নিউজ

হিরোর ভূমিকায় হিরো আলম, ভিলেনের ভূমিকায় সরকার ও নির্বাচন কমিশন

  • মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ব্রিফিং
  • হামলার ঘটনায় জাতিসংঘের উদ্বেগ
  • অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের বিবৃতি
  • হামলার পূর্ণ তদন্ত চায় ইইউ ও ১২ দেশ

।। সুরমা প্রতিবেদন।।

লণ্ডন, ২০ জুলাই: ঢাকার গুলশান, বনানী ও ক্যান্টনমেন্ট এলাকা নিয়ে গঠিত ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মোহাম্মদ আলী আরাফাত বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। ভোটের হিসাবে তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হয়েছেন হিরো আলম। গত সোমবার বিকেলে ভোট চলাকালে বনানীর একটি কেন্দ্রে গিয়ে নৌকার সমর্থকদের হামলার শিকার হন তিনি। রাস্তায় ফেলে মারধর করা হয় স্বতন্ত্র প্রার্থী হিরো আলমকে। জানা যায়, গত  ১৭ জুলাই ঢাকা–১৭ আসনের উপনির্বাচনের ভোট গ্রহণ চলাকালে বনানী বিদ্যানিকেতন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ভোটকেন্দ্র পরিদর্শনে গেলে একতারা প্রতীকের প্রার্থী আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলমকে প্রথমে ধাওয়া দেন নৌকা প্রতীকের সমর্থকেরা। ভোটকেন্দ্রের ভেতর থেকে ধাওয়া দিয়ে বাইরে আনার পরে রাস্তায় ফেলে সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী আশরাফুল হোসেন ওরফে হিরো আলমকে পিটিয়েছেন নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর সমর্থকেরা। হামলাকারীরা নৌকা প্রতীকের ব্যাজ পরে ছিলেন। সোমবার বেলা সোয়া তিনটার দিকে রাজধানীর বনানী এলাকার বনানী বিদ্যানিকেতন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ভোটকেন্দ্র পরিদর্শনে গেলে হিরো আলমের ওপর এ হামলা হয়। নৌকার ব্যাজধারীরা হিরো আলমকে ধাক্কা দিতে দিতে ভোটকেন্দ্রের ফটকের বাইরে বের করে আনেন। তখন তাকে দফায় দফায় পেটানো হয়। এ সময় হিরো আলমের সঙ্গে থাকা সমর্থকদেরকেও ব্যাপক মারধর করা হয়। এক পর্যায়ে হিরো আলমকের লাথি মারেন একজন। পেটে লাথি খেয়ে রাস্তায় পড়ে যান তিনি। হামলাকারীরা হিরো আলমকে এলোপাতাড়ি মারধর করেন। মারধর থেকে বাঁচতে একপর্যায়ে হিরো আলম দৌড়ে পালান। হামলাকারীরা এ সময় তাঁকে পেছন থেকে ধাওয়া দেন। পাশেই দাঁড়িয়ে থাকা পুলিশ ভ্যানের পুলিশের কাছে সাহায্য চেয়েও সাহায্য না পেয়ে একপর্যায়ে  হিরো আলম দৌড়ে বনানীর ২৩ নম্বর সড়কে গিয়ে একটি রিকশায় ওঠেন। পরে চিকিৎসার জন্য গাড়িতে করে হাসপাতালে চলে যান।

