নিউজ

নির্বাচনী ভিলেনদের তালিকা ভাইরাল: এবার ৬৪ জন রিটার্নিং অফিসারের তালিকা প্রকাশ

।। সুরমা প্রতিবেদন ।।
লণ্ডন, ১৪ জুন : সাপ্তাহিক সুরমায় প্রকাশিত নির্বাচনী ভিলেনদের তালিকা সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। তৃতীয় পর্বে ২০১৮ ইং সালের ৩০ ডিসেম্বরের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যেসব জেলা প্রশাসকগণ রিটার্নিং অফিসারের দায়িত্বপ্রাপ্ত হয়ে খলনায়কের ভূমিকা পালন করেছিলেন, নৈশ ভোট ও অনৈতিক কর্মকান্ডে জড়িত সেসব জেলা প্রশাসকদের চিহ্নিত করা হয়েছে। সেসময় দায়িত্ব পালনরত এসব জেলা প্রশাসকরাই (ডিসি) নৈশভোটে মুখ্য ভূমিকা পালন করেছিলেন। দায়িত্ব পালনের তিন বছর মেয়াদ পূর্ণ হওয়াসহ যে ১০/১৫ জন কর্মকর্তা শেখ হাসিনার অনৈতিক সরকারের সবুজ সংকেত বাস্তবায়নে দ্বিমত প্রকাশ করেছিলেন তাদেরকে নির্বাচনের দুই থেকে আড়াই মাস আগে বদলি করে তাদের জায়গায় ২১তম ব্যাচের কর্মকর্তাদের নিয়োগ দিয়েছিলেন। সেসময় যারা ডিসি পদে যারা নিযুক্ত ছিলেন তাদের অধিকাংশই বিসিএস ২০তম ব্যাচের কর্মকর্তা ছিলেন। শেখ হাসিনার অনৈতিক সরকারের জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় নৈশ ভোটের মাস্টার মাইন্ড শেখ হাসিনার নির্দেশে এভাবেই তাদের ফিটলিস্ট চূড়ান্ত করেছিলেন। সেসময়ের সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী ডিসিদের যে নির্দেশ দিয়েছেন তাই সরকারের নির্দেশ। আমাদের পৃথক কোনও নির্দেশ নাই। সরকারের দেওয়া নির্দেশ বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে কেউ কোনও সমস্যা অনুভব করলে তা সরাসরি ফোন করে জানানোর নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।’ অপরদিকে ডিসিদের উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের বলেছিলেন, ‘দায়িত্ব পালনে কোনও চাপের কাছে মাথানত করবেন না। সরকারের সাফল্য প্রচার করুন। সরকারের প্রকল্প বাস্তবায়ন করুন। প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নে মনোযোগী হোন। আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভালো রাখতে হবে যেকোনো মূল্যে।’ জেলা প্রশাসকদের (ডিসি) তিনি আরও বলেছিলেন, ‘এমন কোনও কাজ আপনারা করবেন না, যাতে সরকার বিব্রতবোধ করে। অক্টোবরে নির্বাচনি তফসিল ঘোষণা করা হবে। মাত্র পৌনে তিন মাস সময় বাকি আছে। সরকারের পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসকদের যে বার্তা দেওয়ার তা সরকারপ্রধান দিয়েছেন। এক্ষেত্রে ওনার মেসেজই আমাদের মেসেজ।’ অন্যদিকে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য, সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী এবং ১৪ দলের মুখপাত্র মোহাম্মদ নাসিম বলেছিলেন, ‘একটি রাজনৈতিক সরকারের মাঠ পর্যায়ের প্রতিনিধি হচ্ছেন জেলা প্রশাসক (ডিসি)। সরকারের সব সিদ্ধান্ত তাদেরই বাস্তবায়ন করতে হয়। সেদিক বিবেচনা করে সরকারের সিদ্ধান্ত ও প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নে ডিসিদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আগামী ডিসেম্বরে দেশে নির্বাচন হবে ইনশাআল্লাহ। এর আগে সরকারের দেওয়া নির্দেশনাগুলো বাস্তবায়নের জন্য ডিসিদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কারণ এই ডিসিরাই আগামী নির্বাচনে জেলায় দায়িত্ব পালন করবেন।’ সেসময় দায়িত্বপ্রাপ্ত একজন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (এডিসি)  নাম প্রকাশ না করার শর্তে সাপ্তাহিক সুরমাকে জানিয়েছেন, ‘সেসময় নৈশ ভোটে দায়িত্বপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসকগণ জেলার আওতাভুক্ত সবক’টি নির্বাচনি এলাকা পরিদর্শন করে পুরো এলাকা সম্পর্কে ধারণা নিয়েছিলেন। নৈশ ভোটকালে কোথায় কী ধরনের সমস্যা হতে পারে তা শনাক্ত করে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাথে যোগাযোগ করে সমাধান করেছিলেন। কোথাও আটকে গেলে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদেরও পরামর্শ নিয়েছিলেন।’

২০১৮ সালের ভুয়া নির্বাচনের সাথে জড়িত সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার, নির্বাচন কমিশন ও তাদের সচিবালয়ের অফিসার, আইজিপি, ডিসি, এসপি, ওসি, ডিআইজি এবং আর্মি অফিসার যারা দায়িত্বে ছিলেন, যেসকল ম্যাজিস্ট্রেট ও বিচার বিভাগের কর্মকর্তারা দায়িত্বরত ছিলেন, যেসকল সচিবরা অফিসার্স ক্লাবে গোপন মিটিং করে নির্বাচনে কারচুপি করার পরিকল্পনা করেছিলেন, যেসব কর্মকর্তারা গোপন আদেশে জেলা মনিটরিংয়ের দায়িত্বে নিয়েছিলেন, নির্বাচনের পরদিন থানায় থানায় যারা বিশেষ ভোজের আয়োজন করেছিলেন তাদের সবার নামের তালিকা, পরিচিতি, এবং অপরাধের ধরণ সাপ্তাহিক সুরমা সংগ্রহ করছে। এসব তথ্য মার্কিন দূতাবাস, স্টেইট ডিপার্টমেন্ট এবং পশ্চিমা দূতাবাসগুলোতে প্রেরণ করা হচ্ছে এবং সাপ্তাহিক সুরমায় তা ধারাবাহিকভাবে প্রকাশ করা হচ্ছে। এর মধ্যে নৈশ ভোটে জড়িত না থাকার সুনির্দিষ্ট তথ্য প্রমাণ দিয়ে কেউ আবেদন করলে তা বিবেচনা করা হবে। প্রথম (২ জুন) ও দ্বিতীয় (৯ জুন) পর্বে ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বরে নৈশভোট করে গণশত্রুতে পরিণত হওয়া ৪৫ জন সচিবের তালিকা ও নির্বাচন পদকপ্রাপ্ত ৩৪৯ পুলিশ ও র্যাব কর্মকর্তার নাম প্রকাশের পর তৃতীয় পর্বে এবার নৈশভোটের মূখ্য কারিগর ও শেখ হাসিনার অনৈতিক আওয়ামী লীগ সরকারের দোসর ৬৪ জন রিটার্নিং অফিসারের নামের তালিকা, তাদের সংস্থাপন মন্ত্রণালয়ের আইডি নম্বর এবং তাদের বর্তমান পদবী ও বর্তমান কর্মস্থলের তথ্য প্রকাশ করা হলো।

