বিশ্ব ভালোবাসা দিবসে ব্রিটিশ বাংলাদেশি সাংবাদিকদের ব্যতিক্রমী উদ্যোগ
- ফিলিস্তিনের জনগণের প্রতি ভালোবাসা উৎসর্গ।
- ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে থাকা মানুষের প্রতি সংহতি।
- গাজায় গণহত্যার প্রতিবাদে শহীদ মিনারে প্রতিবাদ সমাবেশ।
।। সুরমা ডেস্ক ।।
লণ্ডন, ১৭ ফেব্রুয়ারি- বিশ্ব ভালোবাসা দিবসে ফিলিস্তিনের জনগণের প্রতি ভালোবাসা উৎসর্গ করে ও ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্টার লড়াইয়ে থাকা মানুষের প্রতি সংহতি এবং গাজায় গণহত্যার প্রতিবাদে পূর্ব লণ্ডনে এক ব্যতিক্রমী সমাবেশ করেছেন ব্রিটিশ বাংলাদেশি সাংবাদিকরা।
পূর্ব লণ্ডনের বাঙালি পাড়া খ্যাত টাওয়ার হ্যামলেটসের আলতাব আলী পার্কের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বরে গত ১৪ ফেব্রুয়ারি বুধবার ব্রিটিশ বাংলাদেশি সাংবাদিকদের আয়োজনে এই প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়৷
প্রতিবাদ সমাবেশে সাংবাদিকরা বলেন, বিশ্ব ভালোবাসা দিবসে নিপীড়িত ও নির্যাতিত ফিলিস্তিনি জনগণের প্রতি আমরা আমাদের ভালোবাসা উৎসর্গ করছি। গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে বর্বর ইসরায়েলি হামলায় এ পর্যন্ত প্রায় ২৯ হাজার নিরপরাধ মানুষ নিহত হয়েছেন। এছাড়া প্রায় ৬৮ হাজার মানুষ আহত হয়েছেন। এর মধ্যে নারী, শিশু ও বয়োবৃদ্ধ নাগরিকরা আছেন। গাজার অন্যান্য অংশ থেকে বাস্তুচ্যুত হয়ে অসংখ্য ফিলিস্তিনি ‘নিরাপদ অঞ্চল’ বলে অভিহিত রাফাহ শহরে আশ্রয় নিয়েছেন। ইসরায়েলি সেনারা এখন দক্ষিণ গাজার রাফাহ অঞ্চলে সর্বাত্মক অভিযান চালানোর পরিকল্পনা করছেন। ফিলিস্তিনকে বিশ্ব মানচিত্র থেকে মুছে ফেলতেই ইসরায়েলি সেনারা এই যুদ্ধ করছেন। যুদ্ধের নামে তারা ভয়াবহ গণহত্যা ও জাতিগত নিধন চালাচ্ছেন। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই এবং অবিলম্বে যুদ্ধ বন্ধের আহবান জানাই।
সাংবাদিকরা আরও বলেন, দখলদার ইসরায়েল ফিলিস্তিনে নিরপরাধ মানুষের ওপর ঘৃণ্য হামলা চালাচ্ছে। তারা প্রতিদিন শত শত শিশু, নারী, বৃদ্ধসহ নিরপরাধ সাধারণ মানুষকে হত্যা করছে। অথচ বিশ্বের মানবাধিকারের ধ্বজাধারীরা নীরবে ইসরাইলের এই গণহত্যা দেখে যাচ্ছে। গাজায় ইসরায়েলের নির্বিচার বোমা বর্ষণ ও সৃষ্ট মানবিক সংকট ইসরায়েলের বিরুদ্ধে বিশ্বজুড়ে মানুষের তীব্র ক্ষোভ ও ঘৃণা বাড়াচ্ছে। আমরা ফিলিস্তিনি নাগরিকদের ক্ষয়ক্ষতি এবং আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনের যেকোনো কর্মকাণ্ডের বিরোধিতা ও তীব্র নিন্দা করি। রাফাহ এলাকায় গুরুতর মানবিক বিপর্যয় রোধ করতে এবং বেসামরিক হতাহতের ঘটনা এড়াতে ইসরায়েলকে তার সামরিক অভিযান “যত দ্রুত সম্ভব” বন্ধ করতে হবে।’ যুদ্ধ বন্ধ না হলে সেখানে ‘গুরুতর মানবিক বিপর্যয়’ ঘটবে। এর সকল দায় দায়িত্ব ইসরায়েলকে নিতে হবে। ফিলিস্তিনে চলমান হামলা ও সহিংসতার জন্য ইসরায়েল দায়ী। অবিলম্বে এ আগ্রাসন বন্ধ করতে হবে। অবিলম্বে ফিলিস্তিনকে একটি স্বাধীন-সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিতে হবে।
বিট্রিশ বাংলাদেশি সাংবাদিকরা জাতিসংঘসহ বিশ্বশক্তিকে ইসরায়েলের এই গণহত্যা বন্ধ করতে কার্যকর ভূমিকা নিতে আহ্বান জানান। এবং ফিলিস্তিনে পেশাগত দায়িত্ব পালন কালে প্রায় শতাধিক সাংবাদিক হত্যার তীব্র নিন্দা জানান।
লন্ডন বাংলা প্রেসক্লাবের সাবেক প্রেসিডেন্ট বিশিষ্ট সাংবাদিক ‘সাপ্তাহিক জনমত’ সম্পাদক সৈয়দ নাহাস পাশার সভাপতিত্বে এবং বিশ্ব বাংলা নিউজের সম্পাদক শাহ মোস্তাফিজুর রহমান বেলালের পরিচালনায় উক্ত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, দ্য ডেইলি স্টারের যুক্তরাজ্য প্রতিনিধি ও বেঙ্গলিজ ফর প্যালেস্টাইনের নেতা সাংবাদিক আনসার আহমেদ উল্লাহ, ‘সাপ্তাহিক জনমত’ এর নির্বাহী সম্পাদক মোসলেহ উদ্দীন আহমেদ, জৈষ্ঠ সাংবাদিক বদরুজ্জামান বাবুল, ‘দ্য এডিটর২৪’ এর সম্পাদক আহাদ চৌধুরী বাবু, ‘স্বদেশ বিদেশ’ সম্পাদক বাতিরুল হক সরদার, ‘দ্য গ্রেট বেঙ্গল টুডে’র এডিটর ইন চিফ ও ‘সাপ্তাহিক সুরমা’র চিফ রিপোর্টার হাসনাত আরিয়ান খান, ‘এমএএইচ লণ্ডন টিভি’র পরিচালক আব্দুল হামিদ টিপু, সাংবাদিক রুমি হক, সাংবাদিক গোলাম মোহাম্মদ কিনু, ‘চ্যানেল এস’ এর সিনিয়র রিপোর্টার রেজাউল করিম মৃধা, বাংলা পেইজের সম্পাদক ও দৈনিক মানবজমিনের যুক্তরাজ্য প্রতিনিথি খালেদ মাসুদ রনি, সাংবাদিক আমিনুর চৌধুরী, সাংবাদিক সালেহ আহমেদ, সাংবাদিক মির্জা আবুল কাশেম, ফটো সাংবাদিক এখলাছুর রহমান পাক্কু ও সাংবাদিক মোহাম্মদ ছাদিক রহমান প্রমুখ।