নিউজ

হাইড পার্কে প্রবাসীদের মহাসমাবেশ

# যুক্তরাজ্যে মার্চ ফর ডেমোক্রেসি- ৫কি.মি. দীর্ঘ সড়ক প্রদক্ষিণ # শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি# ঋষি শুনাকের কাছে স্মারকলিপি পেশ # হাজার হাজার প্রবাসীর শ্লোগানে  মুখরিত লন্ডনের প্রধান সড়ক

 সুরমা প্রতিবেদন।

লন্ডন, ২৯ আগস্ট। বাংলাদেশে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচন ও গণতন্ত্র পূনঃ প্রতিষ্ঠার দাবিতে  ”মার্চ ফর ডেমোক্রেসি” নামক পদযাত্রায় হাইড পার্কে  হাজার হাজার প্রবাসী  যুক্তরাজ্যের নানা প্রান্ত থেকে প্লেকার্ড হাতে  এসে  জড়ো হন। যুক্তরাজ্যের পাশাপাশি ইউরোপ ও এশিয়ার বিভিন্ন দেশ থেকে রাজনৈতিক ও প্রবাসী নেতৃবৃন্দ হাইড পার্কের সমাবেশে যোগ দেন।

এছাড়া বাংলাদেশে আন্দোলনে যুগপৎ থাকা নুরুল হক নূরের নেতৃত্বাধীন গণ অধিকার পরিষদ, গণতন্ত্র মঞ্চ ও ১২ দলীয় জোটের প্রবাসী নেতা কর্মীরা সমাবেশে যোগ দেয়ায় সমাবেশটি প্রবাসীদের সর্বজনীন সমাবেশে পরিণত হয়। লন্ডনে সক্রিয় ২১টি মানবাধিকার সংগঠন হাইড পার্কের সমাবেশের প্রতি সংহতি প্রকাশ ও সংগঠকরা অংশ নেন। ‘মার্চ ফর ডেমোক্রেসি ‘  হয়ে উঠে মানবাধিকারের সার্বজনীন সমাবেশ। স্কটল্যান্ড ইয়ার্ড (যুক্তরাজ্যের পুলিশ বিভাগ) ২০ হাজার মানুষের সমাবেশ ও পদযাত্রায় অনাপত্তি প্রদান ও নিরাপত্তার ব্যবস্থা করে। হাইড পার্কের সমাবেশ এবং হাইড পার্ক থেকে ট্রাফলগার স্কোয়ার (যেখানে ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের সমর্থনে যুক্তরাজ্য প্রবাসীরা সমাবেশ করেছিলেন) হয়ে ১০ ডাউনিং স্ট্রিট প্রধানমন্ত্রীর অফিস পর্যন্ত প্রায় ৫ কি. মি. প্রধান সড়ক দিয়ে হাজার হাজার মানুষের সামনে-পিছনে পুলিশের সাঁজোয়া বহর এগিয়ে যায় প্রধান সড়ক ধরে। লন্ডনের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণকালে সড়কের দুপাশের নেটিজেনরা হাত নেড়ে একাত্মতা প্রকাশ করে।  পদযাত্রায়ও যোগ দেয় অনেকে। ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল স্কুলে কর্মরত শিক্ষক মি. আর্থার ও তার স্ত্রীর (পৃথক রিপোর্টে বিস্তারিত) মতো অনেকেই বাংলাদেশের মার্চের প্রতি সংহতি প্রকাশ করেন।    

মূলত: আওয়ামিলীগ সরকারের পতনের  দাবীতে উচ্চকণ্ঠ এই গণপদযাত্রা মার্চ ফর ডেমোক্রেসি ইন বাংলাদেশ নামে সারা বিশ্বজুড়ে আজ পরিচিতি পেয়েছে। যুক্তরাজ্যে প্রবীণ কমিউনিটি নেতারা বলছেন, ৭১ সালের পর এটাই বাংলাদেশকে নিয়ে সর্ববৃহৎ সমাবেশ। একারণেই হাইড পার্কের সমাবেশ ইতিহাসে স্থান করে নিয়েছে। যুক্তরাজ্য বিএনপির আহ্বানে এই সমাবেশে হাজার হাজার মানুষ বিভিন্ন ব্যানার, প্ল্যাকার্ড ও ফেস্টুন নিয়ে  সমবেত হোন। বৃটেনের বিভিন্ন শহর থেকে বাস ভর্তি হয়েও দলে দলে মানুষ এতে যোগদান করেন।

