নিউজ

বৃটেন জুড়ে ছড়িয়ে পড়ছে নতুন ধরনের করোনা, দীর্ঘস্থায়ী হচ্ছে লকডাউন!

বর্ডার খুলে দিয়েছে ফ্রান্স, নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের আহ্বান ইইউ’র
নিয়ন্ত্রণের বাইরে নয় নতুন ধরনের করোনাভাইরাস: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা

।। সুরমা ডেস্ক ।।
লণ্ডন, ২৫ ডিসেম্বর – বৃটেনজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে নতুন ধরণের করোনা ভাইরাস। নতুন রূপের এই করোনার প্রাদুর্ভাবে মহা চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়েছে বৃটেন। বিজ্ঞানীরা বলেছেন, করোনা ভাইরাসের এই নতুন স্ট্রেন আগের চেয়ে ৭০ শতাংশ বেশী সংক্রামক। ইতোমধ্যে ল-নসহ ইংল্যা-ের বেশীরভাগ এলাকা কঠোর বিধিনিষেদ টিয়ার-৪ এর আওতাভূক্ত করা হয়েছে। কিন্তু সেটি পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য যথেষ্ট নয় বলে মনে করছেন চিকিৎসাবিজ্ঞানীসহ স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। তাদেরই সুপারিশ ও পরামর্শের ভিত্তিতে মানুষের সুরক্ষা এবং এনএইচএস’র সক্ষমতা বজায় রেখে পরিস্থিতি সামাল দেবার জন্যে বক্সিং ডে থেকে আবার দেশব্যাপী পূর্ণ লকডাউন দেবার চিন্তাভাবনা করছে সরকার। এব্যাপারে চিকিৎসাবিজ্ঞানী ও স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা সরকারকে বার বার চাপ দিয়ে আসছেন। এদিকে, বৃটেনে নতুন বৈশিষ্টের করোনা বিস্তারের সংবাদ জানাজানি হওয়ার পর এরই মধ্যে ইউরোপসহ প্রায় অর্ধশতাধিক দেশ ফ্লাইট বাতিলসহ বৃটেনের সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে। পার্শ্ববর্তী দেশ ফ্রান্স বর্ডার বন্ধ করে দেওয়ার ফলে ডোবার সীমান্তে শত শত লরি আটকা পড়ে প্রচণ্ড যানজটের সৃষ্টি করেছে। প্রায় দুদিন বন্ধ থাকার দু‘দেশের প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে আলোচনার পর এই সমস্যার নিরসন হয়েছে। লরি ড্রাইভারসহ যাত্রীদের ভালোভাবে পরীক্ষ-নিরীক্ষার শর্তে ফ্রান্স বর্ডার খুলে দিয়েছে। এছাড়া ইউরোপীয় ইউনিয়ন তাদের ইউনিয়নভূক্ত দেশগুলোকে বৃটেনের উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের আহবান জানিয়েছে। তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা অবশ্য নতুন ধরনের বা রূপান্তরিত এই করোনাভাইরাস এখনো নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়নি ঘোষণা দিয়েছে। একে বিদ্যমান ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণে আনা যেতে পারে বলে জানানো হয়েছে। বৃটেনে এই ভাইরাসকে কেন্দ্র করে সারা দুনিয়ায় যখন তোলপাড় চলছে তখন এ মন্তব্য করলো বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
সংশ্লিষ্টরা স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা দ্রুত বিস্তারকারী নতুন ধরণের ভাইরাসকে আগুনের সাথে তুলনা করেছেন। ইংল্যা-কে ‘আগুনে পোড়া’ থেকে বাঁচাতে পরিপূর্ণ জাতীয় লকডাউনের আহ্বান জানিয়ে ইউনিভার্সিটি কলেজ ল-নের (ইউসিএল) অপারেশনাল রিসার্চের প্রফেসর ক্রিস্টিনা পেজেল বলেছেন, পরিস্থিতিটি অবিশ্বাস্যরকম বিপজ্জনক এবং একই সাথে তিনি লকডাউনের জন্য বক্সিং ডে পর্যন্ত অপেক্ষাও খুব দেরী হবে বলে দাবী করেছেন। তিনি গোটা দেশ ‘আগুনে পোড়া’ থেকে বাঁচাতে এখন থেকেই ইংল্যা-জুড়ে পূর্ণ লকডাউন শুরুর আহ্বান জানিয়েছেন। করোনভাইরাসটির নতুন রূপ ল-ন এবং দক্ষিণ পূর্বের বাইরে ছড়িয়ে পড়ার সাথে সাথে ক্রিস্টিনা পেজেল পরিস্থিতি “অবিশ্বাস্যভাবে বিপজ্জনক” উল্লেখ করেন বলেছিলেন, আমরা নিশ্চিতকরণের জন্য আর অপেক্ষা করতে পারি না, কারণ এটি এত দ্রুত বেড়ে চলেছে।
বর্তমানে লণ্ডন এবং ইংল্যাণ্ডের দক্ষিণ পূর্বের প্রায় ১৭ মিলিয়ন মানুষ কঠোর বিধিনিষেধ টিয়ার-৪ এ রয়েছেন। এই বিধিনিষেধের আওতাধীন বাসিন্দাদের সীমিতসংখ্যক ছাড় যেমন স্কুল, কাজ, প্রয়োজনীয় কেনাকাটা এবং শরীর চর্চা ব্যতীত বাড়িতেই থাকতে হবে।
এদিকে, বিশ্বে প্রথম ভ্যাকসিন অনুমোদনকারী দেশ হিসেবে বৃটেন অবশ্য ইতোমধ্যে ৫ লক্ষাধিক মানুষকে ফাইজার/বায়োএনটেক ভ্যাকসিন প্রয়োগে সক্ষম হয়েছে। কিন্তু রূপান্তরিত কোভিড-১৯ ভেরিয়েট নিয়ন্ত্রণে তা কতটুকু সক্ষম হবে তা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। তবে বায়োএনটেক বস অবশ্য রূপান্তরিত ভাইরাস প্রতিরোধ তাদের ভ্যাকসিন কার্যকর হবে বলে আশাবাদী। উপরোন্তু তা যদি কাজ না করে তবে তিনি ছয় সপ্তাহের মধ্যে পুনরায় তৈরী করা যেতে পারে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।

