নিউজ

জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস শীর্ষক আলোচনা সভা- জনগণের বিজয় এখন সময়ের ব্যাপার

সুরমা ডেস্ক।।

লন্ডন, ১৫ নভেম্বর; ইউকে জিয়া পরিষদের উদ্যোগে বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট ও ৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস শীর্ষক এক আলোচনা সভা মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) পূর্ব লন্ডনের স্থানীয় একটি রেস্টুরেন্টে অনুষ্ঠিত হয়।

এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন,বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টামন্ডলীর সদস্য ও যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি এম এ মালিক। আলোচনা সভায় ইউকে জিয়া পরিষদের সিনিয়র সহ-সভাপতি প্রফেসর ইকবাল খাঁনের সভাপতিত্ব এবং সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুর হাসান পল্টু ও সিনিয়র যুগ্ন সাধারন সম্পাদক কবি কাওছার মাহমুদ’র যৌথ সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন মেজর (অবঃ) সৈয়দ আবু বকর সিদ্দিক পি এস সি, সাবেক ছাত্রনেতা নসরুল্লাহ খান জুনায়েদ ও ইউকে জিয়া পরিষদ উপদেষ্টা মাহি আরমান রফিক।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে এমএ মালিক বলেন, গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে ও অবৈধ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগের দাবিতে আমরা শপথ নিয়েছি। চলমান মুক্তি সংগ্রামের নেতা তারেক রহমানের নেতৃত্বে সমগ্র জাতি আজ ঐক্যবদ্ধ। জাতি বিজয়ের প্রতীক্ষায় প্রহর গুনছে। যার যা কিছু আছে তাই নিয়ে দেশকে অবৈধ শাসক ও তাদের দোসরদের কবল থেকে মুক্ত না হওয়া পর্যন্ত জনগণ ঘরে ফিরে যাবে না। সাত নভেম্বরের চেতনায় সমগ্র জাতি আজ উদ্বুদ্ধ। বাংলাদেশের বিজয় এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র ইনশাল্লাহ।

সভাপতির বক্তব্যে প্রফেসর ইকবাল খাঁন বলেন, যারা অর্থনীতিকে ধ্বংস করেছে, শিক্ষা, বিচারব্যবস্থাকে ধ্বংস করেছে, তাদের রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্বে দেশের জনগণ আর দেখতে চায়না।

বিশেষ অতিথি নসরুল্লাহ খান জুনায়েদ বলেন,খালেদা জিয়া মানে লাল সবুজের স্বাধীন পতাকা। আমাদের সাহসের ঠিকানা। দেশের স্বার্থে, নীতি ও আদর্শের প্রশ্নে যিনি অবিচল। গণতন্ত্র ও মানুষের বাক স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠায় বেগম খালেদা জিয়ার সংগ্রাম বাংলাদেশের ইতিহাসের এক গৌরব জনক অধ্যায়। ফ্যাসিবাদী সরকারের গভীর ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে সুচিকিৎসার অভাবে সীমাহীন যন্ত্রনা ভোগ করছেন। দেশের মুক্তির মধ্য দিয়ে জনগণ সাত নভেম্বর মতোই তাকে জনতার মাঝে ফিরিয়ে আনবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মাহি আরমান রফিক বলেন, বিশ্বাসঘাতক চক্রের তৈরি ১/১১ ষড়যন্ত্র দেশের গণতন্ত্র ও সর্বমোট থেকে বিশাল এক হুমকির মুখে দাঁড় করিয়েছে। ফখরুদিন ,মইনুদ্দিন গংরা পাপের প্রায়শ্চিত্ত করছে দেশত্যাগ করে ,কিন্তু গণতন্ত্র বিধ্বংসী তাণ্ডবের ঘূর্ণি বায়ুতে আজও দেশ নিমজ্জিত।

প্রধান বক্তা, মেজর (অবঃ) সৈয়দ আবু বকর সিদ্দিক পি এস সি বলেন ,শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যার পর আরও ১০দিন অর্থাৎ ২৪ আগস্ট পর্যন্ত জেনারেল শফিউল্লাহই ছিলেন সেনাপ্রধান। শেখ মুজিব হত্যাকান্ডের সময় জিয়াউর রহমান ছিলেন। সেনাবাহিনীর ডেপুটি চিফ অব স্টাফ।খন্দকার মোশতাকের আনুকূল্যে রাষ্ট্রদূত হিসাবে সরকারী চাকরি কনফার্ম করার পর সেনাপ্রধানের পদ ছাড়েন শফিউল্লাহ।

সাত নভেম্বরের আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন, মেজর (অবঃ) সৈয়দ আবু বকর সিদ্দিক

এরপর যথানিয়মে ডেপুটি চিফ অব স্টাফ থেকে প্রমোশন পেয়ে ২৫ আগস্ট সেনাপ্রধান হন জিয়াউর রহমান। সেনাপ্রধান হিসাবে দায়িত্ব নিয়ে তিনি রক্ষীবাহিনীর প্রভাবমুক্ত একটি শক্তিশালী ও পেশাদার সেনাবাহিনী গড়ে তোলার জন্য কাজ শুরু করেন। সেনাপ্রধান হিসাবে জিয়াউর রহমানকে মেনে নিতে পারেননি ব্রিগেডিয়ার খালেদ মোশাররফ। তিনি জিয়াউর রহমানকে সেনাপ্রধানের পদ থেকে সরানোর চক্রান্ত শুরু করেন। চক্রান্তের অংশ হিসাবে খালেদ মোশাররফ ১৯৭৫ সালের ২ নভেম্বর সেনাপ্রধান জিয়াউর রহমানকে ক্যান্টনমেন্টে বন্দী করে রাখেন। ব্রিগেডিয়ার খালেদ মোশাররাফ ৩ নভেম্বর তৎকালীন রাষ্ট্রপতি খন্দকার মোশতাকের অনুমোদন নিয়ে মেজর জেনারেল হিসাবে নিজেই নিজের প্রমোশন নেন।

অন্যান্যের মধ্যে ৭ নভেম্বরের তাৎপর্য ও প্রেক্ষাপট নিয়ে আলোচনা করেন, জিয়া পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক মানিক হাই, সহ সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার আবুল খায়ের, সরকার, সহ সভাপতি ড. ফেরদৌসী বেগম, ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল জব্বার মিয়া, ব্যারিস্টার সালাউদ্দিন খান মিঠু, সুফিয়া পারভিন ময়না , এড:আবুল হাসানাত ও মোঃ মাইনুল ইসলাম প্রমুখ।

এছাড়া আরো বক্তব্য রাখেন, ফিরোজ জামান,আহসানুল আম্বিয়া শোভন, সাংবাদিক মাসুদুজ্জামান, সাউথ হল জিয়া পরিষদের সভাপতি তমিজ উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস আহমেদ ,সহ-সভাপতি রফিকুল আলম , বি এম ফারুক , সবুর তালুকদার,,মোস্তাক মুহাম্মদ শাওন, লন্ডন মহানগরের নেতৃবৃন্দ ,তানভির উর রশিদ,আবু ছালেহ,মুকিবুর রহমান নিলয়,মহিউদ্দিন আহমেদ, আফতাব উদ্দিন আলভী,সালেহ হোসাইন, হৃদয় ঘোষ-,নাইমুল ইসলাম রিফাত,মো: জুনাইদ বোগদাদী, মোছা: ইমা বেগম মো: জালাল উদ্দিন, মাহবুবুর রহমান, শাহিন মুন্সি ও আবু ছিদ্দিক।

Sheikhsbay

Related Articles

Back to top button
Close
Close