নিউজহোম

ঢাকায় ডলারের বাজারে আগুন: প্রতি ডলার ব্যাংকে ৯৪ আর খোলাবাজারে ১১২ টাকা

সুরমা প্রতিবেদন।ঢাকায় ডলারের বাজারে মারাত্মক অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। জানুয়ারী মাসে ব্যাংকে প্রতি ডলার ছিল ৮৫টাকা, আর খোলাবাজারে ছিলো ৮৮/৮৯টাকা। আর আজ ২৬ জুলাই মঙ্গলবার খোলাবাজারে ১১২-১১৩টাকায় বিনিময় হতে দেখা গেছে। গত কয়েক সপ্তাহ ধরে সরকারের কৃচ্ছতা সাধনের সঙ্গে ডলারের বাজারে অস্থিরতার সম্পর্ক স্পষ্ট বলে মন্তব্য করেছেন একজন বিশ্লেষক। ঢাকায় অবস্থান করার কারণে নাম প্রকাশকে ঝুঁকিপূর্ণ বলে মনে করেন তিনি।
পরিস্থিতি যে নিয়ন্ত্রণের তার প্রমাণ পাওয়ার জন্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জনপ্রিয় ও সরকার সমর্থক হিসেবে পরিচিত আরিফ আর হোসেনের স্ট্যাটাসের উল্লেখ করা যায়. নিজের ভেরিফাইড পেইজে বিকাল ৫টায় তিনি লিখেন- “সকাল ১১ টায় ডলার ছিল ১০৬ টাকা। ফোন রাখার সাথে সাথে টেক্সট করলেন উনি, “ভাই ১০৬ না ১০৯… আমিতাভ বচ্চন সাহেবের যেমন ‘আখেরি রাস্তা’ মুভিতে ৬ আর ৯ নিয়ে গোলমাল লাগসিলো, তেমনি আমারও লাগসে” কিনতে পাঠালাম যখন, তখন শুনি ১১০। আমার লোক যখন দোকানে পৌছালো, তখন ১১২। ডলার নিয়ে আমার লোক যখন আমার অফিসে পৌছালো, তখন মানি এক্সচেইঞ্জের মালিকের টেক্সট; “ভাই ডলার ফেরত দিলে আমি ১১৩ তে কিনতে রাজি আপনার কাছ থেকে কারণ আমার সামনে লোক দাড়িয়ে আছে যে কিনা ১১৪ তে কিনতে রাজি। আইজ ভাই ‘আখেরি রাস্তা’ অবস্থা না, পুরা আখেরি পাস্তা”… SAVE THE DATE, something is not right today.
আরিফ আর হোসেনের এই স্ট্যাটাসের নিচে মন্তব্যগুলো থেকে সাধারণ জনতার উদ্বেগের চিত্র আরও স্পষ্ট: সরকার পন্থী অবসরপ্রাপ্ত আমলা মাহবুব কবির মিলন, যাঁকে হাইকোর্ট (হয়তো সরকারের ইচ্ছায়)প্রতারণার মাস্টারমাইন্ড ডুবন্ত টাইটানিক
কেলেঙ্কারী উদ্ধারের দায়িত্ব দিয়েছেন, তিনি চরম হতাশায় লিখেন-“সমস্যা তাহলে আসছে”। মুসলিমউজ্জামান লিখেছেন-
“সরকার বলে দেশ “সিংগাপুর” হবে, বিরোধীরা বলে “লংকা”, জিনিসের দরে রুদ্ধশ্বাসে, চিপায় শুধু আমজনতা!”মীর জুনায়েদ বলছেন- “সবকিছুর দাম বেড়ে যাচ্ছে এই ডলারের উচ্চমূল্যের কারণে। বিপদ সংকেত দেশের জন্য!!”
বিদেশ থেকে ফেসবুক/ ইউটিউব ও নানারকমের ডিজিটাল সার্ভিসের মাধ্যমে আয়কৃত ডলার বাংলাদেশের গ্রহীতারা পাচ্ছেন বেঁকে রেটে। এরকম একজন শাহীনসহ মঈদ লিখেছেন- “আর এদিকে আমাদের ইউটিউব থেকে আনা রেমিটেন্সে আমরা পাই ৯২-৯৪ টাকা … এখন বুঝলাম প্রবাসিরা কেনো হুন্ডিতে যায়…”পিয়ারুল ইসলাম বলেছেন-“ডলারের সাথে পাল্লা দিয়ে প্রত্যেকটা কারেন্সি এমনই ,এখন থেকে দুই/তিন মাস পূর্বেও কাতারের ১রিয়াল সমান বাংলাদেশি টাকায় ২৩.৫ ছিলো আজকের রেট ২৮.৫০ টাকা,প্রিয় স্বদেশ” মোহাম্মদ আলী জাভেদ লিখেছেন- ” উন্নয়নের নমুনা মাত্র শুরু। জয় বাংলা।”

আরেকজন লিখেছেন- “WELCOME TO SRILANKA”
গত রোববার(২৪জুলাই) খোলাবাজারে মার্কিন ডলার ১০৩ টাকা ৫০ পয়সা থেকে ১০৫ টাকার মধ্যে কেনাবেচা হয়েছে। অন্যদিকে ডলারের দাম আনুষ্ঠানিক ৯৪ টাকা ৪৫ পয়সা হলেও  ব্যাংকিং চ্যানেলেও মুদ্রাটির দর ১০০ টাকা ছাড়িয়েছে। এভাবে ডলারের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে অন্য বিদেশি মুদ্রা। বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর মুদ্রার দাম বেড়েছে। এর মধ্যে রয়েছে কুয়েতি দিনার, সৌদি রিয়াল, আরব আমিরাতের দিরহাম, কাতারি রিয়াল এবং ওমানি রিয়াল। এতে আমদানি পণ্যের দাম আরও বাড়তে পারে। ফলে মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধি নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্টরা। পাশাপাশি দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ আরও হ্রাস পেতে পারে বলে মনে করেন তারা।  জানা গেছে, এক মাসের ব্যবধানে কুয়েতি দিনারের দাম বেড়েছে প্রায় ৫৩ টাকা। রোববার প্রতি কুয়েতি দিনারের বিনিময় হার ৩৩৩ টাকা ছাড়িয়ে যায়। এক মাস আগে এক দিনারের বিপরীতে ২৮০ টাকা ছিল।

Sheikhsbay

Related Articles

Back to top button
Close
Close