নিউজ

শেখ হাসিনা-শেষ হাসিনা

  • সুরমা প্রতিবেদন সত্য প্রমাণিত
  • তিনদেশ সফরে প্রটোকল না পাওয়ায় ক্ষোভ
  • পশ্চিমী চাপে ভারতকে পাশে চায় হতাশ হাসিনা
  • ভোট ডাকাতদের জনগণ আগামীতে ভোট দিবে না
  • বিদায় বুঝতে পেরে আবোল-তাবোল বকছেন হাসিনা
  • অংশগ্রহণমূলক না হলে ভোটে ইইউ পর্যবেক্ষক পাঠাবে না

সুরমা প্রতিবেদন: অবৈধ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সময় শেষ। সেটা বুঝতে পেরে জাপান, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য সফর শেষে দেশে ফিরে পশ্চিমীদের সাথে বাংলাদেশকে সরাসরি সংঘাতের পথে নিয়ে যাচ্ছেন শেখ হাসিনা। ইতোমধ্যে তিনি পশ্চিমীদের নিয়মিত প্রোটোকলের বাইরে কোনো প্রটোকল না দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। তিনদেশ সফরে প্রটোকল না পাওয়ায় তিনি সংবাদ সন্মেলনে প্রকাশ্যে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। ত্রি-দেশীয় সফরের পর অবৈধ প্রধানমন্ত্রী অত্যাধিক চিন্তিত হয়ে পড়েছেন। পশ্চিমীদের কাছ থেকে কিছু না কেনার ঘোষণা দিয়ে তিনি বলেছেন, যারা আমাদের নিষেধাজ্ঞা দেয়, তাদের কাছ থেকে কিছু কিনবো না। অর্থ মন্ত্রণালয়কে তিনি এই বিষয়ে নির্দেশনা দিয়ে দিয়েছেন। এর মধ্যেই নাকি তিনি দুটি অ্যাকশন নিয়ে নিয়েছেন। তবে সেই অ্যাকশনের বিস্তারিত তিনি জানাননি। র‍্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা আর অবাধ, সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন ঘিরে চাপ- এই দুটা বিষয় মূলত শেখ হাসিনাকে ক্ষুব্ধ করে তুলেছে বলে পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন। অবৈধ প্রধানমন্ত্রী শংকিত হয়ে পশ্চিমা বিশ্বের সমালোচনা করছেন। এদিকে ভোট ডাকাতি করে জোর করে ক্ষমতায় থাকা দেশের অবৈধ প্রধানমন্ত্রীর প্রতি দেশের জনগণও বীতশ্রদ্ধ হয়ে পড়েছেন। অংশগ্রহণমূলক না হলে নির্বাচনে ইইউ পর্যবেক্ষক না পাঠানোর ঘোষণা দিয়েছেন। শেষ সময় বুঝতে পেরে শেখ হাসিনা এখন আবোল-তাবোল বকছেন। দেশের বীতশ্রদ্ধ জনগণ শেখ হাসিনাকে এখন শেষ হাসিনা বলে সম্ভোধন করছেন।

সুরমা প্রতিবেদন সত্য প্রমাণিত

শেখ হাসিনা রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ সফরের নামে যে প্লেজার ট্রিপে এসেছিলেন সেটা সংবাদ সন্মেলনে তাঁর বক্তব্যের মাধ্যমে প্রমাণিত হয়েছে। সেইসাথে এটাও প্রমাণিত হয়েছে যে, শেখ হাসিনার গুরুত্বপূর্ণ সফরের নাম দিয়ে তাঁর সফরের সফলতা নিয়ে যত কথা বলা হয়েছে সেসবই ছিলো ডাহা মিথ্যা, প্রপাগান্ডা। মূলত ডলার সংকটের কারণে দেশ যেখানে ঠিকমত আমদানি করতে পারছে না, সেখানে ক্ষমতার শেষ সময়ে ১৫৭ জনের বিশাল লটবহর নিয়ে প্লেজার ট্রিপ জায়েজ করতেই এসব ন্যারেটিভ তিনি ও তাঁর সফর সঙ্গীরা তৈরী করেছেন। গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সন্মেলনে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাকের সাথে তাঁর বৈঠকের বিষয়ে কথা বলার সময় তিনি একবারও দ্বিপাক্ষিক শব্দটা উচ্চারণ করেননি। এ থেকে প্রমাণিত হয়েছে, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাকের সাথে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের খবর ভূয়া! এছাড়া আমেরিকার বাইডেন প্রশাসন কেনো তাকে আমন্ত্রণ জানায়নি এবং তাঁর সফর কেনো জাপানি কোন সংবাদমাধ্যম কাভার করেনি, এ বিষয়ে তিনি কোন কথাই বলেননি। উপরন্তু আইএমএফ প্রধানের বক্তব্য নিয়ে আবারও নির্লজ্জ মিথ্যাচার করেছেন! এভাবে ডাহা মিথ্যা বলে আইএমএফ ও তাঁর প্রধানকে বিব্রত করে তিনি আবারও দেশের কূটনৈতিক শিষ্টাচার ধ্বংস করেছেন।

