নিউজহোম

২৮ অক্টোবর লগি-বৈঠার তান্ডবসহ সকল গুম-খুনের বিচার দাবিতে লন্ডনে প্রতিবাদ সভা

২৮ অক্টোবর লগি বৈঠা দিয়ে গণহত্যার রাজনীতি শুরু করেছে আওয়ামী লীগ নেতা, এখন বিচারের পালা

সুরমা ডেস্ক।। যুক্তরাজ্য ভিত্তিক মানবাধিকার সংগঠন ফাইট ফর রাইটস ইন্টারন্যাশনাল ও রাইটস অফ দ্যা পিপল এর যৌথ উদ্যোগে ৩০ অক্টোবর (সোমবার) ২০২৩ পূর্ব লন্ডনের আলতাব আলী পার্কে রক্তাক্ত ২৮ অক্টোবর ২০০৬ এর লগি-বৈঠার তান্ডবসহ সকল গুম-খুনের বিচার দাবিতে এক প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে বক্তারা বলেন,২৮ অক্টোবর লগি বৈঠা দিয়ে গণহত্যার রাজনীতি শুরু করেছে আওয়ামী লীগ নেতা, এখন বিচারের পালা। এই সরকার সেই গণহত্যার বিচার করতে ব্যর্থ হয়েছে। জনগণের নির্বাচিত পরবর্তী সরকার অবশ্যই সে হত্যাকাণ্ডের বিচার করবে বলে বক্তারা আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

ফাইট ফর রাইটস ইন্টারন্যাশনালের সভাপতি মো : রায়হান উদ্দিনের সভাপতিত্বে এবং সেক্রেটারী বুরহান উদ্দিন চৌধুরী ও রাইটস অব দ্যা পিপল এর সেক্রেটারি ফয়েজ আহমদ এর যৌথ পরিচালনায় উক্ত সভায় উদ্বোধনি বক্তব্য রাখেন রাইটস অব দ্যা পিপল এর সভাপতি আসাদুজ্জামান শাফী। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জামায়াতে ইসলামীর সিলেট মহানগরীর সাবেক সেক্রটারি সিরাজুল ইসলাম শাহিন।অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ইসলামি ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দীয় অফিস সম্পাদক ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাবেক সভাপতি মোঃ শামসুল আলম গোলাপ। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন রাইটস অব দ্যা পিপল এর উপদেষ্টা সৈয়দ জুলকারনাইন জুম্মা ও এফআরআই এর সিনিয়র সহসভাপতি মোঃ তরিকুল ইসলাম।

সভায় প্রধান অতিথি বলেন, ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবরের ঘটনা ইতিমধ্যে প্রমাণিত হয়েছে দূর থেকে রিমোর্ট কন্ট্রোলের মাধ্যমে বিদেশী শক্তির ইশারায় ক্ষমতালোভী শেখ হাসিনা অবৈধ ভাবে ক্ষমতায় আসার নীল নকশা এঁকেছিলো।তিনি ২৮ অক্টোবরের ঘটনাকে পলাশীর সাথে তুলনা করে তিনি বলেন, ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর ২৫০ বছরের ব্যবধানে মূলত পল্টন ছিলো সেই পলাশীর আম্রকানন। সেদিন বিশ্বাসঘাতকদের সহযোগিতায় লগি-বৈঠা দিয়ে পিটিয়ে মানুষ মেরে লাশের ওপর নৃত্য করেছিলো আওয়ামী হায়েনারা।বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে এটি ছিলো প্রথম ঘটনা।তিনি এই হত্যাকান্ডের সাথে জড়িতদের বিচার দাবি করেন এবং অবিলম্বে জামায়াত আমীরসহ কারাগারে আটক সকল বিরোধী নেতার মুক্তি দেয়ার আহবান জানান।

প্রধান বক্তা বলেন, ২০০৬ সালে ২৮ অক্টোবর আওয়ামী লীগ সন্ত্রাসীরা লগি-বৈঠা নিয়ে জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীদের উপর হায়েনার মতো ঝাপিয়ে পড়ে সাপের মতো পিটিয়ে হত্যা করে।ওই দিন সারাদেশে ১৭ জন নেতা কর্মীকে শহীদ করেছে। আর এই হত্যার মধ্যদিয়ে এদেশে গণতন্ত্র হত্যার কাজ শুরু করেছে আওয়ামী লীগ।২৮ অক্টোবর লগি-বৈঠাধারীদের হত্যা, সন্ত্রাস ও নৈরাজ্য সৃষ্টির ঘটনা বাংলাদেশের রাজনীতিতে এক কলঙ্কজনক অধ্যায় হিসেবে চিহ্নিত হয়ে থাকবে।গত ১৫ বছরে স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ লুটপাট করে দেশের অর্থনীতি ধ্বংস করেছে।জামায়াতের ১১ জন শীর্ষনেতাসহ আমাদের ৩৭৫ জন নেতা-কর্মীকে হত্যা করেছে।অসংখ্য আলেমকে হত্যা করা হয়েছে।সরকার সাড়ে ১৩ শত আলেমকে গ্রেফতার করেছে।জামায়াতের লাখ লাখ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়েছে। কয়েক হাজার নেতাকর্মী পঙ্গুত্ব বরণ করেছে।এসবের বিচার হতে হবে।তাই ফ্যাসিস্ট, জালিম সরকারের পতন এবং কেয়ারটেকার সরকার প্রতিষ্ঠা ও নেতা-কর্মীদের মুক্তি না হওয়া পর্যন্ত আমরা অন্দোলন চালিয়ে যাবো ইনশাআল্লাহ।

