নিউজ

‘বাত্তিহীন’ হোয়াইটচ্যাপেলের বাংলা সাইন, ‘আন্ধারে’ই রেখে গেলেন জন বিগস

।। সুরমা প্রতিবেদন ।।
লণ্ডন, ২০ মে : ব্যস্ততম হোয়াইটচ্যাপেল স্টেশনের একপাশে আলো থাকলেও অন্য পাশ অন্ধকার। বিভিন্নভাবে ক্যাম্পেইনের ফলে ইস্ট লণ্ডনের প্রাণকেন্দ্র বাংলাপাড়ার হোয়াইটচ্যাপেল স্টেশনে সম্প্রতি ইংরেজীর পাশাপাশি সংযুক্ত হয়েছে বাংলা সাইন। কিন্তু শুরু থেকেই বাত্তিবিহীন রয়েছে সাইনটি। তাড়াহুড়ো করে করতে যেতে যেয়ে তা সঠিভাবে বসানো কিংবা তাতে আলোর সংযোগ করা হয়নি। ফলে রাতের বেলা অন্ধকারই থাকে এবং কারোরই তাতে নজরে পড়ে না। সাইনটি বসানোর পরপরই দেখা গেছে যে, তা সঠিকভাবে বসানো হয়নি। কেবল একটি স্টিকারে বাংলা লিখে বসিয়ে দেয়া হয়েছিলো। নির্বাচনকে সামনে এভাবে তড়িঘড়ি করে সেটি করা দেখে তখনই অনেকের মনে সন্দেহের উদ্রেগ হয়েছিলো। তাই বিভিন্নজনের প্রশ্নের মুখে তৎকালীন মেয়রের পক্ষ থেকে ২৯ এপ্রিলের মধ্যে তা করার কথা জানানো হলেও সেই নির্ধারিত সময় পেরিয়ে অনেক দিন অতিবাহিত হবার পরও তা আর করা হয়নি এবং আদৌ তা করা হবে কিনা তা নিয়ে চলছে নানা জল্পনা।

ট্রান্সফোর্ট ফর লণ্ডন (টিএফএল) এর পক্ষ থেকেও এক চিঠিতে তা ২৯ এপ্রিলের মধ্যে লাগানোর ব্যাপারে আশ্বস্থ করা হয়েছিলো। এই বাংলা সাইন বসানোর ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কতৃর্পক্ষের কাছে লিখিতভাবে ক্যাম্পেইনকারী স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুল কাইয়ূম চৌধুরীকে কর্তৃপক্ষ কিছুদিন আগে এমনটি জানিয়েও ছিলো। কিন্তু নির্ধারিত সময় পেরিয়ে অনেকদিন হয়ে গেলেও তা এখনো যেই সেই অবস্থায় রয়ে গেছে। আব্দুল কাইয়ূম চৌধুরী লাইট না লাগানোর কারণ জানতে চেয়ে সংশ্লিষ্টদের বরাবরে আবার চিঠি লিখলে উত্তরে তাকেও এমন আশ্বাস দেয়া হয়। কিন্তু সাইনটি বসানোর দুই মাসেরও অধিক সময় অতিবাহিত হওয়ার পরও তাতে এখানো লাইট বসানো হয়নি। ফলে রাতে বেলা বাংলা সাইনের পুরো সাইটটি অন্ধকারে ঢাকা পড়ে থাকে।
সম্প্রতি নির্বাচনে হেরে জন বিগসও চলে গেছেন। এখন সেটি নতুন মেয়র বাস্তবায়ন করবেন কিনা, করলেও কবে করবেন তা জানার জন্য অনেকেই উদগ্রীব হয়ে আছেন। তবে অনেকেই আশা, বিপুল জনরায়ে নির্বাহী মেয়র পদে ফিরিয়ে আসা মেয়র লুৃৎফুর রহমান বাঙালির অর্জনকে সম্মান জানিয়ে শীঘ্রই তাতে বাতি জ্বালানোর উদ্যোগ নেবেন।

উল্লেখ্য, হোয়াইটচ্যাপেল স্টেশনে প্রতিদিন হাজার হাজার ভিন্ন ভাষাভাষীও জাতি সত্তার মানুষ চলাচল করে থাকেন। এ স্টেশনের নাম বাংলায় লেখার জন্য নানা পর্যায় থেকে দাবী ওঠলেও শ্যাডওয়েলের বাসিন্দা আব্দুল কাইয়ূম চৌধুরীই যথাযথ কর্তৃপক্ষ বরাবরে অফিসিয়েলি চিঠি লিখে এই দাবী উত্থাপন করেন। ক্যাম্পেইনারদের দাবী মেনে নিয়ে কতৃর্পক্ষ বাংলা সাইন বসাতে সম্মত হয় এবং সেই আলোকে গত ১৫ মার্চ তৎকালীন মেয়র জন বিগস টিএফএল‘র উর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং লণ্ডনস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশনার সাঈদা মুনা তাসনিমকে নিয়ে সেটি আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। তবে সাইনটি স্থাপিত হয় তারও কয়েক সপ্তাহ আগে।

Sheikhsbay

Related Articles

Back to top button
Close
Close