এম এ মালিক যখন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু-
সুরমার প্রতিবেদন।। লন্ডন ২২ সেপ্টেম্বর; যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছিল যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি এম এ মালিককে। ওই একই দিনে প্রধানমন্ত্রী তাকে আমন্ত্রণ দিয়ে পাঠালেন যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতিকে। শেখ হাসিনার যুক্তরাষ্ট্র সফরকে কেন্দ্র করে উভয় পক্ষের তীব্র উত্তেজনার মধ্যে এম এ মালিক এখন সকল আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। সম্প্রতি তিনি বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মন্ডলের সদস্য মনোনীত হয়েছিলেন।
শেখ হাসিনার যুক্তরাষ্ট্র সফরকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার নিউইয়র্কের জ্যাকসন হাইটস এলাকায় উভয় পক্ষের মধ্যে তীব্র উত্তেজনা দেখা দেয়। বিএনপি এবং আওয়ামী লীগের কয়েকশ’ নেতা কর্মী মুখোমুখি অবস্থায় স্লোগান পাল্টা স্লোগান দিতে থাকে। পুলিশ তাদের মাঝে অবস্থান নেয়। এ সময় আওয়ামী লীগ কর্মীরা যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি এম এ মালিককে যুক্তরাষ্ট্রে অবাঞ্চিত ঘোষণা করে আর বিএনপি কর্মীরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্লোগান দেয় ও তাকে প্রতিহত করার ঘোষণা দেয়।
স্লোগান পাল্টা স্লোগান ও উস্কানিমূলক পরিস্থিতির মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতি ড. সিদ্দিকুর রহমান যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি এম এ মালিককে চায়ের আমন্ত্রণ জানাতে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে নির্দেশ পান।
ড. সিদ্দিক এসময় একটি রেস্টুরেন্টে দীর্ঘ সময় মালিকের জন্য অপেক্ষা করেন। বিএনপি নেতা গিয়াস উদ্দিনের মাধ্যমে তিনি যোগাযোগ করেন এম এ মালিকের সঙ্গে। দীর্ঘ তিন ঘন্টা অপেক্ষার পর এমে মালিক তার সহযোগী বিএনপি নেতা গিয়াস উদ্দিন বেবী নাজনীন ও মিস্টার জিল্লুকে নিয়ে ড. সিদ্দিকের সাথে সাক্ষাৎ করেন। তারা একসময় একসঙ্গে কিছু সময় কাটান।
পরে ডাক্তার সিদ্দিক সাংবাদিকদের জানান, প্রধানমন্ত্রী আমাকে নির্দেশনা দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ অনুযায়ী আমি তাকে চায়ের আমন্ত্রণ পৌঁছে দিয়েছি।তিনি যুক্তরাজ্য থেকে এসেছেন, তিনি আমাদের অতিথি।” তিনি আরো জানান এমন এ মালিক চা খাওয়ার দাওয়াত গ্রহণ করেছেন, কিন্তু তিনি তার নেত্রীর (বেগম খালেদা জিয়া) বিদেশে চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে প্রধানমন্ত্রীর সম্মতির জন্য একটি আবদার করেছেন।
এদিকে যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি এমএ মালিকের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি সাপ্তাহিক সুরমাকে বলেন, যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগ আমাদের নেতা তারেক রহমান এবং আমার বিরুদ্ধে নানারকম উস্কানি মূলক স্লোগান দেয় এবংআমাকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে। অথচ কিছুক্ষণ পরেই প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে আমাকে চায়ের দাওয়াত নিয়ে আসেন ড. সিদ্দিকুর রহমান। আমি যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগ সভাপতিকে বলেছি, আমাদের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া গুরুতর অসুস্থ। তার বিদেশে উন্নত চিকিৎসা অত্যন্ত জরুরি। এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করলেই আমি তার আমন্ত্রণ গ্রহণ করতে সম্মতি দেই।
এ ব্যাপারে ডক্টর সিদ্দিকুর রহমান বলেন, এব্যাপারে যদি প্রধানমন্ত্রী রাজি হন, তাহলে আমার সাথে তিনি (এমন এ মালিক) এক জায়গায় বসে চা খাবেন। এটাই উনার সাথে আলাপ হয়েছে। এখানে কোন নাটকীয়তা নাই। আমি প্রধানমন্ত্রীকে তার কথা পৌঁছে দিয়েছি।
তবে শুক্রবার দুপুরের পর প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে ভাষণ দেওয়ার সময় বিএনপি সেখানে বিক্ষোভ প্রদর্শন করবে। এম এ মালিক সুরমাকে বলেন, বাংলাদেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার এক দফা দাবিতে যুক্তরাজ্য যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বব্যাপী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।
