প্রবীণ শিক্ষক সৈয়দ রশীদ আহমদের ইন্তেকাল, বিভিন্ন মহলের শোক
|| সুরমা অনলাই প্রতিবেদন ||
লণ্ডন, ৬ সেপ্টেম্বর : প্রবীণ ব্যাক্তিত্ব সৈয়দ রশীদ আহমদ গত ৪ সেপ্টেম্বর, শুক্রবার সিলেটের মাউণ্ড এডোর হাসপাতালে ১২:৩০ মিনিটে বার্ধক্যজনিত রোগে ইন্তেকাল করেছেন। ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিলো ৯৪ বছর। তিনি দীর্ঘদিন ছাতক সিমেন্টফ্যাক্টরি স্কুলে শিক্ষকতা জীবন শেষ করে সিলেট শহরে পরিবার-পরিজন নিয়ে বসবাস করছিলেন।
মরহুমের জন্মস্থান সুনামগঞ্জ জেলার ঐতিহ্যবাহী সৈয়দপুর গ্রামে।
সৈয়দ রশীদ আহমদ এলাকায় সৈয়দ আফরোজ মিয়া নামে পরিচিত ছিলেন। তিনি সৈয়দপুরের ঐতিহ্যবাহী বড় বাড়ির সন্তান। মরহুম রশীদ সাহেবের ৩ ছেলে ও ৮ মেয়ে। ছেলেরা যথাক্রমে সৈয়দ সোসাদ্দিক আহমদ, সৈয়দ মুশফিক আহমদ ও সৈয়দ মনসুর আহমদ তারা যুক্তরাজ্যের বার্মিংহামে বসবাস করেন। বড় মেয়ে সৈয়দা নাদিরা আক্তার মেহের বাংলাদেশে, দ্বিতীয় মেয়ে সৈয়দা পারভীন আক্তার যুক্তরাজ্যের স্যাণ্ডারল্যাণ্ডে বসবাস করেন। তৃতীয় মেয়ে সৈয়দা জেসমিন আক্তার লণ্ডনে, সৈয়দা জুবাইদা আক্তার জেবিন কানাডায়, সৈয়দা নাজনিন আক্তার বাংলাদেশে, সৈয়দা সোহেন বাংলাদেশে, সৈয়দা সুমী লণ্ডনে, সৈয়দা খাদিজা আক্তার তান্নু বাংলাদেশে বসবাস করেন।
মরহুম রশীদ আহমদ মৃত্যুকালে স্ত্রী, সন্তানসহ বহু গুনগ্রাহী ও আত্মীয় স্বজন রেখে গেছেন। তিনি ব্যাক্তিগত জীবনে অত্যন্ত ধার্মীক ও আল্লাহওয়ালা মানুষ ছিলেন। জীবনের প্রতিটি মুহূর্তের কর্মকে তিনি কল্যাণকর এবাদত মনে করতেন।
মরহুমের পরিবারের পক্ষ থেকে সকলের প্রতি তাঁর রুহের মাগফেরাত ও দোয়া কামনা করা হয়েছে।
মরহুম রশীদ আহমদের জানাজা শেষে গ্রামের বাড়ি সৈয়দপুরে তাদের পারিবারিক গোরস্থানে দাফন করা হয়। এদিকে, তাঁর ইন্তেকালে বিভিন্ন মহল শোক প্রকাশ করেছেন।
সাপ্তাহিক পত্রিকার পক্ষ থেকে শোক:
মরহুম সৈয়দ রশীদ আহমদের ইন্তেকালে প্রবাসের বিভিন্ন ব্যাক্তি ও সংগঠনের পক্ষ থেকে শোক জানানো হয়েছে। দেশেবিদেশে রয়েছেন তাঁর প্রচুর শিক্ষার্থী ও গুনগ্রাহী। প্রবীণ এই শিক্ষকের ইন্তেকালে মরহুমের সাবেক ছাত্র, লণ্ডনবাংলা প্রেসক্লাবের প্রেসিডেণ্ট ও প্রভাবশালী বাংলা ব্রডশীট পত্রিকার সম্পাদক মুহাম্মদ এমদাদুল হক চৌধুরী গভীর শোক জানিয়েছেন। সাপ্তাহিক সুরমাকে দেয়া এক শোকবার্তায় তিনি বলেন, মরহুম সৈয়দ রশীদ আহমদ স্যার আমাদের সময়ের একজন প্রাজ্ঞ শিক্ষক ছিলেন। ছাতক সিমেণ্ট ফ্যাক্টরী হাই স্কুলে তিনি উর্দু স্যার হিসেবে পরিচিত ছিলেন। মূলতঃ তিনি ছিলেন ইসলাম ধর্মের শিক্ষক। আমি আমার এই শিক্ষকের রুহের মাহগফেরাত কামনা করছি। একই সঙ্গে শোকাহত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করছি। আল্লাহ যেন তাদের ধৈর্য্য ধারণ করার ক্ষমতা দান করেন।
