নিউজ

পার্লামেন্টে ক্ষুব্ধ এমপিদের বক্তব্য ‘লিডার নয় লায়ার’

বরিসের বিরুদ্ধে পুলিশী তদন্ত শুরু

।। সুরমা প্রতিবেদন ।।
লণ্ডন, ২৮ জানুয়ারী : অবশেষে প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের বিরুদ্ধে পুলিশী তদন্ত শুরু হয়েছে। ডাউনিং স্ট্রিটে হওয়া পার্টিগুলো নিয়ে তদন্ত শুরুর ঘোষণা দিয়েছেন মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার ক্রেসিডা ডিক। তিনি জানিয়েছেন, গত দুই বছরের মধ্যে ডাউনিং স্ট্রিট ও হোয়াইটহলে কোভিড বিধিনিষেধ ভাঙার অভিযোগগুলো খতিয়ে দেখা হবে। পাশাপাশি তদন্তে বেরিয়ে আসা গুরুত্বপূর্ণ তথ্য নিয়মিত প্রকাশ করা হবে বলেও জানান তিনি। এমন খবরই প্রকাশিত হয়েছে ব্রিটিশ মিডিয়াগুলোতে।

এদিকে, স্যু গ্রে তদন্ত রিপোর্ট ইতোমধ্যে ডাউনিং স্ট্রিটে পৌঁছেছে। কিন্তু এখনও তা প্রকাশ করা হয়নি। তবে বুধবার হাউস অব কমন্সে এনিয়ে ক্ষুব্ধ এমপিদের মুখোমুখি হতে প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনকে। এসময় এমপিরা তাকে “লিডার নয় লায়ার” হিসেবে চিহ্নিত করেন।

ডাউনিং স্ট্রিটে বলেছেন মি. জনসন এটি প্রকাশ করতে চান — সম্পূর্ণ বা আংশিকভাবে — “যত তাড়াতাড়ি সম্ভব”, যার অর্থ আগামী ঘন্টার মধ্যে এর সম্ভাব্য বিস্ফোরক ফলাফলগুলি জানা যেতে পারে। প্রতিবেদনে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে যে সুই গ্রে, যিনি মন্ত্রীপরিষদ অফিসের তদন্তের নেতৃত্ব দিচ্ছেন, ডাউনিং ন্ট্রটে পার্টি দেখানো ছবি, প্রধানমন্ত্রীর ছবি, অ্যালকোহলের বোতল এবং লোকেরা একসাথে দাঁড়িয়ে থাকা ছবি সহ তার দখলে ছিল। স্কাই নিউজ বলেছে যে তারা বুঝতে পেরেছে যে ছবিগুলি সরকারী “কর্মকর্তাদের” দ্বারা “তদন্তকারীদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

এই সপ্তাহে তথাকথিত পার্টিগেট কেলেঙ্কারিকে দ্রুত উপসংহারে আনার পরিকল্পনাগুলি মঙ্গলবার মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার ক্রেসিডা ডিক ঘোষণা করার পর বিশৃঙ্খলার মধ্যে পডে়ছিল যে বাহিনীটি সরকারী কর্মীদের দ্বারা সম্ভাব্য অপরাধমূলক অপরাধের বিষয়ে নিজস্ব তদন্ত শুরু করছে।

বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের কার্যালয়ে একের পর এক লকডাউন পাটির্র খবর বেড়িয়ে আসছে। এ নিয়ে উত্তাল বৃটিশ রাজনীতি। নতুন করে জানা গেছে, ২০২০ সালের জুন মাসে প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিন উপলক্ষেও পাটির্র আয়োজন করা হয়েছিল। এ খবর প্রকাশের পরপরই এই তদন্তের ঘোষণা দেয় মেট্রোপলিটন পুলিশ। ডাউনিং স্ট্রিটে এরইমধ্যে স্বীকার করেছে যে কর্মকর্তারা বরিস জনসনের জন্মদিনের পার্টি উদযাপন করেছে। এটি হয়েছে যখন বৃটেনে প্রথম কোভিড লকডাউন জারি ছিল।

এদিকে ডাউনিং স্ট্রিটের লকডাউন পার্টি নিয়ে পুলিশের তদন্তকে স্বাগত জানিয়েছেন লন্ডনের মেয়র সাদিক খান। একইসঙ্গে কেউই আইনের ঊর্ধ্বে নয় বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। লেবার পাটির্র এই মেয়র বলেন, জনগন আশা করছে পুলিশ কোনো ধরনের ভয় বা পক্ষপাতিত্ব ছাড়াই তাদের দায়িত্ব পালন করবে। এতে যেই দোষী হোক না কেনো তাকে চিহ্নিত করতে হবে। এরপরই তিনি বলেন, আইনের ঊর্ধ্বে কেউ নন। সরকারের জন্য এক আইন আর সকলের জন্য আরেক আইন চলতে পারে না

Sheikhsbay

Related Articles

Back to top button
Close
Close