নিউজ

বিবিসি’র সামনে ‘নিরাপদ বাংলাদেশ চাই ইউকে’র মানববন্ধন

বাংলাদেশে মানবাধিকার নিয়ে যুক্তরাজ্য সরকারের নীরবতা নিয়ে প্রশ্ন!

সুরমা নিউজ। লন্ডন, ১৫ মার্চ। বাংলাদেশে ডিজিটাল সিকিউরিটি আইন বাতিল ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ফিরিয়ে দেওয়ার দাবিতে  গত ১৪ই মার্চ রোজ সোমবার দুপুর ১ঘটিকার সময় পূর্ব লন্ডনের আলতাব আলী পার্কে গনজমায়েত হয়ে কালো বেইস ধারন করে মৌন মিছিল সহকারে লন্ডন বিবিসি অফিসের সামনে গিয়ে মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। সংগঠনের সভাপতি মুসলিম খানের সভাপতিত্বে সেক্রেটারী তাহমিদ হোসেন খান ও সহ সেক্রেটারী আরিফ আহমদ এর যৌথ পরিচালনায় এতে শুরুতে কোরআন তেলাওয়াত করেন আসাদুল আহমদ, কালো বেইস পড়ে মৌন মিছিল  উদ্বোধন করেন বিশিষ্ট রাজনৈতিক নেতা সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপি সহ সভাপতি আশিকুর রহমান আশিক।

প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্হিত ছিলেন বিগত জোট সরকারের রাষ্ট্রপতির উপ প্রেস সচিব ও সাপ্তাহিক সুরমা পত্রিকার সম্পাদক শামসুল আলম লিটন,বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্হিত ছিলেন দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার সাবেক  নির্বাহী সম্পাদক অলি উল্লাহ নোমান, এনবিসি ইউকের সহ-সভাপতি মো: আসয়াদুল হক । আরো বক্তব্য রাখেন আলী হোসাইন, সৈয়দ মোজাক্কির আহমদ, করিম মিয়া,মো: আবু তাহের,মো: তরিকুল ইসলাম,মোর্শেদ আহমদ খান, ইস্ট লন্ডন বিএনপি নেতা আশিকুর রহমান, নওশিন মোস্তারি মিয়া সাহেব,মো: সাইফুর রহমান রাজু,আমিনুল ইসলাম মুকুল,আব্দুস সামাদ খান,হাবিবুর রহমান,মো: ফরহাদ আলী,মো: ইকবাল হোসেন,আবু জাফর আব্দুল্যাহ, মোহাম্মদ মাসুদুল হাসান, শেখ আবুল ফাত্তাহ , কাওছার আহমেদ চৌধুরী ,আলম আহমদ,মো:শাহরিয়ার ওয়াহেদ,আমিনুল ইসলাম,ইউসুফ আল আজাদ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে শামসুল আলম লিটন বলেন, আওয়ামী লীগ ডিজিটাল আইন তৈরি করে বাক স্বাধীনতা হরণ করেছে। তিনি শেখ হাসিনাকে লেডি হিটলার ও পুতিনের মানসকন্যা হিসেবে উল্লেখ করে তার ফ্যাসিবাদী শাসনের কবল থেকে ১৮০ মিলিয়ন মানুষকে রক্ষায় এগিয়ে আসতে বিশ্ববিবেকের প্রতি আহবান জানান।।

বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ও ৯০-এর গণঅভুত্থানে বিবিসি’র ঐতিহাসিক ভূমিকার কথা উল্লেখ করে শামসুল আলম লিটন বলেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বাংলাদেশ নিয়ে বিবিসির ভূমিকা হতাশাজনক। মানবাধিকারের সীমাহীন লংঘন, সরকারি বাহিনী ও দলীয় সন্ত্রাসীদের হাতে গুম খুন ও ডিজিটাল আইনের মাধ্যমে দমন পীড়নের ফলে সোনার বাংলা আজ শ্মশানে পরিণত হচ্ছে।লাখ লাখ বৃটিশ বাংলাদেশী তাদের স্বজনদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন। যুক্তরাজ্যের মানুষের ট্যাক্সের টাকায় পরিচালিত গণমাধ্যম হিসেবে বিবিসি এই বিষয়গুলোকে পাশ কাটাতে পারে না। যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি যেখানে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে সেখানে যুক্তরাজ্য সরকারও কোনো কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণে ব্যর্থ হয়েছে।