নৈশ ভোটের মূখ্য কারিগর ও শেখ হাসিনার অনৈতিক আওয়ামী লীগ সরকারের দোসর এবং দেশের জনগণের চোখে নির্বাচনী ভিলেনরুপে আত্মপ্রকাশ করা এসব কর্মকর্তাগণ হলেন:- আনারকলি মাহবুব (৬৮৮৬)- শেরপুর; বর্তমানে যুগ্মসচিব (মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ)। আহমেদ কবির (৬৫০২)-  জামালপুর; বর্তমানে উপসচিব (ওএসডি)। মো. সায়োরার মোর্শেদ চৌধুরী (৬৮৯৬)- কিশোরগঞ্জ; বর্তমানে যুগ্মসচিব (স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগ)। ময়নুল ইসলাম (৬৬৪৬)- নেত্রকোনা; বর্তমানে উপসচিব (স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগ)। ড. সুবাস চন্দ্র বিশ্বাস (৬৪৫২)- ময়মনসিংহ; বর্তমানে অতিরিক্ত সচিব, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। মো. শহিদুল ইসলাম (১৫০৩২)- টাঙ্গাইল; বর্তমানে যুগ্মসচিব (মহাপরিচালক, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়)। ড. দেওয়ান মুহম্ম হুমায়ুন কবির (৬৪০৭)- গাজীপুর; বর্তমানে অতিরিক্ত সচিব, পিডি (এটুআই-৩) প্রোগ্রাম। আবু সালেহ মো. ফেরদৌস খান (৬৫১৫)- ঢাকা; বর্তমানে যুগ্মসচিব (পিডি আশ্রায়ন প্রকল্প। এম এমদাদুল ইসলাম (১৫১০২)- সিলেট; বর্তমানে যুগ্মসচিব (মিনিস্টার বাংলাদেশ দূতাবাস সৌদিআরব)।  রাব্বী মিয়া (৬৩৯৫) – নারায়ণগঞ্জ; বর্তমানে অতিরিক্ত সচিব, পরিকল্পনা মন্ত্রনালয়। তোফায়েল ইসলাম (৬৪৬৩)- মৌলভীবাজার; বর্তমানে অতিরিক্ত সচিব, পরিচালক, সিএমডিএস। তপন কুমার বিশ্বাস (৬৪৪২)- বাগেরহাট; বর্তমানে অতিরিক্ত সচিব, এনজিও ব্যুরো। এনামুল হাবিব (৬৪৬৪)- রংপুর; বর্তমানে অতিরিক্ত সচিব, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। কামরুন নাহার সিদ্দিকা (৬৪১১)- সিরাজগঞ্জ; বর্তমানে অতিরিক্ত সচিব, জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়। ১৪. সায়লা ফারজানা (৬৪১৪)- মুন্সিগঞ্জ; বর্তমানে অতিরিক্ত সচিব, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। উম্মে সালমা তানজিয়া (৬৪০৫)- ফরিদপুর; বর্তমানে অতিরিক্ত সচিব, পাসপোর্ট অধিদপ্তর। মোহাম্মদ মোখলেছুর রহমান সরকার (৬৪০১)- গোপালগঞ্জ;  বর্তমানে অতিরিক্ত সচিব, বিসিএস প্রশাসন একাডেমি। মো. আবদুল আউয়াল (৬৪৫৬)- যশোর; বর্তমানে অতিরিক্ত সচিব, মিনিস্টার, বাংলাদেশে দূতাবাস আবুধাবী। মো. শওকত আলী (৬৪৩১)- রাজবাড়ি; বর্তমানে অতিরিক্ত সচিব, গৃহায়ন মন্ত্রণালয়। এস এম আজিয়ুর রহমান (৬৮৬৩)- বরিশাল; বর্তমানে যুগ্মসচিব (এডিজি, পানি উন্নয়ন বোর্ড)। মো. মতিউল ইসলাম চৌধুরী (৬৮৭১)- পটুয়াখালী; বর্তমানে যুগ্মসচিব (পরিচালক বিমান)। এ জেড এম নুরুল হক (৬৭৩৩)- চাপাইনবাবগঞ্জ; বর্তমানে যুগ্মসচিব (অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার ঢাকা)। মোহাম্মদ গোলামুর রহমান (৬৮০৪)- নাটোর; উপসচিব