সাপ্তাহিক সুরমার পক্ষ থেকে শোক:
এদিকে, সাপ্তাহিক সুরমার পক্ষ থেকে শোক ও সমবেদনা জানানো হয়েছে। সুরমার সম্পাদক ফরীদ আহমদ রেজা মরহুমের বিদেহী আত্মার শান্তিকামনা করে তাঁর ইহকালিন জীবনের সুন্দর সমাপনের মাধ্যমে পরকালিন জীবনও যেন সুন্দর ও আল্লাহর পরম মমতা ও রহমতে ঢাকা থাকে সেই দোয়া কামনা করেন। সুরমার পক্ষ থেকে আরো শোক জানান বার্তা সম্পাদক ও কবি কাইয়ুম আব্দুল্লাহ, ফাইন্যানশিয়াল সম্পাদক এমাদ রহমান ও সুরমার সাবেক সম্পাদক আহমদ ময়েজ।
সৈয়দপুর শামসিয়া সমিতির শোক:
লণ্ডনে সৈয়দপুরের পুরানো সংগঠন সৈয়দপুর শামসিয়া সমিতির পক্ষ থেকে শোক জানানো হয়েছে। শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা ও মরহুমের রুহের মাগফেরাত কামনা করে শোক প্রকাশ করেন সংগঠনের উপদেষ্টা মাওলানা সৈয়দ রফিকুল হক রফু, সৈয়দ সালেহ আহমদ, সভাপতি আহমদ কুতুব, সহ-সভাপতি যথাক্রমে সৈয়দ শহীদুল ইসলাম, সৈয়দ আবু জাফর মিসবাহ, সৈয়দ মারুফ আহমদ খোকন, সৈয়দ জিল্লুল হক, সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ রফিকুল হক দলা, সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ সফর আলী, কোষাধ্যক্ষ শেখ আব্দুল গফুর, সদস্য সচীব সৈয়দ আমিরুল ইসলাম আনা।
শোকবার্তায় তারা বলেন, সৈয়দপুরের এই প্রবীণ শিক্ষক অত্যন্ত সজ্জন ও অমায়িক ব্যবহারের মানুষ ছিলেন। তিনি ছিলেন মানুষ গড়ার কারিগর। মানুষের প্রতি ছিলো তার দরদভরা হৃদয়। তাঁর ইন্তেকালে আমরা অত্যন্ত খোদাভীরু এক সাদা মনের মানুষকে হারিয়েছি। বর্তমান সামাজিক অবক্ষয়ের যুগে সহসা এমন মানুষ পাওয়া দুষ্কর।
সংগঠনের পক্ষ থেকে আরো শোক জানিয়েছেন মাওলানা শেখ জাকারিয়া, মাস্টার সৈয়দ আব্দুল কাদির, সৈয়দ মুফতি, মাওলানা সৈয়দ সিরাজুল ইসলাম, সৈয়দ সুহেল, সৈয়দ আসহাদ, সৈয়দ আজিজুর রহমান, সৈয়দ বিলাল ও মাওলানা আলাউদ্দিন।
সাপ্তাহিক বাংলাপোষ্টের শোক:
সাপ্তাহিক বাংলাপোষ্টের পক্ষ থেকে শোক জানিয়েছেন সম্পাদক ও লণ্ডনবাংলা প্রেসক্লাবের ভাইস প্রেসিডেণ্ট ব্যারিষ্টার তারেক চৌধুরী, গ্রাফিকস ডিজাইনার সালেহ আহমদ ও মার্কেট ম্যানাজার আদনান আহমদ।
অন্যদিকে, লণ্ডন ব্লাকস্টোন সলিসিটার্স এর লিগ্যাল কনসালটেণ্ট সাদিকুর রহমান এক শোকবার্তায় মরহুমের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করেছেন।