সভাপতির বক্তব্যে রায়হান উদ্দিন বলেন, ২৮ অক্টোবর বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে কালো অধ্যায় রচনা করা হয়েছে।আমরা যদি ঐক্যবদ্ধ ভাবে আন্দোলন করি তাহলে জামায়াত আমীর ডাঃ শফিকুর রহমান ও কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক মতিউর রহমান আকন্দ, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর মুক্তি পাবে। আর যদি ঐকবদ্ধ না হয় তাহলে ২৮ অক্টোবর , ৫ মে হতেই থাকবে। তাই, আমাদের পরিবর্তন হতে হলে নিরপক্ষ নির্দলীয় তত্তাবধয়ক সরকারের অধিনে নির্বাচন হতে হবে।

অন্যান্যের মধ্যে আরও বক্তব্য রাখেন,সহ সভাপতি আমিনুল ইসলাম মুকুল, আহমদ আলী, সাদেক খান,মির্জা আবুল আহমদ, এফআরআই এর সহকারী সম্পাদক মো:ইকবাল হোসাইন, কামরুল ইসলাম রাকিব, মোঃ তাজুল ইসলাম, সাংগটনিক সম্পাদক আব্দুস সামাদ খান, সহকারী আশরাফুল আলম,সহকারি ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট সম্পাদক মাসুক ই এলাহী,সহ অর্থ বিষয়ক সম্পাদক মাহফুজ আহমদ চৌধুরি, সহকারী অফিস সম্পাদক তোফায়েল আহমেদ ,আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ইকবাল হোসেন ,শিক্ষ ও সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক রায়হান চৌধুরী,তথ্য বিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান,
এসময় উপস্থিতিদের মধ্যে আরো বক্তব্য রাখেন রাইটস অফ দ্যা পিপল এর সিনিয়র সহ সভাপতি নূরুল ইসলাম মাসুদ,সাংগঠনিক সম্পাদক নাজমুল ইসলাম,সহ সভাপতি ইমরান আহমদ, সহ সভাপতি আব্দুল্লাহ আলামিন, সহ সাধারণ সম্পাদক রোহান তারিক, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল কুদ্দুস, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মাহফুজুর রহমান খান, সহ-দপ্তর সম্পাদক মো:সোয়েব ইসলাম,সহ-অফিস সম্পাদক মামুনুর রশিদ,এমডি তাহমিদুল ইসলাম ,অর্থ সম্পাদক কামরুল হাসান ভূইয়া,মানবাধিকার কর্মী ইকবাল হুসাইন, রহমান, আবদুল্লাহ নাঈম,রায়হান আহমদ,মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা হামিম আক্তার আলো, সাইদা রিপা বেগম(সহকারী সম্পাদক),সহ-সাংস্কৃতিক সম্পাদক মো:বিপ্লব মাহমুদ,রফিক আহমদ।

সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, পীরজাদী তাছনীয়া হোসেইন তমা ,নাইম আহমদ ,মোঃ রাসেল খান,জুবায়ের আহমেদ সিদ্দিকী সুইট, সোহেল আহমেদ, মো: জুমেল হোসাইন, মারুফ উদ্দিন, আশরাফ চৌধুরী শুভ, মো:বিপ্লব মাহমুদ ,আব্দুর রহমান,মাহবুব আলম তারেক,হামিদ মিয়া,মো:তাজুল ইসলাম,ফরহাদ আহমদ এমন,ফাহমিদ আহমদ,দিলোয়ার করিম সাজু,মো:সালাহ উদ্দিন গাজী,মোহাম্মদ আলী,হামীম আক্তার আলো, জুবায়ের আহমদ,তোফায়েল আহমদ,মো:আব্দুল জলিল,জুবায়েদ আহমদ,আনিসুর রহমান,রিজভী উদ্দিন আহমেদ, মো: জাহেদুল ইসলাম, সঞ্জয় মল্লিক,মো:সমশির উদ্দিন,সালমান মনসুর,জুয়েল,মো: ইরফানুল হক রাব্বি, মো:আশিক সরকার,তানভীর উর রশিদ,মুকিবুর রহমান নিলয়,শাহ আলম, ফরহাদ হোসাইন, নাসির আহমেদ, সানি, এহসান রহমান,জেবরুল আমিন,আদনান চৌধুরী,মো:শরিফুল ইসলামসহ আসদুল ইসলাম লাকী ,জাহিদুল ইসলাম, রেজাউল করিম ইমন,মোহাম্মদ শামসুল ইসলাম কবির ,ওয়াকিল আহমদ,ইশতিয়াক হোসেন ,মোঃ অহিদুল ইসলাম,হাবিবুর রহমান ,রিজভী উদ্দিন আহমেদ, দেলওয়ার হোসেন,মোঃ ইমরান আহমদ কামিল, মোঃ সাইফুর রহমান , মোঃ ইকবাল হোসেন ,আবু হাসান, মোঃ নুরুল ইসলাম , আজিজুর রহমান , রাইয়ান আহমদ ,শাহ আলম, এহসান রহমান, দেলওয়ার হোসেন লোদী,সোহেল আহমদ ,রিজভী উদ্দিন আহমেদ , মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম, আব্দুর রহমান,সুমন সিংহ প্রমুখ।

Sheikhsbay

Related Articles

Back to top button
Close
Close