ছিলেন (মারা গেছেন)। মো. জসিম উদ্দিন (৬৮১১)- পাবনা; বর্তমানে উপসচিব (স্থানীয় সরকার বিভাগ)। এস এম আবদুল কাদের (৬৯১৬)- রাজশাহী; বর্তমানে যুগ্মসচিব (অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ)। সেবাস্তিন রেমা (৬৮৬১)- গাইবান্ধা; বর্তমানে যুগ্মসচিব (ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়)। আব্দুল মতিন (সোবাস্তিনের স্থলে)- গাইবান্ধা; বর্তমানে যুগ্মসচিব (জননিরাপত্তা বিভাগ)। মাহমুদুল কবির মুরাদ (৬৮৯৯)- হবিগঞ্জ; বর্তমানে যুগ্মসচিব (মেম্বার পিডিবি)। মোহাম্মদ আবদুল আহাদ (৬৮০৬)- সুনামগঞ্জ; বর্তমানে যুগ্মসচিব (ওএসডি-এনডিসি কোর্সের জন্য)।  মোহাম্মদ মাসুদ আলম সিদ্দিক (৬৮৬৫)- ভোলা; বর্তমানে যুগ্মসচিব (ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন)। মোহামাম্দ ইলিয়াস হোসেন (৬৭৫০)- চট্টগ্রাম; বর্তমানে যুগ্মসচিব (জ্বালানী মন্ত্রণালয়)। মোহাম্মদ জাকের হোসেইন (৬৭২৯)- জয়পুরহাট; বর্তমানে যুগ্মসচিব (পরিচালক বিসিক)। মো. দাউদুল ইসলাম (৬৬৮১)- বান্দরবন; বর্তমানে যুগ্মসচিব (বানিজ্য মন্ত্রনালয়)। মো. মাজেদুর রহমান খান (৬৬৩৯)- চাঁদপুর; বর্তমানে যুগ্মসচিব (মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ)। মো. কামাল হোসেন (৬৮০১)- কক্সবাজার; বর্তমানে যুগ্মসচিব (স্থানীয় সরকার বিভাগ)। মো. আবুল ফজল মীর (৬৬৪০)- কুমিল্লা; বর্তমানে যুগ্মসচিব (জননিরাপত্তা বিভাগ)। মো. ওয়াহেদুজ্জামান (৬৮৫৮)- ফেনী; বর্তমানে যুগ্মসচিব (পরিচালক বিসিক)। মো. শহিদুল ইসলাম (৬৮৫০)- খাগড়াছড়ি; বর্তমানে যুগ্মসচিব (পরিচালক সমাজকল্যান পরিষদ)। এস এম ফেরদৌস (৬৯১৮)- মানিকগঞ্জ; বর্তমানে যুগ্মসচিব (জননিরাপত্তা বিভাগ)।  সৈয়দা ফারহানা কাওনাইন (৬৮৯৪)- নরসিংদী; বর্তমানে যুগ্মসচিব (সড়ক পরিবহন বিভাগ)। কাজী আবু তাহের (৬৭৩১)- শরীয়তপুর; বর্তমানে যুগ্মসচিব (এডিজি পরিবেশ অধিদপ্তর)। গোপাল চন্দ্র দাস (৬৯২৩)- চুয়াডাঙ্গা; বর্তমানে যুগ্মসচিব (পাট ও বস্ত্র মন্ত্রনালয়)। সরোজ কুমার নাথ (৬৮৪১)- ঝিনাইদহ; বর্তমানে যুগ্মসচিব (শিক্ষা মন্ত্রনালয়)।  মো. আসলাম হোসেন (৬৬৪৪)- কুষ্টিয়া; বর্তমানে যুগ্মসচিব (পরিকল্পনা মন্ত্রনালয়)। মো. আলী আকবর (৬৯১২)- মাগুড়া; বর্তমানে যুগ্মসচিব (কৃষি মন্ত্রনালয়)। মোহাম্মদ হেলাল হোসেন (৬৮৮৯)- খুলনা; বর্তমানে যুগ্মসচিব (স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ)। অঞ্জন চন্দ্র পাল (৬৭৭৮)- লক্ষীপুর; বর্তমানে যুগ্মসচিব (ত্রাণ মন্ত্রণালয়)। মো. মিজানুর রহমান (৬৭৩৭)- নওগাঁ; বর্তমানে যুগ্মসচিব (জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়)। এ কে এম মামুনুর রশিদ (৬৭৮২)- রাঙ্গামাটি; বর্তমানে যুগ্মসচিব (খাদ্য মন্ত্রণালয়)। মো. হামিদুল হক (৬৫৭৩)- ঝালকাঠি; বর্তমানে