চিকিৎসা শেষে হাসপাতাল থেকে হাতিরঝিলসংলগ্ন মহানগর প্রকল্প-২–এ নিজের বাসায় ফিরে নৌকার সমর্থকদের হামলার শিকার স্বতন্ত্র প্রার্থী হিরো আলম বলেন, ‘আমার মাথায় আঘাত করেছে প্রচুর, বুকে আঘাত করেছে, কানে আঘাত করেছে। যখন পড়ে গেছি, গায়ে লাথিগুঁতা মেরেছে।  আমি মাটিতে পড়ার পরও আমাকে মেরেছে। ওখানে বিজিবির একটি গাড়ি ছিল। আমি দৌড়ে তাদের কাছে গিয়েছিলাম। কিন্তু তারা গাড়ি থেকে নামেনি। এ রকম পরিবেশ হলে আর নির্বাচন করার প্রয়োজন নেই। এই নির্বাচনে ফলাফল আমার পক্ষে এলেও আমি এই নির্বাচন মানবো না।’ এর আগে সকালে হিরো আলম তার এজেন্টদের বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ করেন। বনানী মডেল স্কুল কেন্দ্র পরিদর্শন গিয়ে একতারা প্রতীকের এই প্রার্থী বলেন, ‘যখনই বলতেছে একতারার লোক, হিরো আলমের লোক, তখনই কিন্তু বের করে দিতেছে। এই রকম করে এজেন্ট বের করে দেওয়ার মানে হইল, তারা একতরফা তাদের এজেন্ট দিয়ে সিল মারার চেষ্টা করতেছে।’ এর আগেও নির্বাচন ঘিরে কয়েক দফায় হামলার শিকার হিরো আলম এ ঘটনায় মামলা করে বিচার পাবেন কি না, তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, এই উপনির্বাচনের প্রচার চলাকালে মহাখালীর কড়াইল বস্তিতে তাঁর ওপর হামলা করা হয়েছে। তখন তিনি বনানী থানায় গিয়ে মামলা করেছেন। কিন্তু বিচার পাননি। এসব মামলার বিচার হয় না বলে মন্তব্য করেছেন ক্ষুব্ধ হিরো আলম।

রাতে নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পর ফল প্রত্যাখ্যানের ঘোষণা দিয়ে হিরো আলম বলেন, ‘আমি আজ যে আঘাত পেয়েছি, সেই আঘাতেই বোঝা যায়, নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে কি হয়নি। তাই এই নির্বাচন আমরা প্রত্যাখ্যান করেছি। কারণ, জাতি দেখেছে নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি।’ ভোটের ফল প্রত্যাখ্যানের পাশাপাশি আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় আর কোনো নির্বাচনে না যাওয়ার ঘোষণা দেন তিনি। সকাল থেকেই নির্বাচনে অনিয়মের বিষয়গুলো নিয়ে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ করেছেন বলেও উল্লেখ করেন তিনি। নির্বাচনে অনিয়ম ও তাঁর ওপর হামলার ঘটনা নিয়ে বিদেশিদের কাছে চিঠি পাঠাবেন বলেও জানিয়েছেন হিরো আলম। তিনি বলেছেন, ‘ইউরোপীয় ইউনিয়নকে দেব, আমেরিকান এম্বাসিকে দেব এবং যেখানে যেখানে অভিযোগ জানাতে হবে, আমি প্রতিটা জায়গায় চিঠি দেব।’

হিরো আলমকে পেটানোর শুরুটা পুলিশের সামনে থেকেই

ভোটকেন্দ্রের নিচতলায় একটি কক্ষের সামনে নৌকার ব্যাজধারীদের প্রথম বাধার মুখে পড়েন হিরো আলম। তাদের বলতে শোনা যায়, ‘এটা কি টিকটক করার জায়গা।’ এ সময় সেখানে পুলিশ সদস্যদের অবস্থান নিতে দেখা যায়। উত্তেজনা তৈরি হওয়ায় পুলিশ সদস্যরা হিরো আলমের সামনে দাঁড়িয়ে যান। তারা তাকে বারান্দা থেকে মাঠের দিকে আনার উদ্যোগ নেন। কিছুদূর আসার পরই পেছন থেকে কেউ একজন হিরো আলমকে ধাক্কা দেন। পুলিশের উপস্থিতিতেই ধাক্কা দিতে দিতে তাকে ভোটকেন্দ্রের মাঠে আনা হয়। হিরো আলম নৌকার ব্যাজধারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পুলিশকে অনুরোধ জানান। তাৎক্ষণিক পুলিশ কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। পুলিশ বরং আওয়ামী সন্ত্রাসীদের হাতে হিরো আলমকে তুলে দিয়েছেন।

