মুক্তকথা

অগ্নি সন্ত্রাসের জননী শেখ হাসিনা: আওয়ামী লীগের অগ্নি সন্ত্রাসের প্রমাণ

|| হাসনাত খান ||

বাংলাদেশের অবৈধ প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা থেকে শুরু করে আওয়ামী লীগের আতি নেতা, পাতি নেতা, সিকি নেতা, আধুলি নেতারা কথা বলতেই শুরু করেন, বিএনপি আগুন সন্ত্রাস চালায়, মানুষ পুড়িয়ে মারে ও গ্রেনেড হামলা চালায়, বিএনপি একটা সন্ত্রাসী জঙ্গি দল। এই মিথ্যা বলতে বলতে এটি এখন আওয়ামী নেতাকর্মীদের মুখের বুলি হয়ে গেছে। অথচ ইতিহাস বলছে, বাংলাদেশে প্রথম বাসে আগুন দিয়ে মানুষ মারার সংস্কৃতি চালু করে জঙ্গি দল আওয়ামী লীগ। ২০০৪ সালের শুক্রবার ৪ জুন হোটেল শেরাটনের সামনে বিটিআরসির যাত্রীবাহী দ্বিতল বাসে আগুন দিয়ে হত্যা করা হয় ১২ জন যাত্রীকে। পরদিন আওয়ামী লীগের হরতাল ছিলো।  শেখ হাসিনার ফুফাতো ভাই শেখ সেলিম নিজের মুখে স্বীকার করেছিলেন যে, শেখ হাসিনার সরাসরি নির্দেশে তৎকালীন যুবলীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর কবির নানক ও যুবলীগের সেক্রেটারি মির্জা আজমের পরিকল্পনায় বিটিআরসির যাত্রীবাহী দ্বিতল বাসে গান পাউডার ছিটিয়ে আগুন ধরিয়ে ১২ জন নিরীহ মানুষকে পুড়িয়ে মেরেছিলো যুবলীগ। ওই ঘটনার পরপরই রমনা থানা পুলিশ একটি মামলা করে। শফিকুল ইসলাম কালু নামে যুবলীগ অফিসের এক পিওনকে গ্রেপ্তার করে সেও গ্রেপ্তারের পর স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে নানক, আজম ও সাঈদ খোকনসহ আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতার নাম বলেন যারা এর পরিকল্পনা করেছিলো। ২০১৩ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠায় বিএনপির শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের সময় আন্দোলন নস্যাৎ করতে ও বিএনপির শান্তিপূর্ণ আন্দোলনকে ভিন্নখাতে নিতে কোটি কোটি টাকা ব্যয় করে আওয়ামী লীগ সরকার নিজেদের লোক ও গোয়েন্দা সংস্থাকে দিয়ে বাসে আগুন লাগিয়ে মানুষ পুড়িয়ে মেরে বিএনপির ওপর দোষ চাপিয়েছে। ২০১৭ সালের ১৭ ডিসেম্বর কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বলেছিলেন,  শেখ হাসিনা বলেন ‘খালেদা জিয়া মানুষ পুড়িয়ে মেরেছে। মূলতঃ হাসিনাই তার লোক দিয়ে মানুষ পুড়িয়ে মেরেছে।’আগুন সন্ত্রাসের সমস্ত ঘটনায় যে সরকারের লোকেরাই জড়িত সেটির অতীতে অনেক নজীর রয়েছে, তাদের লোকেরা সেটি স্বীকার করেছেন। বাসে পেট্রোল বোমা নিক্ষেপে চালকসহ ১১ যাত্রী নিহতের ঘটনায় বরিশাল-৪ আসনের সংসদ সদস্য ও কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক পঙ্কজ নাথ জড়িত। সংবাদ সম্মেলন করে নিজ দলের নেতার এ আগুন সন্ত্রাসের কথা তুলে ধরেন বরিশাল জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য মইদুল ইসলাম। এরকম বহু প্রমাণ আছে, আগুন সন্ত্রাস করেছে আওয়ামী লীগের লোক, কিন্তু মিথ্যা অপবাদ দিয়ে যাদের জেলে ঢুকিয়েছে, তারা বিএনপির লোক। এরকম আজগুবি ও গায়েবি মামলা কোন সভ্য দেশের সভ্য মানুষ কল্পনাও করে না। নিরপেক্ষ তদন্তের দাবীও শেখ হাসিনার অবৈধ সরকার মানছে না।

অবৈধ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার আওয়ামী লীগের অগ্নি সন্ত্রাসের আরও কিছু প্রমাণ এখানে তুলে ধরা হলো—

