জন্মদিনে ভালোবাসায় সিক্ত কবি আহমেদ ময়েজ
।। সুরমা ডেস্ক।।
লণ্ডন, ৫ জুলাই: নিজের জন্মদিনে শুভেচ্ছা ও ভালোবাসায় সিক্ত হলেন কবি আহমেদ ময়েজ।
গত ৩০ জুন শুক্রবার রাত ১২ টায় সুরমা কার্যালয়ে আয়োজিত জন্মদিনের অনুষ্ঠানে কবিকে শুভেচ্ছা জানাতে আসেন লণ্ডন বাংলা প্রেস ক্লাব সভাপতি ও সাপ্তাহিক পত্রিকা সম্পাদক এমদাদুল হক চৌধুরী, লণ্ডন বাংলা প্রেস ক্লাবের সিনিয়র সহসভাপতি ও সাপ্তাহিক বাংলা পোষ্ট সম্পাদক তারেক চৌধুরী, লণ্ডন বাংলা প্রেস ক্লাবের সাবেক সহসভাপতি ও টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিলের মিডিয়া অফিসার মাহবুব রহমান, প্রাবন্ধিক ও কমিউনিটি অ্যাকটিভিস্ট পীর আহমেদ কুতুব, দ্যা গ্রেট বেঙ্গল টুডের প্রধান সম্পাদক ও দ্যা গ্রেট বেঙ্গল টিভির পরিচালক হাসনাত আরিয়ান খান, এনটিভির চিফ রিপোর্টার ও ইউকে বাংলা মাল্টিমিডিয়া পরিচালক আকরাম হোসাইন, সাপ্তাহিক পত্রিকার প্রধান প্রতিবেদক তবারুকুল ইসলাম পারভেজ, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী হেলাল রহমান, সাপ্তাহিক সুরমার এমডি হায়দার খান নান্না, বার্তা সম্পাদক কবি কাইয়ুম আবদুল্লাহ, ক্রীড়া সম্পাদক কবি শরীফুজ্জামান শরীফসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। তাঁরা কেক কেটে জন্ম দিনের গান গেয়ে কবিকে শুভেচ্ছা জানান। গান ও কথামালায় প্রচণ্ড ব্যক্তি স্বাতন্ত্র্যবোধসম্পন্ন কবি আহমেদ ময়েজকে সকলেই অভিনন্দন জানান।
অনুষ্ঠান বললে যে রকমের জাঁকজমক, আনুষ্ঠানিকতার কথা মনে আসে তেমন না হলেও সম্পূর্ণ অনাড়ম্বর ও ছিমছাম পরিবেশে আয়োজনটি ছিল নিখাঁদ শ্রদ্ধা ও প্রীতিতে উষ্ণ। ১লা জুলাই কবি আহমেদ ময়েজের জন্মদিন উপলক্ষে তাঁর পাঠক-স্বজন-সুহৃদরা করেছিলেন এ আয়োজন। উদ্দেশ্য, কবির লেখা কবিতা পাঠ আর ফেলে আসা দিনের স্মৃতিচারণার মধ্য দিয়ে তাঁর সান্নিধ্যে খানিকটা সময় কাটানো। নির্ধারিত সময়ের বেশ খানিকটা পরে অনুষ্ঠান শুরু হলেও উপভোগ্য হয়ে উঠতে খুব বেশি সময় লাগেনি। অনুষ্ঠান শেষে মরমি ভাবধারায় আপ্লুত কবি আহমেদ ময়েজ বাউল গান গেয়ে শোনান। এসময় কবির গানের সাথে অনেকেই গলা মেলান।
জন্মদিনে বিলেতে শেঁকড় সন্ধানী বাংলা ভাষার এ অগ্রগণ্য কবিকে নিয়ে আড্ডা, একটু শুভকামনা খুব বেশি কিছু নয়। সকলের শুভকামনা স্রষ্টার শ্রবণগ্রাহ্য হোক, সুদীর্ঘ সুখের হোক কবির পথচলা।
প্রসঙ্গত, কবি আহমদ ময়েজ নাম অর্জনের কবিতা লিখেন না, তিনি কবিতার সাধনা করেন। তিনি বোদ্ধা কবি ও সাহিত্যিক মহলে ইতোমধ্যে শুদ্ধতা, শুভ্রতা ও মরমি কবি হিসেবে খ্যাতি লাভ করেছেন। তাঁর একটি উক্তি সর্ব মহলে খুবই সমাদৃত হয়েছে। উক্তিটি হলো- কবি যেখানে দাঁড়াবেন সেখান থেকে পথ নির্ণয় হবে। কবি যদি রাজনৈতিক নেতাদের পেছনে দাঁড়ান তাহলে তিনি কবি নন, দলকর্মী।