নিউজবাংলাদেশ

এ কোন বিচারাঙ্গন, এ কোন শিক্ষাঙ্গন, এ কোন পুলিশ প্রশাসন?

।। সুরমা প্রতিবেদন।।

লণ্ডন, ২৩ আগস্ট: গত ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসের অনুষ্ঠানে কয়েকজন বিচারক দলীয় ক্যাডারসূলভ বক্তব্যের মাধ্যমে শাসক দলের প্রতি তাদের সমর্থন সরাসরি প্রকাশ করেছেন। যা দেশের বিচার বিভাগ ও জাতির জন্য অশনি সংকেত। সেই সঙ্গে এটি দেশের গণতন্ত্র, ন্যায় বিচার, আইনের শাসন ও মানবাধিকারের পরিপন্থী। এই বক্তব্যের মাধ্যমে তারা তাদের শপথ ভঙ্গ করেছেন। এজন্য তারা আইনগত ও নৈতিকভাবে বিচারকাজ পরিচালনার অধিকার হারিয়েছেন বলে দেশের সচেতন জনগণ মনে করছেন। বিচারকদের এমন বক্তব্য ও দলীয় অবস্থান দেশের জনগণকে শঙ্কিত করেছে।

অন্যদিকে গত ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় জড়িত থাকা অপরাধীদের বিচারের রায় কার্যকর করার দাবিতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) আয়োজিত মানববন্ধন কর্মসূচিতে (রাবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. গোলাম সাব্বির সাত্তার বলেছেন, ২১ আগস্ট শেখ হাসিনাকে রক্ষা করেছিল নেতাকর্মীরা, এখন রক্ষা করবে দেশের জনগণ। তাঁকে দিয়ে ভালো কাজ হচ্ছে এবং হবে; এজন্যই তিনি বেঁচে আছেন। ২০০৪ সালে দেশের মানুষ যখন শেখ হাসিনার উপর বিশ্বাস করতে শুরু করেছিলেন তখনি এই নারকীয় হত্যাকাণ্ড গ্রেনেড হামলা চালায় মৌলবাদী বিএনপি সরকার। শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর শেখানো পথ দিয়েই হাঁটছেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. হাসিবুল আলম প্রধান বলেন, এই আগস্ট মাসেই ইতিহাসের চরম নির্মমতাগুলো সংগঠিত হয়েছে। ১৫ আগস্ট ও ২১ আগস্ট একই সূত্রে গাঁথা। এ মাসে ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যা করার জন্য ইতিহাসের সবথেকে জঘন্য হত্যাকাণ্ড গ্রেনেড হামলা চালানো হয়েছিল। এ হামলায় জীবন দিতে হয়েছে আওয়ামী লীগের অসংখ্য নেতাকর্মীকে। সৃষ্টিকর্তার বিশেষ কৃপায় বেঁচে গিয়েছিল আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ কর্মকাণ্ডে জড়িত তারেক রহমানসহ সকলকে দ্রুত বিচারের দাবি জানান তিনি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. সুলতান-উল-ইসলাম বলেন, দেশকে মেধা ও নেতৃত্ব শূন্য করতে তৎকালীন মৌলবাদী জামায়াত-বিএনপির জোট সরকার যে নারকীয় গ্রেনেড হামলা চালিয়েছিল সে ঘটনায় ২৪ জনকে প্রাণ দিতে হয়েছিল। দেশকে পাকিস্তানি পন্থায় দেশকে পরিচালনা করতে এই হত্যাকাণ্ড চালানো হয়। গ্রেনেড হামলায় যারা আহত হয়েছিল তাদেরকে চিকিৎসা সেবাও নিতে দেওয়া হয়নি যাতে তারা রাস্তায় মারা যায়। এই ছিল তৎকালীন জোট সরকারের ঘৃণ্য রাজনীতি। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা পরিণত হয়েছে।

দেশের পুলিশ প্রশাসনের কথা আর নতুন করে বলার কিছু নেই। বরাবরের মতই তারা দলীয় সরকারের প্রতি অনুগত আছেন। ১৫ই আগস্টে আরও বেশি আনুগত্য প্রকাশ করেছেন। আইন শৃঙ্খলা বাহিনী রাষ্ট্রের বাহিনী। জনগণের টাকায় তাদেরকে বেতন দেয়া হয়। অথচ তারা যুবলীগ-ছাত্রলীগ নেতার ভাষায় কথা বলেন! ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তারা হাছান মাহমুদের ভাষায় কথা বলেন! গত শনিবার উচ্চপর্যায়ের পুলিশ কর্মকর্তাদের একটি বৈঠক হয়েছে। সেখানে একজন কর্মকর্তার বক্তব্য ভাইরাল হয়েছে। তার বক্তব্য শোনার পর দেশের মানুষ উনি কি পুলিশের উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তা নাকি থানা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক কোন পার্থক্য করতে পারছেন না।

এঁদো পুকুরে ঢিল পড়েছে। নিচের সব পচা দুর্গন্ধযুক্ত পাঁক উপরে উঠে এসেছে। আওয়ামী বাথানের অবিচারক, দলবাজ পুলিশ নামের গুঁতানো ষাঁড় এবং ভার্সিটির আওয়ামী ভিসি দলীয় বক্তৃতার ঢংয়ে প্রকাশ্য হুমকি দিতে নেমে পড়েছে। এদের অস্থিরতা প্রমাণ করছে আওয়ামী লীগ নামের শাসক দলটির রাজনীতি পুরোই পচে গেছে গেছে। দেশের বিচারাঙ্গন, শিক্ষাঙ্গন, পুলিশ প্রশাসন সবই পচিয়ে ফেলেছে।

Sheikhsbay

Related Articles

Back to top button
Close
Close