ডিএমপি কমিশনারকে নাকে খত দেওয়ার দাবী

ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে পুলিশ শতভাগ নিরপেক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করবে বলে জানিয়েছিলেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক। আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত সভা শেষে তিনি বলেছিলেন, এ নির্বাচনে পুলিশ নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন না করলে কমিশনার হিসাবে নাকে খত দিয়ে দায়িত্ব ছেড়ে চলে যাব।  নির্বাচনে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবেও তিনি বলেছিলেন, ‘আমি পুলিশের নিরপেক্ষতার ১০০ ভাগ গ্যারান্টি দিলাম। আপনারা ১৭ তারিখের নির্বাচনে আমাদের নিরপেক্ষতার প্রমাণ পান কি না দেখেন। যদি প্রমাণ না পান, তখন আমাকে বলবেন, ডিএমপি কমিশনার হিসাবে আমি নাকে খত দিয়ে চলে যাব।’ অথচ নির্বাচনকালে পুলিশ নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছেন। তাই সঙ্গত কারণেই ক্ষুব্দ জনতা ডিএমপি কমিশনারকে নাকে খত দিয়ে চলে যেতে বলছেন।

হিরো আলমের ওপর হামলাকারীরা সরকারি দলের সঙ্গে যুক্ত

ঢাকা-১৭ আসনে ভোট চলাকালে স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য প্রার্থী আশরাফুল হোসেন ওরফে হিরো আলমের ওপর হামলার ঘটনায় জনরোষের ফলে সাতজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাঁদের মধ্যে দুজনকে তিন দিন করে রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। বাকি পাঁচজনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। তাঁরা ক্ষমতাসীন দলের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত বলে জানা গেছে। হিরো আলমের ব্যক্তিগত সহকারী মো. সুজন রহমান ওরফে শুভ বাদী হয়ে গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে অজ্ঞাতনামা ১৫-২০ জনকে আসামি করে বনানী থানায় মামলা করেন। মামলায় বলা হয়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে বেআইনি জনতাবদ্ধ হয়ে হিরো আলমের গতিরোধ করে তাঁকে হত্যার উদ্দেশ্যে মারধর করে। আওয়ামী লীগের দলীয় সূত্র ও বনানীর কড়াইল এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গ্রেপ্তার আশিক সরকার ঢাকা মহানগর উত্তর ২০ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সহসভাপতি ও মাহমুদুল হাসান বনানী থানা ছাত্রলীগের সাবেক দপ্তর সম্পাদক। বিপ্লব হোসেন বনানী থানা শ্রমিক লীগের যুগ্ম সম্পাদক। হৃদয় শেখ ছাত্রলীগ নেতা আশিকের ঘনিষ্ঠ সহযোগী। মোজাহিদ খান, ছানোয়ার কাজী ও সোহেল মোল্লা দলের সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের কর্মসূচিতে নিয়মিত অংশ নেন।

মারধরের ঘটনাটিকে ‘সামান্য অন্যায়’বললেন ইসি আলমগীর

ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনের স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলমকে মারধরের ঘটনাটিকে ‘সামান্য অন্যায়’ বলেছেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আলমগীর। গত মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনের নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ব্রিফিংয়ে হিরো আলমের ওপর হামলার প্রসঙ্গ

ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল হোসেনের (হিরো আলম) ওপর হামলার বিষয়টি এবার মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের প্রেস ব্রিফিংয়ে উঠেছে। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের প্রেস ব্রিফিংয়ে হিরো আলমের ওপর হামলার বিষয়ে জানতে চান এক সাংবাদিক। তিনি প্রশ্ন করেন, মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের বেসামরিক নিরাপত্তা, গণতন্ত্র ও মানবাধিকারবিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি উজরা জেয়া বাংলাদেশ সফর শেষে ফেরার পরই দেশটির সরকার বিরোধীদের ওপর হামলার পুরোনো ধারায় ফিরেছে। গতকাল বাংলাদেশে একটি উপনির্বাচন হয়েছে। প্রধান বিরোধী দল এই উপনির্বাচন বর্জন করেছে। এই উপনির্বাচনে স্বতন্ত্র এক প্রার্থী (হিরো আলম) হামলায় আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। উপনির্বাচনে ১০ শতাংশ ভোটও পড়েনি। এ অবস্থায় কীভাবে বিশ্বাস করবেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করবেন? কারণ, ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হয়নি। এমনকি এই উপনির্বাচনও অবাধ ও সুষ্ঠু হয়নি। এই উপনির্বাচনেও প্রার্থীরা হামলার শিকার হয়েছেন। এ ব্যাপারে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মন্তব্য কী। প্রশ্নের জবাবে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথু মিলার বলেন, ‘আমি বলব, গণতান্ত্রিক নির্বাচনে এই ধরনের রাজনৈতিক সহিংসতার কোনো স্থান নেই। আমরা বাংলাদেশ সরকারকে সহিংসতার যেকোনো ঘটনা পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে, স্বচ্ছভাবে ও নিরপেক্ষভাবে তদন্ত করতে উৎসাহিত করি। এবং যারা এই হামলার সঙ্গে জড়িত, তাদের বিচারের আওতায় আনতে বলি।’