বায়োএনটেক বস উগুর সাহিন বলেছেন যে, তাঁর ‘বৈজ্ঞানিক আত্মবিশ্বাস’ ভ্যাকসিন এখনও কার্যকর থাকবে এবং তাঁর দল বিভিন্ন বিজ্ঞান ম্যাগাজিনে প্রকাশিত হওয়া ডেটা পর্যবেক্ষণসহ সবধরণের বিকল্পের উপর পরীক্ষা চালাচ্ছে।
উল্লেখ্য, গত ৮ ডিসেম্বর থেকে বৃহদাকারে শুরু হওয়া টিকাদান কর্মসূচীর আওতায় ৫ লক্ষাধিক মানুষকে ফাইজারের প্রথম ডোজ ভ্যাকসিন প্রদান করা হয়েছে। বৃটেন ২০ মিলিয়ন মানুষের জন্য ফাইজারের ৪০ মিলিয়ন ডোজ ভ্যাকসিন ক্রয় করেছে, যা আগামী বছর পর্যন্ত প্রদান করা হবে। এছাড়া অক্সফোর্ড/অ্যাস্ট্রাজেনেকা ভ্যাকসিন দিয়ে ব্যাপকহ‍্যাণ্ড ভ্যাকসিন কর্মসূচী বাস্তবায়ন করতে চায় বৃটেন। সেলক্ষ্যে সকল প্রস্তুতি চলছে। কর্মকর্তারা আশা করছেন যে, কয়েক দিনের মধ্যেই এটি অনুমোদিত হয়ে াবে। ডাউনিং স্ট্রিট ইতিমধ্যে জেবটির ১০০ মিলিয়ন ডোজ অর্ডার করেছে, যা পরীক্ষা দেখা গেছে যে কমপক্ষে ৬২ শতাংশ কার্যকর।

বর্ডার খুলে দিয়েছে ফ্রান্স, নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের আহ্বান ইউরোপীয় ইউনিয়নের:

অবশেষে যুক্তরাজ্যের সঙ্গে সীমান্ত খুলে দিয়েছে ফ্রান্স। যুক্তরাজ্যে নতুন বৈশিষ্ট্যের করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের পর এটি বন্ধ করে দিয়েছিল ফরাসি কর্তৃপক্ষ।
যুক্তরাজ্যে নতুন ধরনের করোনাভাইরাস অধিক ছোঁয়াচে হলেও এটি খুব বেশি মারাত্মক নয়, এমনটা জানার পরই সিদ্ধান্ত বদল করে প্যারিস। ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনার পর খুলে দেওয়া হয় সীমান্ত।
বর্ডার খুললেও যুক্তরাজ্য থেকে যারা ফ্রান্সে ঢুকবেন, তাদের কাছে করোনা নেগেটিভ সার্টিফিকেট থাকতে হবে। সেই সার্টিফিকেট ৭২ ঘণ্টা বা তিন দিনের বেশী পুরনো হওয়া চলবে না। এই সার্টিফিকেট থাকলে তবেই ফ্রান্সে ঢোকা যাবে।
নতুন বৈশিষ্ট্যের করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের পর ইউরোপের অনেক দেশই যুক্তরাজ্যের সঙ্গে বিমান চলাচল বন্ধ করে দেয়। যাতায়াতেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। ইউরোপীয় ইউনিয়নের পক্ষ থেকে সবকটি দেশকেই এই বাড়তি বিধিনিষেধ তুলে নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে। তবে সীমন্ত খুলে দেওয়া কিংবা বন্ধের বিষয়টি প্রত্যেক দেশের নিজস্ব বিষয়। তাই এখন ইউরোপের দেশগুলোকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে, তারা সীমান্ত খুলবে কিনা এবং যুক্তরাজ্য থেকে লোকজনকে তাদের দেশে ঢুকতে দেবে কিনা।
ফ্রান্সের প্রধানমন্ত্রীর অফিস জানিয়েছে, করোনা নেগেটিভ সার্টিফিকেট নিয়ে যুক্তরাজ্য থেকে ফ্রান্সে ঢোকা যাবে। তবে এই পরীক্ষা যেন সর্বশেষ প্রযুক্তি দিয়ে হয়, যাতে নতুন ধরনের ভাইরাসকে ধরা যায়।
ফ্রান্স সীমান্ত বন্ধ করে দেওয়ায় মালামালভর্তি প্রচুর ট্রাক বর্ডারে আটকা পড়ে এবং যুক্তরাজ্যের জন্য সেটা মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
ব্রিটিশ পরিবহনমন্ত্রী জানিয়েছেন, বুধবারের মধ্যে ট্রাক চালকদের করোনা পরীক্ষা হয়ে যাবে এবং তারা সার্টিফিকেট পাবেন। করোনা না থাকলে তারা ফ্রান্সে ঢুকতে পারবেন। তবে সব ট্রাক চালকদের পরীক্ষা করে সার্টিফিকেট দিতে দুই-তিন দিন সময় লাগতে পারে।
এদিকে, নতুন বৈশিষ্ট্যের করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার পর একের পর এক দেশ যুক্তরাজ্য ভ্রমণ বাতিল করলেও তা প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। যুক্তরাজ্যে প্রয়োজনীয় ভ্রমণ পুনরায় শুরু করতে মঙ্গলবার বিভিন্ন দেশের প্রতি সুপারিশ করেছে ইউরোপীয় কমিশন। ইইউ’র ২৭টি সদস্য দেশ যুক্তরাজ্যের সঙ্গে তাদের বিধিনিষেধ সমন্বয়ের চেষ্টা করছে। বিবিসিসহ বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
ব্রিটিশ সরকার নতুন বৈশিষ্ট্যের করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার কথা জানানোর পর ৪০টির অধিকমদ দেশ যুক্তরাজ্য ভ্রমণসহ ফ্লাইট বাতিলের ঘোষণা দিয়েছে। আরও কয়েকটি দেশ একই পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বিবেচনা করছে। রবিবার ব্রিটিশ সরকারের ওই ঘোষণার পর প্রথমে কয়েকটি ইউরোপীয় দেশ এ ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর আরও কিছু দেশ তা অনুসরণ করছে।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য দেশগুলো নিজেদের সীমান্ত নিয়ন্ত্রণের বিধান নির্ধারণ করার ক্ষেত্রে স্বাধীন। ইউরোপীয় কমিশনের আহ্বান সত্ত্বেও যুক্তরাজ্য প্রশ্নে তারা নিজেদের নীতি অনুসরণ করতে পারে।
নতুন বৈশিষ্ট্যের করোনাভাইরাস বেশী সংক্রামক। তবে এটি বেশী প্রাণঘাতী সেরকম কোনও ইঙ্গিত এখনও পাওয়া যায়নি। তা সত্ত্বেও বর্তমানে ইইউ’র বেশিরভাগ সদস্য দেশই যুক্তরাজ্যের ভ্রমণকারীদের আটকে দিচ্ছে।
ইউরোপীয় কমিশন তাদের সুপারিশে বলেছে, যুক্তরাজ্যের ভ্রমণকারীদের প্রয়োজনে কোভিড-১৯ পরীক্ষা বা সেলফ আইসোলেশনের শর্তে হলেও প্রবেশের অনুমতি দেওয়া উচিত। তবে অত্যাবশ্যক নয় এমন ভ্রমণ নিরুৎসাহিত করেছে তারা। এছাড়া লরি চালকের মতো সবধরনের পরিবহনকর্মীদের সবধরনের নিষেধাজ্ঞার বাইরে রাখার সুপারিশ করেছে ইউরোপীয় কমিশন।