তিনি ইউক্রেন সংকটে  যুক্তরাজ্য সরকার ও বিবিসি’র ভূমিকায় সন্তোষ প্রকাশ করে বাংলাদেশে মানবাধিকার ও গণতন্ত্রের প্রশ্নে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণের আহবান জানান। তিনি অবিলম্বে বাংলাদেশে ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনে আটক সকল রাজবন্দী ও বিবেকবন্দির মুক্তি, গুমের সকল ঘটনার বিচারবিভাগীয় তদন্ত ও বিচারের দাবী জানান।


বিশেষ অতিথি ওলী উল্লাহ নোমান বলেন,এই কালো আইন তৈরি করে ফ্যাসিবাদী সরকার ক্ষমতায় টিকে আছে। মোঃআসয়াদুল হক বলেন, ডিজিটাল সিকিউরিটি আইন নিকৃষ্ট কালো আইন। সভাপতির বক্তব্যে মুসলিম খান বলেন, কালো আইন বাতিল ও বন্ধ গণমাধ্যমের খুলে দেওয়ার আহবান জানান।  

মানব বন্ধনে আরো উপস্হিত ছিলেন শফিউল আরফিন জুনেদ,মো: আমিনুর রহমান, মো: সৈয়দুল ইসলাম, রফিক আহমদ,ইসলাম উদ্দীন, সাহেল আহমদ, মঈনুল ইসলাম, সায়েম আহমদ, মো: আক্তার হোসেন, আজমল আলী, এহসানুল হক,শাহিন আহমদ, আজিজ আহমদ চৌধুরী, মো: জাহাংগীর আহমেদ, মো: আবুল কালাম আজাদ, জসিম উদ্দীন, মো: ফান্টু ,বিলাল আহমদ,মো: জাবেদ চৌধুরী, ছাবের আহমদ, তুহিন আহমদ, সালেহ আকরাম, মুসিবুর রহমান, ওমর সানি, মোছা: নিপা বেগম, মাজেদা আক্তার, আবুল কালাম আজাদ লস্কর, মির্জা সাইফুল, মির্জা মহি উদ্দীন, মির্জা এনামুল হক, মোহাম্মদ আনিছুর রহমান, মোহাম্মদ আলীম উদ্দীন, আবুল কালাম আজাদ লস্কর,সোহেল আহমেদ, ফারিয়া আক্তার সুমি,রেজাউল করিম,আহমদ আলী, শহিদুর রহমান, নুরুল ইসলাম মাসুদ, সাইদ আহমদ, মামুন মিয়া, মাহফুজ আহমদ চৌধুরী, ইকবাল হোসাইন, শারমিন আহমেদ, মো: নজমুল হাসান খান, তারেক হাছান, খন্দকার শামছুল আরিফিন, আকবর হোসাইন, আছাদ আহমদ, নাইমুল ইসলাম হিমেল, সাইদুজ্জামান, মো: হিফজুর রহমান, আব্দুল ওয়ালী শামীম,সফিউল আলম,জামিল উদ্দীন,রাহেল আহমদ,মোহাম্মদ মাহফুজুর রহমান, তাজ উদ্দীন,তামজিদুর রহমান,সালমান উদ্দীন,ইমরান আহমদ নাঈম,আব্দুল্লাহ মো: রায়হান,তানিম আহমদ,নুমান আহমদ,আহমদ আলী, সুমেনা বেগম ।

Sheikhsbay

Related Articles

Back to top button
Close
Close