যুগ্মসচিব (মন্ত্রীপরিষদ বিভাগ)। তন্ময় দাস (৬৫৩৭)- নোয়াখালী; বর্তমানে যুগ্মসচিব (সদস্য রাজউক)। মো. ওয়াহেদুল ইসলাম (৬৪৯০)- মাদারীপুর; বর্তমানে যুগ্মসচিব (ফায়ার সার্ভিস)। মোহাম্মদ শফিউল আরিফ (৬৫৫০)- লালমনিরহাট; বর্তমানে যুগ্মসচিব (জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়)। ফয়েজ আহমদ (৬৪৯৩)- বগুড়া; বর্তমানে যুগ্মসচিব (কৃষি মন্ত্রণালয়)। ড. কে এম কামরুজ্জামান সেলিম (১৫০১০)- ঠাকুরগাঁও; বর্তমানে যুগ্মসচিব (কৃষি মন্ত্রণালয়)। কবির মাহমুদ (১৫০১৫)- বরগুনা; বর্তমানে যুগ্মসচিব (স্থানীয় সরকার বিভাগ)। আবু আলী মে. সাজ্জাদ হোসেন (১৫০৬৭)- পিরোজপুর; বর্তমানে যুগ্মসচিব (শিক্ষামন্ত্রীর পিএস)। হায়াত-উদ-দৌলা খান (১৫১২৫)- ব্রাক্ষণবাড়িয়া; বর্তমানে যুগ্মসচিব (জননিরাপত্তা বিভাগ)। মো. আতাউল গনি (১৫০৬৪)- মেহেরপুর; বর্তমানে যুগ্মসচিব (রাষ্ট্রপতির কার্যালয়)। আঞ্জুমান আরা (১৫১৭৭)- নড়াইল; বর্তমানে যুগ্মসচিব (স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ)। এস এম মোস্তফা কামাল (১৫১৪৫)- সাতক্ষীরা; বর্তমানে উপসচিব, শিপিং মিনিস্ট্রি। মো. মাহমুদুল আলম (১৫০২৮)- দিনাজপুর; বর্তমানে যুগ্মসচিব (মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ)। মোছা: সুলতানা পারভীন (৬৮৮৪)- কুড়িগ্রাম; বর্তমানে যুগ্মসচিব (ওএসডি-এনডিসি কোর্সের জন্য)। নাজিয়া শিরিন (৬৮৭৪)- নীলফামারী; বর্তমানে যুগ্মসচিব (কৃষি মন্ত্রণালয়) ও সাবিনা ইয়ামিন (১৫০৫৭)- পঞ্চগড়;  বর্তমানে যুগ্মসচিব (কৃষি মন্ত্রণালয়)।

এখানে বিশেষভাবে উল্লেখ্য, সাপ্তাহিক সুরমায় অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের প্রথম (২ জুন) পর্বে ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বরে নৈশভোট করে গণশত্রুতে পরিণত হওয়া ৪৫ জন সচিবের তালিকা এবং দ্বিতীয় (৯ জুন) পর্বে নির্বাচন পদকপ্রাপ্ত ৩৪৯ জন পুলিশ ও র্যাব কর্মকর্তার নাম প্রকাশের পর দেশে ও দেশের বাইরে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। উদ্বিগ্ন সেই কর্মকর্তা ও তাদের আত্মীয় স্বজনদের রাতের ঘুম হারাম হয়ে গেছে। সোশ্যাল মিডিয়ায়, সচিবালয়ে, র‌্যাব-পুলিশ সদর দপ্তরে, অফিস-আদালতে, গ্রামে-গঞ্জে, চায়ের স্টলে এই তালিকা নিয়ে ব্যাপক আলোচনা হচ্ছে। এমন একটা গুরুত্বপূর্ণ তালিকা প্রকাশ করার জন্য সাপ্তাহিক সুরমা‘কে দেশের সচেতন নাগরিকগণ সাধুবাদ জানাচ্ছেন। এই প্রতিবেদককে ফোন করে উদ্বিগ্ন কর্মকর্তাদের কয়েকজন সেই তালিকা ইতোমধ্যে মার্কিন দুতাবাসে পাঠানো হয়েছে কিনা জানতে চেয়েছেন। এর মাঝে একজন কর্মকর্তা নিজেকে নির্দোষ দাবী করে তালিকা থেকে তাঁর নাম বাদ দেয়ার অনুরোধ করেছেন।

Sheikhsbay

Related Articles

Back to top button
Close
Close