নিউজ

পূর্ব লণ্ডনের যৌন নিপীড়ক জিপি মনীশ শাহের যাবতজ্জীবন কারাদণ্ড

।। সুরমা ডেস্ক ।।
লণ্ডন, ২০ জানুয়ারী : অনেকগুলো যৌন নিপীড়নের দায়ে পূর্ব লণ্ডনের জিপি মনীশ শাহকে যাবতজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। এর মধ্যে অপ্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষার নামে চার নারীকে যৌন নিপীড়নের দায়ে সম্প্রতি আরও দুটি যাবজ্জীবন কারাদণ্ড পেয়েছেন সাবেক এই জিপি। আর তাকে নতুন দুটি যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে ১৫ এবং ১৭ বছর বয়সের দুই মেয়ের সাথে যৌন অপরাধ করার দায়ে।

পূর্ব লণ্ডনের রমফোর্ডের জিপি ক্লিনিকে ২৫টি যৌন নিপীড়নের ঘটনায় গত মাসে দোষী সাব্যস্ত হন মনীশ শাহ। এর আগে আরও ৯০টি অপরাধের জন্য মনীশ শাহকে তিনটি যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়। আগের সাজার সাথে একযোগে চালানোর জন্য সোমবার ওল্ড বেইলি আদালতে নতুন দুটি যাবজ্জীবন জেলের সাজা দেন বিচারক। উল্লেখ্য, মনীশ শাহের জিপি সার্জারি ছিল রমফোর্ডের মাওনি রোডে। ৫৩ বছর বয়স্ক সাবেক জিপি মনীশ শাহ এ পর্যন্ত ১৫ থেকে ৩৪ বছর বয়সের ২৮ জন মহিলার বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের ১১৫টি অপরাধের জন্য দোষী সাব্যস্ত হলেন।

আদালতের শুনানিতে বলা হয় মনীশ শাহ ২০০৯ সাল থেকে পরবর্তী চার বছর তাঁর যৌন লালসা চরিতার্থ করার জন্য মহিলা রোগীদের অপ্রয়োজনীয়ভাবে অন্তরঙ্গ পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য রাজি করাতেন। মনীশ শাহের বিচার শুরু হওয়ার প্রথম দিকের শুনানিতে বিচারকদের বলা হয়, শাহ একজন “সুসম্মানিত” জিপি, যার সার্জারিতে অ্যাপয়েন্টমেন্ট প্রায় সম্পূর্ণ বুক থাকতো। আদালতের শুনানিতে বলা হয়, মনিশ শাহ অপরাধ করার জন্য রোগীদের ক্যান্সারের ভয় দেখিয়ে মহিলা রোগীদের অন্তরঙ্গভাবে পরীক্ষা করতে রাজি করাতেন।

ওল্ড বেইলি আদালতে সাজা ঘোষণার সময়ে সর্বকনিষ্ঠ দুই ভিকটিমের ‘ভিকটিম-ইমপ্যাক্ট’ বিবৃতি পড়ে শোনানো হয়। ১৫ বছর বয়সের ভিকটিমকে মনিশ শাহ বলেছিলেন, ‘সে তার “প্রিয়” এবং সে “মডেলিংয়ে গেলে ভাল করবে”। এসব প্রশংসা করার পাশাপাশি মনিশ মেয়েটিকে সতর্ক করে দিয়ে বলেছিলেন, মেয়েটি ক্যান্সারে আক্রান্ত হতে পারে।
সাজা প্রদানের সময় বিচারক পিটার রুক বলেন, মনিশ শাহ নারীদের জন্য এখনও বিপজ্জনক এবং তার আচরণ তার ভিকটিমদের “দীর্ঘমেয়াদী মানসিক ক্ষতি” করেছে।

Sheikhsbay

Related Articles

Back to top button
Close
Close