ও তাঁর দুই ভাই ও চার বোনদের সংসার। তিনিও গত হয়েছেন মহামারি করোনাকালে। তাঁর দুই ভাইয়ের মধ্যে একজন সুপরিচিত কমিউনিটি এক্টিভিস্ট ও প্রাবন্ধিক পীর আহমদ কুতুব ও অপরজন শক্তিমান কবি আহমদ ময়েজ। বোনদের সবাই বাংলাদেশে বসবাস করছেন। কয়েক মাস আগে গত হয়েছেন বড়বোন কবি ফৌজিয়া কামাল।

জন্মদিনের সকল আনুষ্ঠানিকতা শেষে কবিকে বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হলো। সাথে গেলাম আমরা কয়েকজন। গাড়িতে বসেই তিনি অনুষ্ঠানে সময়ের অভাবে না বলতে পারা জন্মদিন বিষয়ক তাঁর গুরুত্বপূর্ণ অভিমত ব্যক্ত করলেন। তিনি বললেন, আনুষ্ঠানিক না হলেও ঘরোয়াভাবে আমরা জন্মদিন পালন করি। আমার ছেলে মেয়েরা আমাকে জন্মদিনের উইশ বা শুভেচ্ছা জানায়। আমিও তাদের নিয়ে বসে কথাবার্তা বলি এবং দোয়া করি। রাসুল (সা.) সোমবার জন্মগ্রহণ করেছিলেন বলে ওইদিন রোজা রাখতেন। আমাদের আলেম সমাজ জন্মদিন পালনকে নাজায়েজ মনে করেন। তারা এর পক্ষে একটি হাদিসের উদ্ধৃতি দিয়ে থাকেন এবং সেটি হচ্ছে— রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, “মান তাশাব্বাহা বি ক্বাওমিন ফা হুয়া মিনহুম” অর্থাৎ, কোনো ব্যক্তি যেই জাতির অনুকরণ করবে, সে তাদের অন্তর্ভুক্ত বলেই গণ্য হবে।

মূলত এর দ্বারা কারো ধর্মীয় কাজের অনুকরণ বোঝানো হয়েছে। অথচ জন্মদিন উদযাপন কোনো ধর্মীয় কাজ নয়। একই সাথে আমাদের আলেমগণ টাইকে ক্রস মনে করে তা পরা নাজায়েজ মনে করেন। অথচ সেই টাইও ক্রস তথা খ্রীষ্টানীটির প্রতীক নয়। আরো জানালেন, তিনি যে স্কুলে শিক্ষকতা করতেন সেই স্কুলের প্রধান শিক্ষক জানতে চাইলেন টাই পরতে কি কোনো সমস্যা আছে? আমি না বললে তিনি বললেন তাহলে টাই পরে আসবেন, ভালো দেখাবে। সেই থেকে আমি প্রায় দিনই টাই পরে যেতাম।

এভাবে নানা গুরুত্বপূর্ণ আলাপে আলাপে একসময় আমরা পৌঁছে গেলাম কবির বসতঘরের সামনে। আমি তাকে ফুল ও উপহার সামগ্রী সমেত ঘর পর্যন্ত নিয়ে গেলাম। ঘরের ভেতরে পা দিয়েই তিনি সালাম দিলেন- আসসালামু আলাইকুম! ভাবী অন্যরুমে থাকায় হয়তো প্রথমবার শুনেননি কিন্তু দ্বিতীয়বার সালাম দিতেই ভেতর থেকে জবাব এলো- ওয়াআলাইকুমুস সালাম।

সালাম অর্থ শান্তি এবং শান্তিময় সমাজ বিনির্মাণের স্বপ্ন কিংবা সত্যান্বেষণের শৈল্পিক প্রতিফলনই দেখতে পাওয়া যায় ফরীদ আহমদ রেজার প্রায় সকল লেখাজোখা বা সাহিত্যকর্মে।

Sheikhsbay

Related Articles

Back to top button
Close
Close