১) ২০০২ থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত ‘দ্যা নিউ এইজ’ একটা ইনভেস্টিগেশন রিপোর্ট করছিলো। এই সময় আওয়ামী লীগ বিআরটিসির ৫১টি বাস সম্পূর্ণ ধ্বংস করে। তার মধ্যে ২০টায় আগুন দেয়া হয়। বাকি ৩১টা ভাঙচুর করা হয়। (সূত্র: দ্যা নিউ এইজ, ১লা ডিসেম্বর)

২) ২২ আগস্ট ২০০৪ আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা ভৈরবে একটা ট্রেনে আগুন দেয়। ওই সময় ঘটনাস্থলেই একজনের মৃত্যু হয়।  এই ঘটনায় ট্রেনের ১২টি বগি পুরোপুরি ভস্মিভূত হয়ে যায়। (সূত্র: দ্যা ডেইলি স্টার, ২৩ আগস্ট)

৩) ১ জানুয়ারি ২০১৪ রাত পৌনে ৮টায় মাগুরা শহরের পারনান্দুয়ালি কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল থেকে পেট্রোল দিয়ে মাগুরা মহাসড়কের বাসে আগুন দেয়ার কালে আটক হন স্থানীয় ছাত্রলীগের ধর্মবিষয়ক সম্পাদক সাজ্জাদ মোল্লা ও লিমন এবং রানা নামে ছাত্রলীগের ৩ নেতা-কর্মী। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ তাদের পেট্রোল বোমাসহ গ্রেফতার করে। (সূত্র: প্রথম আলো, ২ জানুয়ারি)

৪) ২০ এপ্রিল ২০১৪ সকাল ৬: ৩০ মিনিটে চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বাসে আগুন দেয়। বিশ্ববিদ্যালয়ে শাটল ট্রেন চলাচল বন্ধ করে দেয়। পুলিশ এই ঘটনায় ৮ জন ছাত্রলীগ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করে। (সূত্র: কালের কন্ঠ, ২১ এপ্রিল)

৫) ৪ ডিসেম্বর ২০১৪ ঝিনাইদহে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের একটি বাসে আগুন দেয় স্থানীয় ছাত্রলীগের কর্মীরা। (সূত্র: প্রথম আলো, ৫ ডিসেম্বর)

৬) ১ জানুয়ারি ২০১৫ রাতে লক্ষ্মীপুর মহিলা কলেজের সামনে যাত্রীবাহী সিএনজিতে পেট্রলবোমা হামলা চালানো হয়, যাতে মারা যায় ২জন। ওই পেট্রলবোমা হামলায় স্থানীয় দর্জি দোকান কর্মচারী ও যুবলীগ কর্মী পিচ্চি রুবেল, শামীম, মাসুদ ও জেলা ছাত্রলীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক মুরাদ হোসেন জয়সহ ১০ থেকে ১২ জন অংশ গ্রহণ করেন। (শীর্ষ নিউজ ১ জানুয়ারি)

৭) ৬ জানুয়ারি ২০১৫ বিরোধী দলের অবরোধ চলাকালীন বাসে পেট্রোল বোমা ছুঁড়ে ৮ জনকে পুড়িয়ে মারে যুবলীগের জগন্নাথ ইউনিয়নের সভাপতি মানিক এবং তার অনুসারী বাবুল। (সূত্র: দ্যা নিউ এইজ, ৬ ফেব্রুয়ারি)

৮) ১০ জানুয়ারি ২০১৫ বেলা সোয়া ২টায় রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউস্থ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় অফিসের সামনে ৩টি হাতবোমা বিস্ফোরন হয়। এতে জড়িত থাকার অভিযোগে হাতে নাতে গ্রেফতার হয় সাদিক নামে এক আ’লীগ কর্মী, যদিও পরে পুলিশ ছেড়ে দেয়। (যুগান্তর, ১১ জানুয়ারি)

৯) ১২ ই জানুয়ারি ২০১৫ মুজিবুরে রহমান নামে একজন স্থানীয় আওয়ামী লীগ কর্মী যশোহর থেকে ঢাকাগামী পেঁয়াজবাহী একটি ট্রাককে দাঁড় করিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয় এবং পুলিশের হাতে ধরা পড়ে। (সূত্র: বাংলামেইল, ১৩ জানুয়ারি)

১০) ১৪ জানুয়ারি ২০১৫ রংপুর থেকে ঢাকাগামী একটি গাড়িতে আওয়ামী নেতাদের নির্দেশে দুর্বৃত্তরা আগুন দেয়। পুলিশ তাদের গ্রেফতার করলে পরে আওয়ামী লীগ নেতারা সুপারিশ করে তাদের ছাড়িয়ে নেয়।  (সূত্র: বাংলাদেশ প্রতিদিন, ১৫ জানুয়ারি)