শোভাযাত্রাটি বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি শুনাকের অফিসের সামনে গিয়ে শেষ হয়। যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি আব্দুল মালিক ও সাধারণ সম্পাদক কয়সর আহমেদ প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তার কাছে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরাবরে লেখা স্মারকলিপি হস্তান্তর করেন। এ সময় প্রধানমন্ত্রী কার্যালয় ডাইনিং স্ট্রিটে হাজার হাজার মানুষ বাংলাদেশে নিরপেক্ষ ও নির্দলীয়  সরকারের অধীনে একটি সুষ্ঠু অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন ও ব্রিটিশ সরকারের সহযোগিতার দাবিতে নানা স্লোগান দিতে থাকেন। প্রবাসীরা অবিলম্বে খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নাম সকল রাজনৈতিক মামলা প্রত্যাহারের জোর দাবী জানান।

‘মার্চ ফর ডেমোক্রেসি’ পদযাত্রায় যুক্তরাজ্য বিএনপি ছাড়াও গণতন্ত্র মঞ্চ, ১২ দলীয় জোট, নুরুল হক নূরের নেতৃত্বাধীন গণ অধিকার পরিষদের স্থানীয় নেতৃবৃন্দ  সহ  যুক্তরাজ্যের সক্রিয় কমুনিউটি  ভিত্তিক ২১টি মানবাধিকার সংগঠন সংহতি জানিয়ে অংশগ্রহণ  করে।  ছাড়াও যুক্তরাজ্যের নানা মত ও পথের বহু মানবাধিকার ও সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ অংশ নেন।

বিএনপির বক্তব্য:

যুক্তরাজ্য বিএনপি’র দপ্তর সম্পাদক শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক ড. মুজিবুর রহমান স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে,  যুক্তরাজ্য বিএনপির আহবানে হাইড পার্কে কমিউনিটির এই সর্ববৃহৎ সমাবেশে উপস্থিত জনতা বাংলাদেশকে নিয়ে তাদের গভীর উদ্যোগের কথা প্রকাশ করেছেন। বর্তমান সরকারের দায়িত্বহীনতার জন্য দেশআমেরিকা, ব্রিটেনসহ উন্নয়ন সহযোগী রাষ্ট্র ও সভ্য দুনিয়া থেকে প্রায় বিচ্ছিন্ন হয় যাচ্ছে দাবি করে বক্তারা আগামীতে যদি আবারো ভোটারবিহীন নির্বাচন করার চেষ্টা করা হয় তাহলে কঠিন পরিণতির দিকে দেশকে ঠেলে দেয়া হবে বলে সতর্ক করেন।এখন পদত্যাগ করলে হয়তো মানুষের রোষানল থেকে মুক্তি পেতেও পারে,আর এতো কিছুর পরেও যদি সরকার পদত্যাগ না করে তাহলে দেশেবিদেশে গণ আন্দোলনের মাধ্যমে তাদেরকে বিদায় করার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করা হয়। তখন কিন্তু পালানোর পথ খোঁজে পাবে না বলেও হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করা হয়। সমাবেশে বিএনপির চেয়ারপারসন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে বিনা শর্তে মুক্তি দিয়ে বিদেশে উন্নত বিশেষায়িত হাসপাতালে চিকিৎসা নেয়ার সুযোগ দেয়ার জোর দাবি জানানো হয়।সমাবেশে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে সকল মামলা প্রত্যাহারের জোর দাবি জানানো হয়,সমাবেশে বিএনপিসহ সকল বিরোধী দল ও মতের নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা হামলা বন্ধ করার জোর দাবি জানানো হয়।

