নুন্যতম মজুরি ২৩হাজারের দাবিতে গার্মেন্টস শ্রমিকদের বিক্ষোভ -পুলিশের লাঠিচার্জ সাউন্ড গ্রেনেড ও টিয়ারশেল
সর্বশেষ ২০১৮ সালে নুন্যতম মজুরি করা হয়েছিল ৮০০০, তখন চালের দাম ছিল ৩০টাকা
সুরমা ডেস্ক।। দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতিতে গার্মেন্টস শ্রমিকদের জীবনযাত্রা দুর্বিসহ হয়ে উঠায় নুন্যতম মজুরি ২৩হাজার করার দাবিতে সোমবার থেকে গাজীপুরের কয়েকটি এলাকায় শ্রমিকদের বিক্ষোভ অব্যাহত রয়েছে। তৃতীয় দিনের মতো বিক্ষোভ চলাকালে বৃহস্পতিবার পুলিশ গার্মেন্টস শ্রমিকদের উপর কয়েকদফা লাঠিচার্জ -সাউন্ড গ্রেনেড ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে।
জানা গেছে , কোনাবাড়ি,মৌচাক ও শফিপুর এলাকায় গত কয়েক দিন লাগাতার সমাবেশ ও বিক্ষোভ করেছে শ্রমিকরা। এসব সমাবেশের খবর ও ছবি আমাদের হাতে এসেছে। বিভিন্ন সূত্রে ভেরিফাই করে নিশ্চিত হওয়া গেছে এবং এসব খবর যাতে জাতীয় পর্যায়ে গণমাধ্যমে ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার নিয়ন্ত্রণে স্থানীয় আইন শৃঙ্খলা বাহিনী ভূমিকা রাখছে বলে আমাদের সূত্রগুলো নিশ্চিত করেছে। তবে ওই এলাকায় শ্রমিক নেতা শহীদুল ইসলামসহ গার্মেন্টস শ্রমিকদের উপর হামলা ও হত্যাকান্ডের জন্য দায়ী ব্যাক্তিদের গ্রেফতার ও বিচারের দাবিতেও শ্রমিকরা দাবি জানিয়ে আসছে।
গাজীপুরে গার্মেন্টস শ্রমিক নেতা শহীদুল ইসলামের হত্যাকারীদের গ্রেফতার ও বিচারের দাবিতেও শ্রমিকরা সোচ্চার।
আশকোনা এলাকায় এম এম গার্মেন্টস সহ কয়েকটি বড় গার্মেন্টস থেকে কয়েক হাজার শ্রমিক বৃহস্পতিবার বিক্ষোভে অংশ নেয়। একপর্যায়ে বিক্ষুদ্ধ শ্রমিকরা সড়ক অবরোধ করে। এ সময় পুলিশ তাদের উপর কয়েক দফা লাঠিচার্জ ও ভীতি সঞ্চারের জন্য সাউন্ড গ্র্যান্ডেট নিক্ষেপ করে। এতে কয়েকজন শ্রমিক সামান্য আহত হয়। তবে পরক্ষণে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়।
সম্মিলিত গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের নেত্রী নাজমা আক্তারের সাথে যোগাযোগ করলে টেলিফোনে তিনি সাপ্তাহিক সুরমাকে বলেন, সর্বশেষ ২০১৮ সালে গার্মেন্টস শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি করা হয়েছিল মাত্র ৮০০০ টাকা। তখন চালের দাম ছিল ৩০ টাকা আর এখন চালের দাম ৭০ টাকা অথচ বেতন একই রাখা হয়েছে। আমরা এর আগে বলেছি নূন্যতম মজুরি ২৩ হাজার করা হোক অথবা রেশনের ব্যবস্থা করা হোক। মালিকপক্ষ এবং সরকার কোন কিছুই করেনি। যার ফলে গার্মেন্টস শ্রমিকরা দ্রব্যমুল্যের ভয়াবহ পরিস্থিতিতে কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছে।তিনি গত কয়েকদিনের শ্রমিকদের আন্দোলন ও আন্দোলনরত
শ্রমিকদের উপর হামলার
খবরের সত্যতা স্বীকার করে বলেন,অবিলম্বে গার্মেন্টস শ্রমিকদের দাবি মানা না হলে শ্রমিকরা বড় ধরনের আন্দোলন যেতে বাধ্য হবে।