ঢাকা অফিস ।। ২৯ অক্টোবর; ঢাকায় বিএনপি নেতৃত্বাধীন বিরোধী দল ও জোটসমূহের ২৮ অক্টোবরের হামলা সংঘর্ষ ও রক্তপাতের ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ডক্টর মঈন খান বলেছেন, একদিনেই বাংলাদেশের পুরো রাজনৈতিক দৃশ্যপট ব্যাপকভাবে বদলে গেছে।
ড. মঈন খান বলেন, শনিবার নয়াপল্টনে বিএনপির সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ মহাসমাবেশ নিয়ে আওয়ামী লীগ সরকার যে নৃশংস খেলা খেলেছে তাতে অবাক হওয়ার কিছু নেই।
বিএনপিকে এই শান্তিপূর্ণ মহাসমাবেশের অনুমতি দেওয়ার বিষয়ে সরকার গত কয়েকদিন ধরেই উদাসীন ছিল। তারপরও আগের রাতে প্রয়োজনীয় অনুমতি প্রদান করা হয়। মহাসমাবেশের পশ্চিম প্রান্ত থেকে কাঁদানে গ্যাসের শেল ছোড়া শুরুর আগ পর্যন্ত মহাসমাবেশ পুরোপুরি সুশৃঙ্খল ও শান্তিপূর্ণভাবে ঘণ্টার পর ঘণ্টা চলতে থাকে। তারপর আক্রমণের তীব্রতা বেড়ে যায় এবং বিস্ফোরণ ও গুলির শব্দসহ সহিংস আক্রমণ পুরো জায়গাটিকে একটি যুদ্ধক্ষেত্রে পরিণত করে। এটা স্পষ্ট যে, পুরো কৌশলটি পূর্বপরিকল্পিত এবং পূর্বকল্পিত ছিল এবং তারা অনুমতিটিকে অস্বীকার করার পরিবর্তে, এই বিশেষ উদ্দেশ্য নিয়েই সভার অনুমতি দিয়েছিল যাতে তারা গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার পুনরুদ্ধারের জন্য বিরোধী দলের ন্যায়সঙ্গত শান্তিপূর্ণ দাবিকে নস্যাৎ করতে তাদের পুলিশের ওপর হামলার অজুহাত ব্যবহার করে এই ঠান্ডা মাথায় নৃশংস হামলা চালাতে পারে; যা আওয়ামী লীগ সরকার কৌশলে বিরোধীদলের ন্যায্য দাবিকে বাতিল করার জন্য তৈরি করেছে। তারা এটা বাংলাদেশের মানুষের মৌলিক অধিকার হরণের জন্যে করছে। প্রসঙ্গতঃ উল্লেখ্য, সরকার ঢাকা শহরের বিভিন্ন স্থানে সংঘঠিত সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের দায় বিএনপির ওপর চাপানোর চেষ্টা করছে, তার গোমর ইতিমধ্যেই ফাঁক হয়ে গিয়েছে।যেখানেই সরকার বাসে আগুন অথবা গ্রেনেড বিস্ফোরণের দায় বিএনপির ওপর চাপিয়ে দেবার চেষ্টা করেছে সেখানেই প্রত্যক্ষদর্শীরা বলে দিয়েছে যে, সরকারের লোকেরাই এসব ঘটনা ঘটিয়েছে। কাজেই সরকারের ২০১৪ সালের ধোকাবাজি যে ১০ বছর পরে আর চলবে না, সেটা সরকার বুঝতে পারেনি। আজ এটা দিবালোকে মত স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে যে, এভাবে মিথ্যাচার আর জুলুমবাজি দিয়ে বাংলাদেশের গণতন্ত্রকামি মানুষকে আর দমিয়ে রাখা যাবে না। বলাই বাহুল্য, মাত্র একদিনেই বাংলাদেশের পুরো রাজনৈতিক দৃশ্যপট ব্যাপকভাবে বদলে গেছে।
