নিউজ

জুডিশিয়াল রিভিউর অনুমতি পেলো ‘সেইভ ব্রিকলেন’

ব্রিকলেইনের ঐতিহ্য রক্ষার আন্দোলন

।। সুরমা ডেস্ক ।।
লণ্ডন, ৭ মার্চ : টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিল কর্তৃক ব্রিকলেইনের ‘ট্রুম্যান ব্রিউরি’ ভবনে বিশাল শপিং মল এবং অফিস কমপ্লেক্স করার অনুমোদনের বিপক্ষে আন্দোলনকারীদের জুডিশিয়াল রিভিউ করার অনুমতি দিয়েছে আদালত। আদালতের এই অনুমোদনকে ব্রিকলেইনের ঐতিহ্য রক্ষার করার এক ধাপ অগ্রগতি হিসেবে দেখছেন ‘সেইভ ব্রিকলেন’ ক্যাম্পেইনের আন্দোলনকারীরা।

উল্লেখ্য, স্থানীয় কমিউনিটির মতামতকে উপেক্ষা করে বাংলা টাউন এলাকার ব্রিকলেইনে বড় বাণিজ্যক শপিং মল এবং অফিস কমপ্লেক্স করার অনুমোদন দিয়েছে টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিল। কাউন্সিলের এই সিদ্ধান্ত অন্যান্য এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের জন্য ক্ষতিকর আখ্যায়িত করে কমিউনিটির বাতিল চেয়ে আদালতে গিয়েছিলো ব্রিকলেইনের ঐতিহ্য রক্ষার আন্দোলনে লিপ্ত সংগঠনগুলো। হাইকোর্ট আন্দোলনারীদের আবেদন গ্রহণ করেছে এবং বিষয়টিতে জুডিশিয়াল রিভিউর অনুমোদন দিয়েছে।

সম্প্রতি স্পিটাল ফিল্ডস ট্রাস্টের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়। আদালতের এমন সিদ্ধান্তকে দাবী আদায়ের পক্ষে একটি বড় ধাপ হিসেবে দেখছেন আন্দোলনকারীরা। গত ২৪ ডিসেম্বর এক সংবাদ সম্মেলনে ‘সেইভ ব্রিকলেইন’ আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ আইনী পদক্ষেপ গ্রহণের কথা জানিয়েছিলেন।

ব্রিকলেইনের ‘ট্রুম্যান ব্রিউরি’ ভবনে বিশাল শপিং মল এবং অফিস কমপ্লেক্স করার অনুমোদন দিয়েছে টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিল। এই পরিকল্পনা নিয়ে কাউন্সিল পরিচালিত মতামত যাচাইয়ে সাড়ে সাত হাজারের বেশী মানুষ প্রকল্পটির বিপক্ষে অবস্থান জানিয়েছিলেন। বিপরীতে মাত্র ৮২ জন ব্যক্তি প্রকল্পটির পক্ষে মত দিয়েছিলেন। অথচ বিপুলসংখ্যাক স্থানীয় বাসিন্দার আপত্তি ও মতামত উপেক্ষা করে গত বছরের ১৪ সেপ্টেম্বর কাউন্সিলের প্ল্যানিং কমিটি প্রকল্পটির অনুমোদন দেয়। প্ল্যানিং কমিটিতে ছিলেন মাত্র তিনজন। ওই তিনজনের মধ্যে কাউন্সিলর আব্দুল মুকিত চুন্নু প্রকল্পটির বিপক্ষে ভোট দেন। আর বাকী দুজন কাউন্সিলর কাহার চৌধুরী ও ক্যারেন ব্রাডি প্রকল্পটির পক্ষে ভোট দেন। এই দুজনের ভোটেই সাড়ে সাত হাজার বাসিন্দার মতামত নাকচ হয়ে যায়। প্রকল্পটি পাশের এই প্রক্রিয়া কতটা যৌক্তিক সেই প্রশ্নও তুলেছেন আন্দোলনকারীরা।

ক্যাম্পেইনাররা বলছেন, এমন বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানকে ব্রিকলেইনে জায়গা দেয়ার কারণে এ এলাকায় ঘর—বাড়ির দাম ও ভাড়া অস্বাভাবিক হারে বাড়বে। মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে স্থানীয় লোকজনের ছোটখাট ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো। ভাড়া পোষাতে না পেরে স্থানীয় গরিব বাসিন্দারা দ্রুত এই এলাকা ছেড়ে যেতে বাধ্য হবেন। বছরের পর বছর ধরে কমিউনিটি গড়ে তোলা স্থানীয়দের হটিয়ে বড় বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান ও ধনীদের জায়গা করে দেয়ার এই প্রক্রিয়া সোশ্যাল ক্লিনজিং বা উচ্ছেদের সামিল বলে মন্তব্য করেন তারা। ‘সেইভ ব্রিক লেইন’ ক্যাম্পেইনের সঙ্গে যুক্ত সংগঠনগুলো হলো— বেঙ্গলি ইস্ট অ্যান্ড হেরিটেইজ সোসাইটি, ইস্ট অ্যান্ড প্রিজারভেশন সোসাইটি, নিজর মানুষ এবং স্পিটালফিল্ডস ট্রাস্ট।

Sheikhsbay

Related Articles

Back to top button
Close
Close