নিউজ

যুক্তরাষ্ট্রে বাতিল মামলায় ঢাকায় কারাদণ্ড

কিংবদন্তী সাংবাদিক শফিক রেহমান ও মাহমুদুর রহমানসহ পাঁচজনের ৭ বছর 

সুরমা ডেস্ক। যুক্তরাষ্ট্রের আদালতে বাতিল হয়ে যাওয়া মামলায় সাংবাদিক শফিক রেহমানসহ পাঁচজনকে সাত বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন ঢাকার আদালত। ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ আসাদুজ্জামান নূর বৃহস্পতিবার এই রায় দেন। বিবাদীপক্ষের কোনো আইনজীবীকে ঢাকার আদালতে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দেয়া হয়নি বলে জানা গেছে।

মামলায় সাক্ষী দিতে আদালতে গিয়েছিলেন সজীব ওয়াজেদ জয়। বিচারক আসাদুজ্জামান নুরতে দেখা যায় সাক্ষীর সাথে গাড়ি পর্যন্ত এগিয়ে যেতে।

মামলায় সাক্ষী দিতে আদালতে গিয়েছিলেন সজীব ওয়াজেদ জয়। বিচারক আসাদুজ্জামান নূরকে দেখা যায় সাক্ষীর সাথে গাড়ি পর্যন্ত এগিয়ে যেতে।

ঢাকার মামলায় বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে এবং তাঁর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়কে অপহরণ ও হত্যাচেষ্টার ষড়যন্ত্রের অভিযোগে কারাদণ্ডপ্রাপ্ত অন্য চারজন হলেন আমার দেশ–এর ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমান, জাতীয়তাবাদী সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংস্থার (জাসাস) সহ সভাপতি মোহাম্মদ উল্লাহ মামুন, তাঁর ছেলে রিজভী আহাম্মেদ ওরফে সিজার এবং যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান ভূঁইয়া।

গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পরিদর্শক ফজলুর রহমান ২০১৫ সালের ৩ আগস্ট পল্টন থানায় মামলা করেন। মামলার এজাহারে বলা হয়, ২০১১ সালের সেপ্টেম্বরের আগে যেকোনো সময় জাসাস নেতা মোহাম্মদ উল্লাহসহ বিএনপি ও বিএনপির নেতৃত্বাধীন জোটভুক্ত দলের উচ্চ পর্যায়ের নেতারা ঢাকা শহরের পল্টনে জাসাস কার্যালয়ে এবং যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক শহর ও যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় আসামিরা একত্র হয়ে বৈঠকে অংশ নেন। তাঁরা সজীব ওয়াজেদ জয়কে যুক্তরাষ্ট্রে অপহরণ করে হত্যার ষড়যন্ত্র করেছিলেন। অপরাধ ঘটানোর দায়িত্ব দেওয়া হয় রিজভী আহাম্মদকে।

এই মামলায় ২০১৬ সালের ১৬ এপ্রিল সাংবাদিক শফিক রেহমানকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তিনি জামিন নিয়ে নিয়ে বিদেশে যান। এই মামলায় ২০১৮ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি পাঁচজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। বিচার চেয়ে গত বছরের ১৩ নভেম্বর ঢাকার আদালতে সাক্ষ্য দেন সজীব ওয়াজেদ জয়।

মামলায় জয়কে অপহরণ করে হত্যাচেষ্টার নির্দেশদাতা হিসেবে শফিক রেহমান ও মাহমুদুর রহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়। আর আসামি মোহাম্মদ উল্লাহর বিরুদ্ধে পরামর্শদাতার অভিযোগ আনে পুলিশ। আর তাঁর ছেলে রিজভী আহাম্মেদ এই ষড়যন্ত্র বাস্তবায়নের দায়িত্ব নিয়েছিলেন বলে অভিযোগে বলা হয়। রিজভী যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা এফবিআইয়ের কাছ থেকে সজীব ওয়াজেদের ব্যক্তিগত তথ্য সংগ্রহ করেন। পরে অন্য আসামিদের কাছে সেই তথ্য সরবরাহ করেন। মামলায় অর্থায়ন ও পরামর্শদাতার অভিযোগ আনা হয় যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে।

মামলায় বলা হয়েছে, জয়কে অপহরণ ও হত্যার পরিকল্পনা হয়েছিল যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে। সেখানেও এ–সংক্রান্ত মামলা আদালতে বিচার হয়।তবে যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমাদের সংবাদদাতা জানাচ্ছেন, জয়কে হত্যা ও ষড়যন্ত্রের অভিযোগ যুক্তরাষ্ট্রের আদালত প্রাথমিক শুনানিতেই তথ্য প্রমাণের অভাবে বাতিল করে দেয়। কিন্তু ঢাকার মামলায় এই তথ্যটি চেপে যাওয়া হয়। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের মামলায় বিবাদীর তালিকায় শফিক রেহমান ও মাহমুদুর রহমানের নাম কখনোই ছিলোনা।মামলার গ্রহণযোগ্যতার শুনানিকালে জয়ের আইনজীবী সাংবাদিক শফিক রেহমানের বিরুদ্ধে সম্পূরক অভিযোগ উত্থাপন করলে প্রাথমিক শুনানিতে তথ্য প্রমাণের অভাবে আদালত তা বাতিল করে দেয়। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তা সংস্থার গোপন নথিপত্র ফাঁসের অভিযোগের মামলায় ২০১৫ সালের মার্চ মাসে দেওয়া ওই রায়ে রিজভী আহাম্মেদ সিজারের ৪২ মাসের কারাদণ্ড হয়। এ ছাড়া ঘুষ লেনদেনের জন্য এক এফবিআই এজেন্টের বন্ধুর ৩০ মাসের কারাদণ্ড হয়।

Sheikhsbay

Related Articles

Back to top button
Close
Close