নিয়ন্ত্রণের বাইরে নয় নতুন ধরনের করোনাভাইরাস: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা

বৃটেনে নতুন ধরনের বা রূপান্তরিত করোনাভাইরাস এখনো নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়নি। একে বিদ্যমান ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণে আনা যেতে পারে। বৃটনে এই ভাইরাসকে কেন্দ্র করে সারা দুনিয়ায় যখন তোলপাড় চলছে তখন এ মন্তব্য করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। অবশ্য এর আগে ব্রিটিশ হেলথ সেক্রেটারি ম্যাট হ্যানকক বলেছিলেন, এই ভাইরাস নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে। নতুন এই ভাইরাস মূল করোনাভাইরাসের মতো অতো বেশী প্রাণঘাতী নয়। তবে মূল ভাইরাসের চেয়ে শতকরা ৭০ গুণ বেশি গতিতে সংক্রমিত করতে পারে। মূল ভাইরাসের গায়ে যে কাঁটার মতো অংশ আছে, তা রূপান্তরিত হয়ে এমন গুণ অর্জন করেছে। এর ফলে পোষক পেলেই সে তাতে আটকে যায় এবং আক্রান্ত করে।
এই ভাইরাসের সংক্রমণের কারণে ল-ন ও দক্ষিণ-পূর্ব ইংল্যাণ্ড টিয়ার-৪ বা সর্বোচ্চ লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। এরপর থেকে ইউরোপসহ বিশ্বের বহু দেশ বৃটেনের ফ্লাইট নিষিদ্ধ করেছে বিভিন্ন মেয়াদের জন্য। বাংলাদেশের পাশের দেশ ভারতও ব্রিটিশ ফ্লাইট নিষিদ্ধ করছে। এ অবস্থায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার জরুরী বিভাগের প্রধান মাইকেল রায়ান বলেছেন, এই মহামারিতে বিভিন্ন স্থানে সংক্রমণের হার অনেক বেশী। আমরা একে নিয়ন্ত্রণের অধীনে নিয়ে এসেছি। এই ভাইরাসকে নিয়ন্ত্রণ করতে যে পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে তা সঠিক। কোনো কোনো ক্ষেত্রে এর অর্থ হলো আমাদেরকে আরো কঠোর কাজ করতে হবে এ নিয়ে। যদি এই ভাইরাস তার সংক্রমণ বৃদ্ধির সামান্যতম কার্যকারিতা অর্জন করে তাহলে তা আমাদেরকে থামাতে হবে।
তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান বিজ্ঞানী ড. সৌম্য স্বামীনাথান দাবী করেছেন, নতুন ধরনের এই করোনা ভাইরাস এরই মধ্যে বিশ্বের অনেক দেশে ছড়িয়ে থাকতে পারে। আমার সন্দেহ যদি অধিক পরিমাণ দেশ তাদের ডাটার দিকে তাকান, তাহলে তারা এই ভাইরাসের ভ্যারিয়েন্ট বা এর সঙ্গে সম্পর্কিত ভ্যারিয়েন্ট পেয়ে যেতে পারেন। এর মধ্যে বৃটেন একটি দেশ। তারা এই ভাইরাসের পূর্ণাঙ্গ জিনোমের সিকুয়েন্স নিয়ে কাজ করছে। তাই তারা যথার্থ সময়ে এটাকে শনাক্ত করতে পেরেছে।
গত সপ্তাহে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেছেন, নতুন ভ্যারিয়েন্টের এই ভাইরাস মূল ভাইরাসের চেয়ে শতকরা ৭০ ভাগ বেশী সংক্রামক। তবে এটা অধিক প্রাণহানীকর বা মারাত্মক অসুস্থ করে এমন কোনো প্রমাণ পাওয়া যায় নি। ওদিকে কাউন্সিল ফর সায়েন্টিফিক অ্যা- ইণ্ডাস্ট্রিয়াল রিসার্সের মহাপরিচালক শেখর মা-ণ্ডে বলেছেন, করোনাভাইরাসের যে কার্যকর টিকা সেটা সমানভাবে নতুন এই ভ্যারিয়েন্ট চিকিৎসায় ব্যবহার করা যেতে পারে। তাই এটা নিয়ে নতুন করে কোনো প্যানিক বা ভীতি সৃষ্টির কোনো কারণ নেই।

Sheikhsbay

Related Articles

Back to top button
Close
Close