নিউজ

সাংবাদিক শামসের পরিবারের পাশে ডা. জাহিদসহ পেশাজীবী নেতৃবৃন্দ

ঢাকা অফিস। সম্মিলিত পেশাজীবী সমন্বয়ে পরিষদের প্রধান প্রফেসর ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেনসহ পেশাজীবী নেতৃবৃন্দ শুক্রবার (৩১মার্চ) ডিজিটাল আইনে গ্রেফতারকৃত প্রথম আলোর সাংবাদিক শামসুজ্জামান শামসের সাভারের বাড়িতে তার মায়ের সঙ্গে সাক্ষাত করেন। এই সময় পেশাজীবী নেতৃবৃন্দ শামসের মাকে আশ্বস্ত করে বলেন, দেশের সকল পেশাজীবী ও বিবেকবান মানুষ তথা সমগ্র জাতি তার পরিবারের পাশে আছে।

পেশাজীবী নেতৃবৃন্দ বলেন, লাগামহীন দ্রব্যমূল্য, দুর্নীতি ও দু:শাসনের কারণে কোটি কোটি মানুষের জীবন যাপন এখন ভয়াবহ পর্যায়ে পৌঁছেছে। “চাল ডাল আর মাংসের স্বাধীনতা নাই”- একথা এখন বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় সত্য। সাংবাদিক শামস যা লিখেছেন তাই বাংলাদেশের প্রকৃত চিত্র।একজন পেশাদার সাংবাদিক হিসেবে শামসুজ্জামান সাংবাদিকতা পেশাকে সমুন্নত করেছেন। সুতরাং তার উপর নির্যাতন চালিয়ে কোটি মানুষের মুখ বন্ধ করা যাবে না।

পেশাজীবী নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে সরকারের প্রতি সাংবাদিক শামসের বিরুদ্ধে সকল মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহার করে তার নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানান। তাঁরা বলেন, অন্যথায় একদিন এই দুঃশাসনের জন্য জনগণের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে।

পেশাজীবী নেতৃবৃন্দ যে কোন অবস্থায় সাংবাদিক শামসের পরিবারের সঙ্গে প্রতি সহমর্মিতা ও তার মুক্তির দাবিতে সজাগ থাকার অঙ্গীকার করেন।

সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, শামসুজ্জামানের মা করিমন নেসার সঙ্গে দেখা করে তাঁরা পরিবারের সদস্যদের সার্বিক খোঁজখবর নেন। কান্নাজড়িত কন্ঠে করিমন নেসা বলেন, আমার ছেলের কি অপরাধ? তাকে কেন এভাবে ধরে নিয়ে গেল? শামসকে বললে সে নিজেই থানায় চলে যেত। ৩৫ ঘন্টাতো আমরা তার খোঁজই পাই নি! তাহলে কি সত্য লেখা যাবে না? ছেলেকে অনেক বার বলেছি, বাবা লেখালেখি ছেড়ে দাও। আমার শামস বলেতো, মা আমি তো অসত্য লেখি না। সত্য লিখার জন্য যদি আঘাত আসে আসুক, তারপরও লিখে যাব। বুক চাপড়াতে চাপড়াতে করিমন নেসা বলেন, আমি আমার এক সন্তানকে হারিয়েছি। আরেক সন্তানকে হারাতে চাই না। আপনারা আমার সন্তানকে এনে দিন। শামসের মুক্তির জন্য দেশের বিভিন্ন সংগঠন ও বিশ্বের বিভিন্ন দেশ বিবৃতি দেয়ায় তিনি কৃতজ্ঞতা জানান।

এসময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পেশাজীবী নেতা প্রফেসর ডা. ফরহাদ হালিম ডোনার, অধ্যাপক ড. শামসুল আলম সেলিম, অধ্যাপক ড. কামরুল আহসান, অধ্যাপক ড. নুরুল ইসলাম ,অধ্যাপক ড. নজরুল ইসলাম, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব রফিকুল ইসলাম, ইঞ্জিনিয়ার ফখরুল আলম, ইঞ্জিনিয়ার রুহুল আলম আকন্দ, ইঞ্জিনিয়ার সাখাওয়াত হোসেন, বিপ্লবউজ্জামান বিপ্লব। পেশাজীবী নেতাদের পেয়ে শামসুজ্জামানের মা কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন।

প্রফেসর ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন বলেন, বর্তমান ফ্যাসিস্ট সরকারের অধীনে গণমাধ্যমের যে স্বাধীনতা নেই শামসের গ্রেফতার এবং দৈনিক দিনকাল বন্ধের মাধ্যেম তা আবারও প্রমাণিত হলো।

কাদের গনি চৌধুরী বলেন, ,দেশে এক ভয়ানক ফ্যাসিবাদী শাসন কায়েম হয়েছে। মানুষের মৌলিক অধিকার গুলো আজ হরণ করা হয়েছে। ভাষা আছে কিন্তু বাক স্বাধীনতা নেই। গণমাধ্যম আছে ,কিন্তু গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নেই। আদালত আছে ন্যায় বিচার নেই। সরকারের দু:শাসন ও লুটপাটের তথ্য যাতে প্রকাশ করা না যায় সেজন্য সাংবাদিক নির্যাতন এবং একের পর এক গণমাধ্যম বন্ধ করে দেয়া হচ্ছে।

Sheikhsbay

Related Articles

Back to top button
Close
Close