নিউজ

১৯৭২ সালে একটি সম্পাদকীয়র জন্য আব্দুস সালামকে সম্পাদকের পদ ছাড়তে হয়েছে

সৎ ও সাহসী সাংবাদিকতার পথিকৃতের ১১৩তম জন্মবার্ষিকী

ভাষা আন্দোলনে প্রথম কারাবরণকারী সাংবাদিক আবদুস সালাম ছিলেন অন্যায় ও অনিয়মের বিরুদ্ধে সৎ ও সাহসি সাংবাদিকতার পথিকৃত। বর্তমান সময়ের তরুণ সাংবাদিকদের নীতি নৈতিকতা ও আদর্শকে ধারণ করতে তাকে স্মরণ করতে হবে।

গতকাল শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে দি বাংলাদেশ অবজারভারের সাবেক সম্পাদক মরহুম আবদুস সালামের ১১৩তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হক। দি ডেইলি অবজারভার সম্পাদক ইকবাল সোবহান চৌধুরীর সভাপতিত্বে সভায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন ও সাবেক সভাপতি শওকত মাহমুদ, যুগান্তর সম্পাদক সাইফুল আলম, প্রেস ইনস্টিটিউটের সাবেক মহাপরিচালক ড. আব্দুল হাই সিদ্দিক, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি এম আব্দুল্লাহ, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি কাজী রফিক, আবদুস সালামের কনিষ্ঠ কন্যা রেহানা সালাম ও নাতনী মরিয়ম সুলতানা, ঢাকাস্থ ফেনী সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি তানভীর আলাদীন, আইনজীবি শহিদুল্লাহ মজুমদার, অধ্যাপক ড. শহীদ মঞ্জুর বক্তব্য রাখেন।

সভা সঞ্চালনা করেন সাংবাদিক আবদুস সালাম স্মৃতি সংসদের সাধারণ সম্পাদক ও সমকালের সহযোগী সম্পাদক লোটন একরাম। এ সময় তিনি আবদুস সালামের স্মৃতি সংরক্ষণে রাজধানীতে একটি সড়ক নামকরণসহ তিনটি দাবি তুলে ধরেন।
অধ্যাপক আবুল কাশেম ফজলুল হক বলেন, আবদুস সালামের লেখার জন্য পত্রিকা বন্ধ হয়ে যাওয়ার মতো ঘটনাও ঘটেছে। সর্বজনের কল্যাণে কাজ করার জন্যই তিনি সাংবাদিকতায় এসেছিলেন। তিনি জাতি এবং রাষ্ট্রের কল্যাণেই সবসময় লিখেছেন। তারমতো সাংবাদিকের আজকে দেশে খুব প্রয়োজন।

ইকবাল সোবহান চৌধুরী বলেন, আবদুস সালাম দেশ, রাজনীতি, সাংবাদিকতা সবকিছু নিয়েই আলোকপাত করে গেছেন। কিন্তু আমরা কি তাঁর যোগ্য উত্তরসূরি হতে পেরেছি? না পারলে আমরা তাদের কিভাবে শ্রদ্ধা জানাবো?

ফরিদা ইয়াসমিন বলেন, আবদুস সালামদের মতো সাংবাদিক ছিলেন বলেন বলেই এদেশের সাংবাদিকতা এতদূর আসতে পেরেছে। তাদের নীতি, আদর্শ সম্পর্কে যেন তরুণ সাংবাদিকরা জানতে পারে তাই জাতীয় প্রেসক্লাবে তিনটি হলের নাম আবদুস সালম, তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া ও জহুর হোসেন চৌধুরীর নামে হলের নাম করেছে।

শওকত মাহমুদ বলেন, আবদুস সালাম সারাজীবন সাহসিকতার সাথে সাংবাদিকতা করেছেন। ১৯৭২ সালের ১৫ মার্চ “সুপ্রিম টেস্ট” নামে একটি সম্পাদকীয়র জন্য সরকার তার সাথে একমত হতে পারেনি। পরে তাকে সম্পাদকের পদ ছাড়তে হয়েছে।
সাইফুল আলম বলেন, ‘আব্দুস সালাম একজন কিংবদন্তী সাংবাদিক। তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া, জহুর হোসেন চৌধুরী, আবদুস সালামদের হাত ধরে নানা ভাঙা গড়া বিধি নিষেধের মধ্য দিয়ে এদেশের সাংবাদিকতা শুরু হয়েছে।

Sheikhsbay

Related Articles

Back to top button
Close
Close