১১) ২৩ জানুয়ারি ২০১৫ রাত নয়টায় রাজধানীর যাত্রাবাড়িতে পুলিশের সামনেই দুটি ককটেল ও দুটি পেট্রোল বোমা ছুঁড়ে যাত্রীবাহী বাসে আগুন দিয়ে আওয়ামী দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। এ সময় টহল পুলিশ পিকআপ ভ্যান থাকলেও পুলিশ তাদের পালিয়ে যাওয়ার সুয়োগ করে দেয়। (সূত্র: কালের কন্ঠ, ২৪ জানুয়ারি)

১২) ২৫ জানুয়ারি ২০১৫ ফেনী শহরের টেলিফোন ভবন থেকে ৭টি পেট্রোল বোমাসহ পৌর আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক আবদুল করিমের ভাতিজা আজিম উদ্দিনকে আটক করে পুলিশ। (দৈনিক দিনকাল, ২৫ জানুয়ারি)

১৩) ২৮ জানুয়ারি ২০১৫ মাধবদীতে পুলিশ পেট্রোল বোমাসহ মাসুম নামে একজন আওয়ামীলীগ কর্মীকে আটক করে। (সূত্র: দ্যা নিউ এইজ, ২৯ জানুয়ারি)

১৪) ১ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ রাজধানীর পান্থপথ এলাকায় বাসে পেট্রোল বোমা ছোঁড়ার সময় জসিম নামে এক আওয়ামী লীগ কর্মীকে পথচারীরা আটক করে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে জনতার হাত থেকে জসিমকে ছাড়িয়ে নিয়ে তাকে পালিয়ে যেতে সাহায্য করে। (সূত্র: সমকাল, ২ ফেব্রুয়ারি)

১৫) ২ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম এলাকায় ঢাকা কক্সবাজার রুটের একটা যাত্রীবাহী বাসে পেট্রোল বোমা ছুঁড়ে যুবলীগ। (সূত্র: দ্যা নিউ এইজ, ৩ ফেব্রুয়ারি)

১৬) ২ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ রাত দুইটায় চট্রগ্রামের টাইগার পাস এলাকা থেকে বিজিবি পেট্রোল বোমা ও ধারালো অস্ত্রসহ ৬ জন যুবলীগ কর্মীকে আটক করে। (সূত্র: সমকাল, ৩ ফেব্রুয়ারি)

১৭) ৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ রাতে র‌্যাবের অভিযানে চট্টগ্রামের টাইগার পাস রেলওয়ে কলোনী থেকে ৯টি পেট্রোল বোমা, ২টি ককটেল, ৭টি কিরিচ, ২টি রামদা, ৯টি লোহার পাইপ সহ ছয় ব্যক্তি আটক হয়। ঘটনার মূল হোতা মুন্না স্বীকার করে, সে নিহত যুবলীগ নেতা হুমায়ুন কবির মুরাদের ছোট ভাই এবং সে নিজেও আ’লীগ করে। (ইত্তেফাক, ৪ ফেব্রুয়ারি)

১৮) ৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ দুপুর ২টার দিকে কুষ্টিয়ার মিরপুরে পেট্রল বোমাসহ ছাত্রলীগের এক নেতাকে পুলিশ আটক করে। পরে অজ্ঞাত কারণে তাকে ছেড়ে দেয় পুলিশ। (আমার দেশ, ৭ ফেব্রুয়ারি)

১৯) ৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৫  বিকেল বেলা চুয়াডাঙা জেলার জীবননগর উপজেলার যুবলীগ কর্মী মিজানুর রহমানকে ৪টি পেট্রোল বোমাসহ পুলিশ আটক করে। (সূত্র: সমকাল, ৫ ফেব্রুয়ারি)

২০) ৪ ফেব্রুয়ারি ছাত্রলীগের অফিশিয়াল ফেইসবুক পেইজে লেখা হয়: ‘চিন্তা করে মামা কি ব্রেইন! পেট্রোল বোমা, ককটেল মারছি আমরা আর দোষ হচ্ছে বিএনপি ছাত্রদল আর জামায়াত শিবিরের। একেই বলে পলিটিক্স।’ ৪ ফেব্রুয়ারি দৈনিক যুগান্তর ‘ফেসবুকে পেট্রোল বোমা মারার দায় স্বীকার’  শিরোনামে ছাত্রলীগের ফেসবুক পোস্টের স্ক্রিণশট দিয়ে নিউজ করে। যা নিয়ে সারাদেশে তখন তোলপাড় হয়।  (সূত্র: যুগান্তর, ৫ ফেব্রুয়ারি)

২১) ৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ রাত ১১টায় কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার জগন্নাথ দীঘি ইউনিয়নের কেসকি মোড় এলাকা থেকে পেট্রোল বোমাসহ দুই যুবলীগের নেতাকে আটক করে পুলিশ, কিন্তু পরে ছেড়ে দেয়। (শীর্ষ নিউজ, ৪ ফেব্রুয়ারি)

