নিউজ

রাতের ভোট থেকে মিডিয়া নিয়ন্ত্রণ- সর্বত্র আলোচিত সেনা কর্মকর্তা হাসনাত

বিশেষ প্রতিবেদন।। ঢাকার গণমাধ্যম সরকার যে ক’জন মাফিয়ার মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করেন তিনি অন্যতম। রাতের ভোট থেকে মিডিয়া হাউজের নিয়ন্ত্রণ- সর্বত্র তিনি তার নাটের গুরুদের কাছে অত্যন্ত নির্ভরযোগ্য। বিশেষ বিবেচনায় পরপর দুটি পদোন্নতির পর এখন কোনাকুনি মেজর জেনারেল পদ এখন শুধু সময়ের ব্যাপার। 

বাংলাদেশের এই করিতকর্মা সেনা কর্মকর্তার নাম ব্রিগেডিয়ার আবুল হাসনাত মোহাম্মদ কামরুজ্জামান খান ( বিএ নম্বর ৪৩৪৭) পিএসসি। গত ১৪ বছর ধরে ডিজিএফআই, এনএসআই, এনটিএমসি তিন সংস্থায় ঘুরে ঘুরে পরিচালক হিসাবে গোয়েন্দা বিভাগে থেকে “সাফল্যের সঙ্গে” সরকারের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করে চলেছেন। পুরস্কার হিসাবে পদোন্নতি বোর্ডের সুপারিশ না  থাকা সত্ত্বেও বিশেষ কায়দায় কর্ণেল ও ব্রিগেডিয়ার হিসাবে দুটো পদোন্নতি পেয়েছেন।  সময়ের পরিক্রমায় তিনি হয়ে উঠেছেন কর্তৃত্ববাদী সরকারের ক্যারিশমাটিক মিডিয়া মাফিয়া।

জানা গেছে, বর্তমানে বিগ্রেডিয়ার হাসনাত ডিজিএফআই এর পাবলিক রিলেশন এন্ড মিডিয়া সেন্টারের পরিচালক হিসাবে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। পান থেকে চুন খশলেই সাংবাদিকদের “চা খাওয়ার” জন্য ডেকে পাঠান। নসিহত করেন, পরামর্শ দেন। এমনকি নরমে-গরমে “উপদেশ”ও দেন। প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক ও সোস্যাল মিডিয়ায় কি খবর যাবে, আর কি যাবে না- এসব নিয়ে তার মতামতকে উপেক্ষা করা প্রায় অসম্ভব বলে ঢাকার মুখ্যমন্ত্রী বেশ কয়েকটি নির্ভরযোগ্য সুত্র নিশ্চিত করেছেন। তার কথার বাইরে গেলে শিকার হতে হয় নানা ধরনের হয়রানির। 

টিভি টকশো নিয়েও তিনি কম ব্যস্ত নন! কে টকশোতে যাবে আর কে যাবে না, কে কি বলবে আর কি বলবে না- তাও সময় সময় নির্ধারন করে দেন। কতৃত্ববাদী সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায়ে যোগাযোগ থাকায় তিনি ডিজিএফআইয়ের আর কোনো কর্মকর্তাকে জবাবদিহিতার প্রয়োজন মনে করেন না বলেও সূত্রগুলো নিশ্চিত করেছে। 

আওয়ামীলীগ নেতার জামাই হবার সুবাদে ১/১১ -র সময় তিনি নিজ এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেন। এমনকি কি শ্বশুরকে দিয়ে হোটেল বনানীর নিকটস্থ দুই নৌবাহিনী অফিসারের পরিবারের সম্পত্তি, পুরান বাজারস্থ জনৈক ডা: চন্দন কুমার সাহার সম্পত্তিসহ অসংখ্য স্থানে সম্পত্তি দখল করে নেবার প্রচেষ্টা চালিয়েছেন। বস্তুত: তার শশুর পক্ষের সকল প্রকারের জোর জুলুমের, জবর দখলের শক্তির উৎস এই করিস কর্মা সেনা কর্মকর্তা হাসনাত। এছাড়াও ডিজিএফআইয়ে দায়িত্বে থাকাকালে গুম, খুন, মানবাধিকার লঙ্ঘন ও রাজনৈতিক কর্মীদের হত্যার সাথে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে এই সেনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। 

খোঁজখবর নিয়ে জানা গেছে, ২০১৮’র নির্বাচনে কর্নেল অবস্থায় ডিজিএফআইয়ে রাজশাহীর ডেট কমান্ডার থাকাকালে সাফল্যের সাথে দিনের ভোট রাতে কেটে সম্পন্ন করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। এর পুরস্কার হিসাবে স্বপরিবারে এক মাসের ইউরোপ ট্যুর পেয়েছিলেন  সরকারী খরচে। শুধু কি ইউরোপ ট্যুর?নামে বেনামে গত ১৪ বছরে সম্পদের পাহাড় গড়ে তুলেছেন। সবুজছায়া আবাসিক প্রকল্পে তার শতকোটি টাকা বিনিয়োগ রয়েছে বলে জানা গেছে। এ ছাড়া অন্যের জমি দখল ও ব্যবসা হাতিয়ে নেবার অভিযোগ আছে তার বিরুদ্ধে। 

Sheikhsbay

Related Articles

Back to top button
Close
Close