হিরো আলমের ওপর হামলার ঘটনায় জাতিসংঘের উদ্বেগ

ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল হোসেনের (হিরো আলম) ওপর হামলার ঘটনায় উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘ। মঙ্গলবার জাতিসংঘের বাংলাদেশ কার্যালয়ের পক্ষ থেকে এ উদ্বেগ জানানো হয়। হিরো আলমের ওপর হামলার ঘটনায় উদ্বেগ জানিয়ে টুইট করেছেন বাংলাদেশে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী গোয়েন লুইস। উদ্বেগ প্রকাশের পাশাপাশি গোয়েন লুইস টুইট বলেন, সহিংসতা ছাড়া নির্বাচনে অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে প্রত্যেকের যে মৌলিক মানবাধিকার, তা নিশ্চিত ও সুরক্ষিত করতে হবে।

ঘটনার নিন্দা জানিয়ে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের বিবৃতি

ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল হোসেন ওরফে হিরো আলমের ওপর হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। মঙ্গলবার লন্ডনভিত্তিক সংস্থাটির দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের টুইটার একাউন্ট থেকে এক বার্তার মাধ্যমে এ নিন্দা প্রকাশ করা হয়। এতে বলা হয়, ‘এ ধরনের হামলা ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে অনুষ্ঠেয় সাধারণ নির্বাচনের আগে একটি আতঙ্কের বার্তা দিচ্ছে। কর্তৃপক্ষকে অবশ্যই অবিলম্বে এ হামলার নিরপেক্ষ তদন্ত এবং অপরাধীদের জবাবদিহির আওতায় আনতে হবে।’ বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষকে মানবাধিকারের প্রতি সম্মান জানানোর আহ্বান জানিয়েছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। টুইটে তারা আরো বলেছে, ‘অবশ্যই মানবাধিকারকে সব সময় সমুন্নত রাখতে হবে, বিশেষ করে নির্বাচনের আগে, নির্বাচনের সময় ও পরে।’

হিরো আলমের ওপর হামলার পূর্ণ তদন্ত চায় ইইউ ১২ দেশ

হিরো আলমের ওপর হামলার ঘটনায় ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ও ১২টি দেশ যৌথ বিবৃতি দিয়েছে। এ বিবৃতিতে হিরো আলমের ওপর হামলার ঘটনায় নিন্দা জানানোর পাশাপাশি পূর্ণ তদন্ত ও দোষীদের জবাবদিহিতার দাবি জানানো হয়েছে। বিবৃতিতে স্বাক্ষর করা দেশগুলো হলো- কানাডা, ডেনমার্ক, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, নরওয়ে, সুইডেন, নেদারল্যান্ড, সুইজারল্যান্ড, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন। এসব দেশের পক্ষে দূতাবাস ও হাইকমিশনসমূহ বিবৃতিতে স্বাক্ষর করে। বিবৃতিতে বলা হয়, আমরা ১৭ জুলাই ঢাকা-১৭ আসনের প্রার্থী আশরাফুল আলমের (যিনি হিরো আলম নামে পরিচিত) ওপর হামলার তীব্র নিন্দা জানাই। গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় সহিংসতার কোনো স্থান নেই। আমরা পূর্ণ তদন্ত ও দোষীদের জবাবদিহিতার দাবি জানাই। এ ছাড়া আসন্ন নির্বাচন যেন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ হয় সেজন্য সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।

Sheikhsbay

Related Articles

Back to top button
Close
Close