নিউজহোম

অপরাধ দুর্নীতি ও সন্ত্রাস এখন রাজনীতির নিয়ন্ত্রক: আমসা আমীন

মানুষের অধিকার না থাকলে সেই সমাজ ও রাষ্ট্রের কোন মূল্য নেই: ড. হাসনাত এম হোসাইন এমবিই

সুরমা প্রতিবেদন।। অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা ও সাবেক রাষ্ট্রদূত, নৈতিক সমাজ পার্টির প্রধান মেজর জেনারেল (অব) আমসা আমীন বলেছেন, বাংলাদেশের প্রতিটি সার্ভিস ও অফিস দুর্নীতিগ্রস্ত হয়ে গেছে। অপরাধ দুর্নীতি ও সন্ত্রাস এখন রাজনীতির নিয়ন্ত্রক।অর্থনীতির মূল কেন্দ্র বাংলাদেশ ব্যাংক নিয়ন্ত্রণ করছে প্রধানমন্ত্রী ও অলিগার্করা (অর্থনৈতিক অপরাধিরা)।

যুক্তরাজ্য সফরত এই সাবেক সেনা কর্মকর্তা পূর্ব লন্ডনে এক আলোচনা সভায় বক্তৃতাকালে এসব কথা বলেন।
গ্লোবাল বাংলাদেশীজ অ্যালায়েন্স ফর হিউম্যান রাইটস (জিবিএএইচআর) এর উদ্যোগে “গণতন্ত্র ও সার্বভৌমত্ব- প্রেক্ষিত সাম্প্রতিক বাংলাদেশ” শীর্ষক আলোচনাৎসভা সোমবার হোয়াইট চ্যাপেল সেন্টারে অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন সংগঠনের প্রধান উপদেষ্টা ডঃ হাসনাত এম হোসেইন এমবিই। স্বাগত বক্তব্য রাখেন আয়োজক সংগঠনের সিনিয়র ফেলো রূপম রাজ্জাক। তিনি অধিকার বঞ্চিত মানুষের তথ্য আদান-প্রদান ও সমন্বিত উদ্যোগের উপর জোর দেন।

মেজর জেনারেল (অব) আমসা আমীন দেশের সামগ্রিক পরিস্থিতির উন্নয়নে জনগণের নৈতিক জাগরণ ও ঐক্যের উপর জোর দিয়েছেন। বক্তব্যের শুরুতে তিনি অপরাধ, দুর্নীতি ও সন্ত্রাসের প্রসঙ্গ এনে বলেছেন এই তিনটি জিনিস আজকের রাজনীতি নিয়ন্ত্রণ করছে। উদাহরণ দিতে গিয়ে তিনি বর্তমান সংসদে ব্যবসায়িক অপরাধীদের ব্যাপক সংখ্যায় উপস্থিতির তথ্য তুলে ধরেন।

তিনি বলেন, ৫৩ বছরে এটা প্রমাণ হয়েছে যে রাজনীতিবিদরা রাষ্ট্র গঠনে পুরোপুরি ব্যর্থ। সেনাবাহিনী যে ভূমিকায় অবতীর্ন হতে পারতো সেটিও তাদের রাজনৈতিক সংস্রবের কারণে নষ্ট হয়ে গেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মতো প্রতিষ্ঠান অর্থনৈতিক অভিজ্ঞতা ও বাস্তবতার ভিত্তিতে স্বাধীনভাবে না চলে চলছে প্রধামন্ত্রী ও অলিগার্কদের (অর্থনৈতিক অপরাধী) নিয়ন্ত্রণে।

স্থানীয় সরকার ব্যবস্থার গুরুত্বের কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেছেন, ১৮ কোটি মানুষের দেশে সুশাসন ও গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠায় প্রাদেশিক তথা ফেডারেল সরকার ব্যবস্থা প্রয়োজন।

ড. হাসনাত এম হোসাইন এমবিই তাঁর বক্তব্যে বলেন, মানুষের অধিকার না থাকলে সেই সমাজ ও রাষ্ট্রের কোন মূল্য নেই। সম্প্রতিক পরিস্থিতিতে চরম উদ্বেগ প্রকাশ করে তিনি বলেন, গণতন্ত্র ও সুশাসন ফিরিয়ে আনতে এখনো সুযোগ আছে। কারণ যে কোন বিপর্যয়ের জন্য ইতিহাসে কেউ দায় এড়াতে পারে না।

অনুষ্ঠানের সভাপতি শামসুল আলম লিটন বাংলাদেশের সীমান্ত হত্যায় সরকারের নীরবতায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন। বাংলাদেশের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার হরণ ও সার্বভৌমত্বের হুমকি সৃষ্টি করায় তিনি ভারত সরকারের ভূমিকার প্রতিবাদ জানান। তিনি বিএসএফের গুলিতে ২১ জানুয়ারি যশোর সীমান্তে বিজিবি জওয়ান রইস উদ্দিন ও ২৮ জানুয়ারি লালমনিরহাটের পাটগ্রামে রাফিউল ইসলাম টুকলু’র শহীদ হওয়ার ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে দেশে-বিদেশে সর্বত্র ভারতীয় আধিপত্যের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহবান জানান। অন্যান্য বক্তারা তাদের আলোচনায় এ প্রতিবাদের অংশ হিসেবে চলমান ভারতীয় পণ্য বর্জনকে সমর্থন জানিয়ে সকলকে অংশ নেয়ার আহবান জানান।

সভায় মানবাধিকার সংগঠক, আইনজীবী ও পেশাজীবীদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন শফিকুল ইসলাম কাজল, ব্যারিস্টার জাকির হাসান, একে আজাদ, এডভোকেট সুফিয়া পারভিন, মিনহাজুল আলম মামুন, আমিনুল ইসলাম, রাশিদা আহমদ ন্যান্সি, মোঃ নিজাম উদ্দিন, অ্যাডভোকেট আমিন চৌধুরী, সৈয়দ মাসুক ও ওয়াহিদুজ্জামান।

Sheikhsbay

Related Articles

Back to top button
Close
Close