ইস্ট স্টাফোর্ডশায়ার কাউন্সিলের মেয়র নির্বাচিত হলেন সৈয়দ আনোয়ার হোসাইন
।। সুরমা ডেস্ক ।।
লণ্ডন, ৪ জুলাই : যুক্তরাজ্যের ইস্ট স্টাফোর্ডশায়ার কাউন্সিলের মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন লেবার পার্টির কাউন্সিলর সৈয়দ আনোয়ার হোসাইন। চলতি বছরের মে মাসে তিনি মেয়র হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। ইস্ট স্টাফোর্ডশায়ার কাউন্সিলের কাউন্সিলররা তাকে মেয়র নির্বাচিত করেন। ইস্ট স্টাফোর্ডশায়ার কাউন্সিলে তিনিই প্রথম কোন মুসলিম ও বৃটিশ বাংলাদেশি হিসেবে মেয়র নির্বাচিত হলেন।
সৈয়দ আনোয়ার হোসাইন-এর আগে ইস্ট স্টাফোর্ডশায়ারের স্ট্যাপেনহিল ও অ্যাঙ্গেলসি এলাকা থেকে কাউন্সিলর নির্বাচিত হন। তিনি একজন কাউন্টি কাউন্সিলর হিসেবে কাউন্সিলের বিরোধী দলের ডেপুটি লিডার হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।
মেয়র নির্বাচিত হওয়ার পর এক প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, ইস্ট স্টাফোর্ডশায়ারের ৩১তম মেয়রের পদ গ্রহণ করা আমার জন্য অত্যন্ত সম্মানের এবং সৌভাগ্যের। আমার বাবা-মা মারা গেছেন। আমি ২০০৪ সালে লিভারপুল, মার্সিসাইড থেকে বার্টনে চলে আসি। ১৯ বছর আগে এই টাউন হলেই আমি বিয়ে করেছি। আমার পরিবারের সহযোগিতা ছাড়া আমি এতদুর আসতে পারতাম না। তিনি তাঁর স্ত্রী, সন্তান ও পরিবারের অন্য সদস্যদের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং সকলের দোয়া ও সহযোগিতা কামনা করেন।
তিন সন্তানের জনক সৈয়দ আনোয়ার হোসাইন একজন আইনজীবি হিসেবেও সফল ছিলেন। তিনি স্থানীয় একটি সলিসিটর ফার্মে একজন অনারারি কনসালটেন্ট হিসেবে কাজ করেছেন। তিনি ডার্বি ইউনিভার্সিটি থেকে এলএলবি (অনার্স), এলএলএম (আইন বিষয়ে স্নাতকোত্তর) ও একই ইউনিভার্সিটি থেকে পাবলিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশনে বিএসএস (অনার্স) সম্পন্ন করেন। এছাড়াও তিনি সলিসিটর রেগুলেশন অথরিটি দ্বারা নিয়ন্ত্রিত লিগ্যাল প্র্যাকটিস কোর্স সম্পন্ন করেন।
উল্লেখ্য, সৈয়দ আনোয়ার হোসাইন নারীর ক্ষমতায়ন, মহিলা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম ও জোরপূর্বক বিবাহ এবং পারিবারিক সহিংসতার বিরুদ্ধে পদক্ষেপসহ বিভিন্ন বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতে কাজ করছেন। অবসরে তিনি বই পড়েন, ক্রিকেট খেলা উপভোগ করেন এবং বিতর্ক ও বক্তৃতা শুনতে পছন্দ করেন। তিনি সাপ্তাহিক সুরমার প্রধান সম্পাদক ফরীদ আহমেদ রেজা’র ভাতিজা।
সৈয়দ আনোয়ার হোসেন এর পারিবার নাম লোহিন। পিতা মরহুম সৈয়দ মোয়াজ্জম হোসাইন ও মা জেবুন্নাহার চৌধুরী। মেয়র সৈয়দ আনোয়ার হোসেনের দেশের বাড়ি সুনামগঞ্জ জেলার ঐতিহ্যাবাহি সৈয়দপুর গ্রামে। এলাকায় তাদের বাড়ি হাকিম বাড়ি হিসেবে পরিচিত।