হাজার হাজার নেতা-কর্মীর বিশাল গণ-পদযাত্রায় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক মাহিদুর রহমান, ও সহ-সম্পাদক আনোয়ার হোসেন খোকন, ভয়েস ফর গ্লোবাল বাংলাদেশীজ’র ড. হাসনাত এম হোসাইন, কে এম আবু তাহের চৌধুরী, সাবেক ডেপুটি মেয়র আ ম অহিদ, সাংবাদিক শামসুল আলম লিটন, যুক্তরাজ্য বিএনপির প্রধান উপদেষ্টা শায়েস্তা চৌধুরী কুদ্দুস, সিনিয়র সহসভাপতি আবুল কালাম আজাদ, সহসভাপতি মুজিবুর রহমান মুজিব, আলহাজ্ব তৈমুছ আলী, উপদেষ্টা আব্দুল হামিদ চৌধুরী, সহসভাপতি গোলাম রাব্বানি সোহেল, তাজুল ইসলাম, শেখ শামসুদ্দিন শামীম, ব্যারিস্টার কামরুজ্জামান, সলিসিটর ইকরামুল হক মজুমদার, আব্দুস সাত্তার, কাজী ইকবাল হোসেন দেলোয়ার, আশরাফুল আলম হীরা, আবেদ রাজা, সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক পারভেজ মল্লিক, যুগ্ম সম্পাদক ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ খান, খসরুজ্জামান খসরু, গোলজার আহমেদ, মিসবাহুজ্জামান সোহেল, ড. মুজিবুর রহমান (দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত), সুজাতুর রেজা, আজমল হোসেন চৌধুরী জাবেদ, হাসনাত কবির খান রিপন, হেলাল নাসিমুজ্জামান, সাবেক যুগ্ম সম্পাদক শরিফুজ্জামান চৌধুরী তপন, শহিদুল ইসলাম মামুন, নাসিম আহমেদ চৌধুরী, কামাল উদ্দিন,  যুক্তরাজ্য যুবদলের সাবেক আহবায়ক দেওয়ান মোকাদ্দেম চৌধুরী নিয়াজ, যুক্তরাজ্য স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক আহবায়ক এমদাদ হোসেন টিপু, শামসুর রহমান মাহতাব, ফখরুল ইসলাম বাদল, এস এম লিটন, এম এ সালাম, সহ সাধারণ সম্পাদক ফেরদৌস আলম, আসাদুজ্জামান আহমদ, জাহেদ আলী, আব্দুল বাসিত বাদশা, বাবুল আহমদ চৌধুরী, মোস্তফা সালেহ লিটন, সালেহ আহমদ জিলান, নাজমুল ইসলাম লিটন, এডভোকেট খলিলুর রহমান, শাহীন মিয়া, টিপু আহমদ, সেলিম আহমেদ (সহ দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত), সাংগঠনিক সম্পাদক শামীম আহমদ, মোশাহিদ আলী, কামাল হোসেন, তৈয়বুর রহমান হুমায়ুন, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক সেবুল মিয়া, ব্যারিস্টার আব্দুল মাজিদ তাহের, মওদুদ আহমদ, রাজু আহমদ, প্রচার সম্পাদক ডালিয়া বিনতে লাকুড়িয়া,  কোষাধ্যক্ষ সালেহ গজনবী, আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার লিয়াকত আলী, যুব বিষয়ক সম্পাদক খিজির আহমদ, ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক ইমতিয়াজ এনাম তানিম, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক কামাল মিয়া, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক ফেরদৌস রহমান, ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক জুয়েল আহমদ, সাহিত্য ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক আখতার মাহমুদ, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান, তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক মাহফুজুর রহমান, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক আব্দুস শহীদ, মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক সাদিক হাওলাদার, প্রবাসী কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক সাহেদ উদ্দিন চৌধুরী, বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক সাইফুল ইসলাম শিপু, মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার শামসুজজোহা, প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক জাহিদ গাজী, স্বনির্ভর বিষয়ক সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনির, সহ প্রচার সম্পাদক মইনুল ইসলাম, তোফাজ্জল আলম, এডভোকেট শারিয়ার কবির, মুক্তাদির আলী, মোঃ তৌকির শাহ, আব্দুল আহাদ, শিবলী শহীদ খুশনবিশ, তুরন মিয়া, কদর উদ্দিন, রাজ্ হাসান, সোহেল আহমদ সাদিক, সৈয়দ মোসাদ্দিক আহমদ, ব্যারিস্টার আলিমুল হক লিটন, মোঃ আরিফ আহমদ, সৈয়দ শামীম আহমদ, সোহেল আহমদ, লুবেক আহমদ চৌধুরী, হেলাল উদ্দিন, মোস্তাক আহমদ, রুহুল ইসলাম, এনামুল হক লিটন, শেখ আলী আহমদ, জসিম উদ্দিন সেলিম, আব্দুল হামিদ খান হেভেন, খালেদ চৌধুরী, ইউনুছ পাঠান বুলু, মিসবাউল ইসলাম বাবু, আমিনুর রহমান আকরাম, শরীফ উদ্দিন ভূঁইয়া বাবু, মির্জা নিক্সন, শরিফুল ইসলাম, ফিরোজ আলম, আলী আকবর খোকন, মিজানুর ইসলাম মির্জা, সালেহ আহমদ, ফয়সল আহমদ, নূরে আলম সোহেল, নজরুল ইসলাম, জাহাঙ্গীর হোসাইন, সুজাত আহমদ, শিশু মিয়া, শারিয়ার রহমান জুনেদ, তপু শেখ, নাজমুল হোসেন চৌধুরী, যুবদল কেন্দ্রীয় কমিটির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ও যুক্তরাজ্য যুবদলের সভাপতি রহিম উদ্দিন, স্বেচ্ছাসেবক দল কেন্দ্রীয় কমিটির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ও যুক্তরাজ্য স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি নাসির আহমেদ শাহিন, আইনজীবী ফোরামের সভাপতি ব্যারিস্টার শাহজাহান, যুবদল কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও যুক্তরাজ্য যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আফজাল হোসেন, যুবদল কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য বাবর চৌধুরী, যুক্তরাজ্য স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আবুল হোসেন, স্বেচ্ছাসেবক দল কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এ জে লিমন, শাহীন আহমদ, আইনজীবী ফোরামের সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার লিটন আফিন্দি, কেন্দ্রীয় জাসাসের আন্তর্জাতিক সম্পাদক ইকবাল হোসেন, যুক্তরাজ্য জাসাসের সাবেক সভাপতি এমাদ আহমদসহ প্রমূখ। যুক্তরাজ্য বিএনপির জোনাল কমিটির সাবেক দায়িত্বশীলদের নেতৃত্বে এবং অঙ্গ সংগঠনসমূহের জোনাল কমিটির নেতৃত্বে এবং কমিউনিটি সংগঠনের উপস্থিতিতে হাজার হাজার নেতা-কর্মী গণ পদযাত্রায় অংশ গ্রহণ করেন ।

