দিনাজপুর পৌরসভার টানা তিনবারের মেয়র সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলম বিএনপির রংপুর বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন
সুরমা প্রতিবেদন।। বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম সম্পর্কে “মন্তব্য” করায় আপিল বিভাগের দেওয়া রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে দিনাজপুর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে বুধবার (১৮ অক্টোবর) আত্মসমর্পণ করেছেন দিনাজপুর পৌরসভার মেয়র বিএনপি নেতা সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলম। পরে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। উল্লেখ্য, বিচারফুর্তি ইনায়েতুর রহিম সম্প্রতি এক সেমিনারে নিজেকে “শপথবদ্ধ রাজনীতিবিদ” বলে দাবী করে দেশব্যাপী সমালোচিত হন। গত ৩ আগস্ট দিনাজপুরে বিএনপির পূর্বঘোষিত কর্মসূচি পালনকালে দিনাজপুরে এক সমাবেশে বিচারফুর্তি ইনায়েতুর রহিমকে “দিনাজপুরের কুলাংগার” বলে উল্লেখ করায় আপিল বিভাগ এই আদেশ দেন। উল্লেখ্য, খালেদা জিয়া দিনাজপুরের মানুষ এবং তার মামলায় নিন্ম আদালতে ন্যায় বিচার না পেয়ে ৫ বছরের সাজা কমাতে উচ্চ আদালতে গেলে মি. রহিম সেটা ১০ বছর করে দেয়ার সমালোচনা করতে গিয়ে মেয়র জাহাঙ্গীর একথা বলেন।
বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টায় দিনাজপুরের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জুলফিকার উল্লাহর আদালতে আত্মসমর্পণ করেন তিনি। এর আগে তিনি শহরের জেল রোডের বিএনপির দলীয় কার্যালয় থেকে দিনাজপুর পৌরসভায় আসেন। পৌরসভার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে কথা বলে আদালতে যান। দিনাজপুর পৌরসভার টানা তিনবারের মেয়র সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলম বিএনপির রংপুর বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন।
আদালতে আত্মসমর্পণের পূর্বে সাংবাদিকদের বলেন, সরকার বিএনপির নেতাকর্মীদের বিভিন্নভাবে দমানোর চেষ্টা করছে। আমার একটি কথায় উচ্চ আদালত আমাকে সাজা প্রদান করেছেন। আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে আদালতে আত্মসমর্পণ করছি। দিনাজপুর কোর্ট পুলিশ পরিদর্শক একেএম লিয়াকত আলী জানান, উচ্চ আদালতের দেওয়া এক মাসের সাজা ভোগ করার জন্য বুধবার দুপুরে পৌর মেয়র সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলম চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। এর আগে জরিমানার এক লাখ টাকা দেন। বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। পরে তাকে কড়া পুলিশি পাহারায় কারাগারে নেওয়া হয়।
গত ২৪ আগস্ট তলব আদেশে হাজির হয়ে বিচারপতিকে নিয়ে “মন্তব্য’ করার ঘটনায় আপিল বিভাগে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করেন মেয়র সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলম। পরে ১২ অক্টোবর মেয়রের উপস্থিতিতে প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের বেঞ্চ শুনানি করে এক মাসের কারাদণ্ড ও ১ লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক সপ্তাহের কারাদণ্ডের আদেশ দেন। একই সঙ্গে সাত দিনের মধ্যে নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণের আদেশ দেন।