জন বিগসের বিরুদ্ধে অব্যবস্থাপনার অভিযোগ, তদন্তের নির্দেশ মেয়র লুৎফুর রহমানের
।। সুরমা প্রতিবেদন ।।
লণ্ডন, ৫ আগস্ট : টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিলের আর্থিক হিসেবে-নিকেষসহ যাবতীয় কাজে সাবেক মেয়র জন বিগসের রেখে যাওয়া মারাত্মক অব্যবস্থাপনা দেখে হতবাক হয়েছেন বর্তমান মেয়র লুৎফুর রহমান। একই সাথে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সার্ভিস প্রদানের ক্ষেত্রে বিগত প্রশাসনের ব্যর্থতার পুঙ্খানুপুঙ্খরূপে খতিয়ে দেখার জন্য কাউন্সিলব্যাপী আভ্যন্তরীণ তদন্তের আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। মেয়র লুৎফুর রহমান উত্থাপিত এমন অভিযোগ সম্পর্কে সাবেক মেয়র জন বিগসের বক্তব্য জানার সুরমা পক্ষ থেকে চেষ্টা করা হয়। কিন্তু অপর পক্ষ থেকে কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।
গত ২৮ জুলাই টাউন হলে অনুষ্ঠিত পুল কাউন্সিল মিটিংয়ে পাসকৃত অ্যাসপায়ার পার্টির দুটি পৃথক মোশনে কাউন্সিলের ইয়ুথ সার্ভিস থেকে শুরু করে আর্থিক অব্যবস্থাপনার মতো নানা ধরনের ব্যর্থতার বিষয় উল্লেখ করা হয়।
বুধবারের মিটিংয়ে আগের প্রশাসনের আর্থিক অব্যবস্থাপনার বিষয়ে আনা একটি মোশন বা প্রস্তাবে ফাইন্যান্স বিষয়ক কেবিনেট মেম্বার কাউন্সিলর সাঈদ আহমেদ ‘সাবেক প্রশাসনের টানা ছয় বছরের অব্যবস্থাপনা এবং অবহেলার’ নানা তথ্য তুলে ধরেন। সভায় এই বিষয়ে কাউন্সিল-ওয়াইড তদন্ত করার প্রস্তাব পাশ হয়। একইভাবে কাউন্সিলের ইয়ুথ জাস্টিস সার্ভিসে নানা ধরনের অনিয়মের বিষয়টি হার ম্যাজেস্টিজ ইন্সপেক্টরেট প্রভেশন-এর পরিদর্শন প্রতিবেদনেও প্রকাশিত হয়েছে বলে সভায় জানানো হয়। ডেপুটি মেয়র কাউন্সিলর মাইয়ুম মিয়া তালুকদার এ বিষয়ে মিটিংয়ে একটি জরুরি মোশন আনলে সেটি তদন্তের জন্য অনুমোদন লাভ করে।
এ প্রসঙ্গে মন্তব্য করতে গিয়ে মেয়র লুৎফুর রহমান বলেন, এই ব্যর্থতাগুলি হচ্ছে কাউন্সিলজুড়ে প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করার সংস্কৃতিরই ফল। সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীল ব্যক্তিদের জনগণের কাছে দায়বদ্ধতা ও প্রতিশ্রুতি না থাকার কারনে টাওয়ার হ্যামলেটসে এই অনিয়মগুলো বছরের পর বছর ধরে চলে আসছে। আর তাদের ওই ব্যর্থ নেতৃত্বের দায়ভার বহন করছে বরোর বাসিন্দারা।
মেয়র বলেন, আমি এই কাউন্সিল-ভিত্তিক তদন্তের মাধ্যমে আগের প্রশাসনের রেখে যাওয়া অব্যবস্থাপনা ঠিক করার চেষ্টা করছি। সেটা করতে পারলেই বারার জনগণ কাউন্সিলের উপর তাদের আস্থা আবার ফিরে পাবে এবং তখনই তারা তাদের প্রাপ্য অধিকার পাবে বলে আমার বিশ্বাস।