স্মরণকালের বৃহত্তম এই গণ-পদযাত্রায় লন্ডনসহ যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন শহর থেকে নারী পুরুষ নির্বিশেষে বিশ হাজারের অধিক লোক অংশগ্রহণ করেন বলে দাবি করা হয় । এই গণ পদযাত্রায় ইউকে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের এক হাজারের অধিক ভলান্টিয়ার এবং  মিডিয়া সেলের শতাধিক সদস্য দায়িত্ব পালন করেন ।

গণতন্ত্র মঞ্চ:

নাগরিক ঐক্যের প্রেসিডিয়াম মেম্বার, গনতন্ত্র মঞ্চের কেন্দ্রীয় নেতা,বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ আবদুল মাবুদ হাইড পার্ক স্পিকার্স কর্ণারে সাপ্তাহিক সুরমা প্রতিনিধিকে বলেন, দেশ ও জাতির এক মহা-সংকট কালে আজ আমরা গনতন্ত্রের সূতিকাগার ওয়েস্ট মিনিস্টার-এ হাজার হাজার মানুষ সমবেত হয়েছি। আজ দেশে মানুষের ভিন্ন মত প্রকাশের কোনো স্বাধীনতা নেই, ভোটের অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে , দ্রব্য মূল্য মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে। তিনি বলেন, অর্থনীতি মহা-সংকটে ,  ডলারের রিজার্ভ তলানিতে, ব্যাংক খাত লুটপাট করে ধ্বংস করে দেয়া হয়েছে। 

গনতন্ত্র মঞ্চের এই নেতা আরও বলেন, গনতন্ত্রের আপোষহীন নেত্রী খালেদা জিয়া সহ শত শত রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দদের বিনা বিচারে বন্দী করে রেখেছে। তিনি সকল রাজবন্দীর মুক্তি দাবি করেন। 

জনাব সৈয়দ মাবুদ প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে আনীত সকল হয়রানীমূলক মামলা প্রত্যাহারের দাবী করেন। তিনি অবিলম্বে সরকারের পদত্যাগ ও পার্লামেন্ট বাতিল করে  অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অধীনে অবাধ ও অংশগ্রহণ মূলক নির্বাচনের জোর দাবী জানিয়েছেন ।

১২ দলীয় জোট::

হাইড পার্কের সমাবেশে একাত্মতা প্রকাশ করেন ও অংশ নেন ১২ দলীয় জোটের শরিক বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির কেন্দ্রীয় মহাসচিব আবদুল আউয়াল মামুন। তিনি বলেন, হাইড পার্কের সমাবেশ ইতিহাসের অংশ হয়ে গেলো। স্বাধীনতা সংগ্রামে প্রবাসীরা যেভাবে ভূমিকা রেখেছিল এখনো সেভাবেই এখানে ঐক্যবদ্ধ হলো। 

গন অধিকার পরিষদ: 

নুরুল হক নূরের নেতৃত্বাধীন গণ অধিকার পরিষদ ও প্রবাসী অধিকার পরিষদের নেতা কর্মীরা ব্যানার ও প্লেকার্ডসহ সমাবেশ ও পদযাত্রায় যোগ দেন। সংগঠনের পক্ষ থেকে জামান সিদ্দিকী বলেন, শেখ হাসিনার পদত্যাগের দাবিতে দেশ বিদেশে সকলে ঐক্যবদ্ধ। কিছু মাফিয়া এই সরকারকে টিকিয়ে রাখতে চায়। কিন্তু জনগণ ঐক্যবদ্ধ হলে কোনো দুঃশাসনই টিকে থাকে না।

Sheikhsbay

Related Articles

Back to top button
Close
Close