নিউজ

মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনার শিকার বৃটিশ-বাংলাদেশী পরিবার

২ সন্তানসহ বাবা নিহত, গুরুতর আহত মা

|| সুরমা প্রতিবেদন ||
লণ্ডন, ১৩ সেপ্টেম্বর : মর্মান্তিক এক সড়ক দুর্ঘটনায় এক বৃটিশ-বাংলাদেশী পরিবারের একজন ছাড়া সবাই নিহত হয়েছেন। ২ শিশু সন্তানসহ বাবা ঘটনাস্থলে নিহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। সন্তানদের মা ভাগ্যক্রমে বেঁচে গেলেও গুরুতর আহতাবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। আহত ওই মহিলাও গর্ভবতী ছিলেন এবং তিনি তাঁর গর্বে সন্তানও হারিয়েছেন বলে পারিবারের লোকজন জানিয়েছেন। ঘটনাটি ঘটেছে গত ৮ সেপ্টেম্বর, শুক্রবার লেস্টার এলাকার মটরওয়েতে। জানা গেছে, বিকাল ৪টা ২৪ মিনিটের সময় লেস্টার ও নানিটনের মধ্যবর্তী হিঙ্কলি বারবেজ এলাকায় পণ্যবাহী একটি লরির সাথে তাদের বহনকারী প্রাইভেট কারের সংঘর্ষে এই দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনার পরপরই আশপাশের লোকজন পুলিশ ও অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিসকে খবর দেয়ার পাশাপাশি আহতদের উদ্ধারে এগিয়ে আসে। খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে আসে ওয়েস্ট মিডল্যাণ্ডস অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস, ইস্ট মিডল্যাণ্ডস অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস, লেস্টারশায়ার ফায়ার অ্যাণ্ড রেসকিউ সার্ভিস ও লেস্টারশায়ার পুলিশ।

দুর্ঘটনায় নিহতরা হলেন, আলমগীর হোসেন সাজু (৩০), তার দুই শিশু সন্তান জাকির হোসেন (৯) ও মাইরা হোসেন (৪)। এছাড়া মারাত্মক আহত অবস্থায় হাসপাতালে কোমায় রয়েছেন শিশুদের মা। নিহত আলমগীরের জন্ম ও বেড়ে ওঠা যুক্তরাজ্যের বার্মিংহামে। বার্মিংহাম শহরের নিকটবর্তী ওয়ালসালের প্লেক শেরিডান স্ট্রিটের বাসিন্দা আলমগীর একজন ব্যবসায়ী। তার পিতার নাম আবদুল কালাম।
আলমগীরের দাদারবাড়ি বাংলাদেশের হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ উপজেলার কল্যাণপুর গ্রামে। তার দাদার নাম হাজী আকরাম উল্লাহ।
নিহত আলমগীরের চাচা ফরিদ গণমাধ্যমকর্মীদের জানিয়েছেন, শুক্রবার পরিবার নিয়ে একটি ডে ট্রিপে তারা লেস্টার গিয়েছিলেন। যাবার পথে হিঙ্কলী এলাকায় একটি লরির সাথে সংঘর্ষে এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে। তাদের বহনকারী সিলভার কালারের বিএমডব্লিউ কারটি সম্পূর্ণ ধুমড়ে-মুচড়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই চালকের আসনে থাকা আলমগীর হোসেন ও তার ছেলে জাকির হোসেনের মৃত্যু হয়। আহত অবস্থায় হাসপাতালের নেয়ার পথে মৃত্যুবরণ করে চার বছরের মাইরা হোসেন।
এদিকে দুই সন্তানসহ তরুণ ব্যবসায়ী আলমগীরের মৃত্যুর শোকের ছায়া নেমে এসেছে ওয়ালসালে। পারিবারিকভাবে অত্যন্ত সুপরিচিত হওয়ায় ওয়ালসালে বসবাসকারী বাংলাদেশিসহ এশিয়ান কমিউনিটিতে শোক বিরাজ করছে।
এদিকে, যে লরি বা এইচজিভি ট্রাকের সাথে কারের সংঘর্ষ ঘটে সেটির চালকের কোনো চিকিৎসার প্রয়োজন হয়নি। তবু এম্বুলেন্স কর্মীরা প্রয়োজনীয় সেবা প্রদান করেন এবং সেল্ফ কেয়ার বা নিজের যত্ন ও সতর্কতা বিষয়ক পরামর্শ দিয়ে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

Sheikhsbay

Related Articles

Back to top button
Close
Close