২২) ৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ নারায়নগঞ্জের রূপগঞ্জের ছানাব এলাকায় ভুলতা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা লোকমান হোসেনের একটি ঝুটের গোডাউনে বোমা বানানোর সময় ইউনিয়ন ছাত্রলীগের নেতা রহমতউল্লাহসহ চারজন নেতা-কর্মী গুরুতর আহত হন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বিস্ফোরণের ঘটনার পর পরই ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের একাধিক নেতারা ঘটনাস্থলে এসে বিস্ফোরণের আলামত সরিয়ে ফেলেন। (যুগান্তর, ৫ ফেব্রুয়ারি)

২৩) ৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ সকাল ৬:৩০ টার সময় পুলিশ চট্রগ্রাম মহানগরীর সিজিএস কলোনীর আওয়ামী যুবলীগের ২৭ নাম্বার দক্ষিণ আগ্রাবাদের অফিস থেকে ১০টি পেট্রোল বোমা উদ্ধার করে। (সূত্র: বাংলা ট্রিবিউন, ৯ ফেব্রুয়ারি)

২৪) ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ দুপুর ৩টার বগুড়ায় বোমা বানানোর সময় বিস্ফোরণে সোহাগ (২২) নামে এক আওয়ামী লীগ কর্মীর ডান হাতের কব্জি বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়, আঙুল উড়ে যায়। আহত সোহাগ ছিলেন বগুড়া সদর উপজেলার গোকুল ইউনিয়নের বড়ধাওয়া গ্রামের সফিকুল ইসলাম সফিকের ছেলে এবং স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি গণি’র ভাতিজা। (সূত্র: শীর্ষ নিউজ, ১১ ফেব্রুয়ারি)

২৫) ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ফেণীতে পেট্রোল বোমাসহ আওয়ামীলীগ নেতার ভাতিজা ছাত্রলীগ নেতাকে আটক করা হয়। (সূত্র: শীর্ষ নিউজ, ২৫ ফেব্রুয়ারি)

২৬) ৭ মার্চ ২০১৫ টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে আওয়ামী লীগ নেতার বাড়ি থেকে পেট্রোল বোমা উদ্বার করে পুলিশ। (সূত্র: মানবজমিন, ৮ মার্চ)

২৭) ৮ মার্চ ২০১৫ সালে গাইবান্ধায় আওয়ামী লীগ নেতার বাড়ি থেকে ককটেল উদ্বার করে পুলিশ। (সূত্র: মানবজমিন, ৯ মার্চ)

দেখুন, কী বীভৎস চেহারা আওয়ামী লীগের! আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সুষ্ঠু স্বাভাবিক প্রক্রিয়া কিংবা ভদ্রতা, নম্রতা, সহনশীলতা কোনদিন কোন কালেই ছিলো না। জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার সাহেদ আলী হত্যাকান্ড দিয়ে যার শুরু হয়ে আজ অবধি চলছে। ২০১৩, ২০১৪ ও ২০১৫ সালে বিএনপি-জামায়াতের আন্দোলন দমনের নামে আওয়ামী লীগের অগ্নি-সন্ত্রাসে ৫শ মানুষ নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন প্রায় সাড়ে ৩ হাজার মানুষ। আগুন-সন্ত্রাসের শিকার হয়ে আগুনে ঝলসানো শরীর নিয়ে পঙ্গুত্ববরণ করেছে অগ্নি-সন্ত্রাসের শিকার হাজারো মানুষ। এই দলের কাছে শেখ হাসিনার কোন বিকল্প নাই। অগ্নি সন্ত্রাসের কথা তুললে আসলেই তার কোন বিকল্প নাই। শুধু বাংলাদেশে না, সারা বিশ্বেই তার কোন বিকল্প নাই। বিশ্বের কোন রাজনৈতিক নেতা আগুনে পুড়িয়ে পরিকল্পনা করে ১২ জন মানুষকে মেরে হরতাল কর্মসূচি সফল করার কর্মর্সূচি নিবে না,  কখনো না, কোনদিন না, কেউ না। সাইকোপ্যাথ ছাড়া কোন সুস্থ স্বাভাবিক মানুষ এটা করতে পারে না। অগ্নি সন্ত্রাসের জননী শেখ হাসিনা সেই নেত্রী, যার ক্ষমতার লোভের লেলিহান শিখায় পুড়ে গেছে মানবতা, পুড়ে গেছে রাষ্ট্র। যার নির্দেশে দেশজুড়ে সাধারণ মানুষের ওপর এক জোট হয়ে তাণ্ডব চালাচ্ছে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, ছাত্রলীগ, আতি লীগ, পাতি লীগ। আল্লাহ এই জাতিকে রক্ষা করুন। আমীন।

হাসনাত খান: সাংবাদিক ও সংবাদ বিশ্লেষক

Sheikhsbay

Related Articles

Back to top button
Close
Close