নিউজ

বিন ইয়ামিন মোল্লা ও মশিউরকে গ্রেফতারের নেপথ্যে –

ক্যাম্পাস ভিত্তিক ছাত্র আন্দোলনের সম্ভাব্য হুমকি মোকাবেলা করতেই গ্রেফতার ও নিপীড়নের অভিযোগ

সুরমা প্রতিবেদন।। কোটা সংস্কার ও সড়ক আন্দোলনের দুই প্রধান সংগঠক বিন ইয়ামিন মোল্লা ও মশিউর রহমান। বর্তমানে যথাক্রমে ছাত্র অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ও গণ অধিকার পরিষদের যুগ্ম সম্পাদক। দুজনই সম্প্রতি গ্রেপ্তার হলেন। 

কোনো বড় ধরনের ঘটনা বা মামলা ছাড়াই এই দুই তরুণ ও খ্যাতনামা সংগঠককে গ্রেফতারের নেপথ্য কারণ হিসেবে জানা গেছে নানা তথ্য। বুয়েটের ২৬ জন ছাত্রকে টাঙ্গুয়ার হাওড় বেড়াতে যাবার কারণে পুলিশ শিবির সন্দেহে গ্রেফতার করে।  ওই ঘটনার প্রতিবাদে ছাত্র অধিকার পরিষদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ৩০জুলাই বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করেছিল।  তার আগের রাতে সাবেক ডাকসু ভিপি নুরুল হক নূরের বাসার দরজা ভেঙে ছাত্র অধিকার পরিষদ সভাপতি বিন ইয়ামীন মোল্লাকে গ্রেফতার করা হয়। সেই রাতের ঘটনা নূর লাইভ ফেসবুক লাইভে প্রচার করে। লাইভে নুরুল হক নূর বারবার অভিযোগ করেন, পুলিশ অভিযানের নেতৃত্বদানকারী কর্মকর্তা মদ্যপ অবস্থায় কিভাবে দায়িত্ব পালন করেন? সেই পুলিশ অফিসার বা‌ ডিএমপি কোন প্রতিবাদ করেনি।  এমনকি ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের  পক্ষ থেকে মধ্য মধ্য অবস্থায় কর্তব্য পালন এবং গভীর রাতে বাড়ি ভেঙে অভিযান পরিচালনার ব্যাপারে কোন ব্যাখ্যাও দেয়া হয়নি। বরং পুলিশ সদস্যরা নূরকে  বিন ইয়ামিন মোল্লার বিরুদ্ধে অভিযোগ হিসেবে শিবিরের সঙ্গে সহযোগিতার কথা উল্লেখ করে। তাতে পরদিন বুয়েটের ছাত্রদের মিথ্যা অভিযোগে গ্রেফতারের প্রতিবাদ আন্দোলন ঠেকাতেই যে তাকে গ্রেফতারের  অভিযোগ করা হয়েছিল, তার সত্যতা উঠে এসেছে বলে ছাত্র অধিকার পরিশোধ দাবি করেছে।

‘সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের’ অভিযোগে বুয়েটের ২৬ শিক্ষার্থীসহ গ্রেপ্তার ৩৪

অন্যদিকে কোটা সংস্কার আন্দোলনের অন্যতম প্রধান সংগঠক মশিউর বুয়েটে ছাত্রদের গ্রেপ্তার এবং মাওলানা সাঈদীর চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগে ফেসবুক লাইভে তার বক্তব্য তুলে ধরেছিলেন। এই দুটি ঘটনার প্রেক্ষিতে তাকে আটক করা হয়েছে বলে তার সহকর্মীরা সাপ্তাহিক সুরমাকে অভিযোগ করেছেন। মূলত ক্যাম্পাস থেকে কোন ছাত্র আন্দোলন যাতে করে উঠতে না পারে সে কারণেই বিন‌ ইয়ামিন মোল্লা ও মশিউরকে গ্রেপ্তার করার প্রতিবাদ জানিয়ে এই দুটি সংগঠনের নেতারা অবিলম্বে তাদের মুক্তি দাবি করেছেন। তাদের বিরুদ্ধে কোন সুনির্দিষ্ট মামলা না থাকলেও গণধিকার পরিষদের অফিস নিয়ে হাঙ্গামার একটি মামলায় তাদের আসামি দেখিয়ে আটক রাখা হয়েছে। তাদের সহকর্মীরা আরো অভিযোগ করছেন বিন ইয়ামিন ও মশিউরকে গ্রেফতার করে ক্যাম্পাসভিত্তিক আন্দোলন দমনের অপচেষ্টার খবর ইতিমধ্যে সকল ক্যাম্পাসে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। যার ফলে তাদের মুক্তির দাবিতে এবং সকল ক্যাম্পাসকে ছাত্রলীগের সন্ত্রাস মুক্ত ও জনগণের ভোটাধিকারের দাবির সঙ্গে সম্পৃক্ততা রেখে অচিরেই ক্যাম্পাস ভিত্তিক ছাত্র আন্দোলন গড়ে উঠবে বলে তারা আশা প্রকাশ করেন। মশিউর ও বিন ইয়ামিন মোল্লার  গ্রেফতার ছাত্র আন্দোলনের জন্য একটি ইস্যু হিসেবে গড়ে ওঠার সম্ভাবনাও তারা দেখছেন।

Sheikhsbay

Related Articles

Back to top button
Close
Close