মতপ্রকাশ ও শান্তিপূর্ণ সমাবেশের অধিকার রক্ষার আহ্বান জাতিসংঘের
লণ্ডন, ৭ ডিসেম্বর: জাতিসংঘের একটি সদস্যরাষ্ট্র হিসেবে মতপ্রকাশ, গণমাধ্যম ও শান্তিপূর্ণ সমাবেশের স্বাধীনতাসহ মানবাধিকারের সর্বজনীন ঘোষণাপত্রে অঙ্গীকারের কথা বাংলাদেশকে স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত জাতিসংঘের আবাসিক প্রতিনিধি উইন লুইস।
বুধবার বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে দলটির নেতা–কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনার এক ঘণ্টা পর উইন লুইস এ বিবৃতি দেন। আগামী ১০ ডিসেম্বর মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে দেয়া এক বিবৃতিতে তিনি বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে পূর্ণ সহযোগিতা দেয়ার কথা পুনর্ব্যক্ত করেন।
বিবৃতিতে জাতিসংঘ দূত বলেন, এ বছর কোভিড মহামারি, ইউক্রেন যুদ্ধ এবং জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সারা বিশ্বে অসহায় মানুষ বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। মানবাধিকার ডিক্লারেশনে উল্লেখ আছে, প্রতিটি মানুষ জন্মগতভাবে স্বাধীন, সম্মান ও অধিকারের দিক থেকে সমান। জাতিসংঘ সব বাংলাদেশির সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে।
উইন লুইস বলেন, ১০ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস। এই দিনে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে মানবাধিকারের সর্বজনীন ঘোষণাপত্র গৃহীত হয়।
ঘোষণাপত্রে স্বাক্ষরকারী দেশগুলো ধর্ম, বর্ণ, লিঙ্গ, রাজনৈতিক ও অন্য যেকোনো বিষয়ে মতপার্থক্য দূরে রেখে বিশ্বের সবার মানবাধিকার রক্ষায় ঐকমত্যে পৌঁছায়।
উইন লুইস আরও বলেন, ‘করোনা মহামারি, রাশিয়া–ইউক্রেন যুদ্ধ ও জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে চলতি বছর সারা বিশ্বে অসহায় মানুষেরা সবচেয়ে বেশি ক্ষতির মুখে পড়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত এসব মানুষের মৌলিক মানবাধিকার, তাদের সুরক্ষা ও শান্তিতে বসবাস করার অধিকারের বিষয়টি আমাদের সবাইকে নিশ্চিত করতে হবে।’
জন্মগতভাবে সব মানুষ স্বাধীন এবং মর্যাদা ও অধিকারের ক্ষেত্রে সমান—সর্বজনীন ঘোষণাপত্রের এই বক্তব্য স্মরণ করিয়ে দিয়ে আবাসিক প্রতিনিধি বলেন, জাতিসংঘ বাংলাদেশের সব মানুষের সঙ্গে এ ব্যাপারে একাত্মতা প্রকাশ করছে এবং সবার সমান অধিকার, মর্যাদা ও স্বাধীনতার মূল্যবোধ সমুন্নত রাখতে অতীতের মতোই প্রতিশ্রুতিবদ্ধ আছে।