বিদেশ সফরে প্রটোকল না পাওয়ায় ক্ষোভ

বিদেশ ভ্রমণে গিয়ে উপযুক্ত প্রটোকল না পেয়ে এর প্রতিশোধ হিসেবে বাংলাদেশে নিযুক্ত কূটনীতিকদের সুবিধা প্রত্যাহার করে নিয়েছে শেখ হাসিনার অবৈধ সরকার। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা বলছেন, কূটনৈতিকদের প্রটোকল প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত বাংলাদেশকে এক ঘরে করে দেবে। যেভাবে দায়িত্বহীনভাবে কূটনীতিকদের অতিরিক্ত প্রটোকল প্রত্যাহার করেছে সরকার, এতে সংকট সৃষ্টি হবে। এটা বাংলাদেশের সঙ্গে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ক্ষতিগ্রস্ত করবে। বাংলাদেশের মানুষকে ক্ষতি করবে। এটা সুখকর কিছু বয়ে আনবে না। এদিকে দেশের সচেতন নাগরিকরা প্রশ্ন করছেন, আন-অফিশিয়াল সফরে গিয়ে তিনি কিভাবে রাষ্ট্রীয় সফরের মতো প্রটোকল আশা করেন?

পশ্চিমী চাপে ভারতকে পাশে চায় হতাশ হাসিনা

‘পশ্চিমী চাপে ভারতকে পাশে চায় বাংলাদেশ’ শিরোনামে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার এক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। অগ্নি রায়ের লেখা সেই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘বাংলাদেশে নির্বাচনের মুখে অর্থাৎ আগামী সেপ্টেম্বরে জি ২০ শীর্ষ সম্মেলন উপলক্ষে ভারতে আসছেন সে দেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ঢাকার দাবি, তাঁর সফরের আগেই নয়াদিল্লির চাহিদা-তালিকার সবই দিয়ে দেওয়া হয়েছে। যদি কিছু বাকি থাকে, তবে তা ছোটখাটো বিষয় এবং দ্বিপাক্ষিক প্রক্রিয়ার মধ্যে রয়েছে। বাংলাদেশ সূত্রের দাবি, সম্প্রতি চট্টগ্রাম এবং মংলা বন্দর ব্যবহারের অনুমতি ভারতকে দেওয়ার বিষয়টি দশ-পনেরো বছর আগেও কল্পনা করতে পারতেন না বাংলাদেশবাসী। কিন্তু সেটাও আজ সম্ভব হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে হাসিনার সফরে বাংলাদেশ চাইবে, সে দেশে আসন্ন নির্বাচন নিয়ে আমেরিকা তথা পশ্চিমের যে চাপ তৈরি হয়েছে, তার মোকাবিলায় কূটনৈতিক ভাবে আওয়ামী লীগ সরকারের পাশে থাকুক ভারত। বাংলাদেশে নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে, সে দেশে নিযুক্ত আমেরিকার রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের নাক গলানো নিয়ে অভিযোগ ও সমালোচনায় সরব হচ্ছে হাসিনা সরকার। মানবাধিকার প্রসঙ্গেও খোঁচা দিয়ে আগামী নির্বাচন যাতে অবাধ ও সুষ্ঠু হয়, তার জন্য বিভিন্ন স্তরে ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে ঢাকার উপরে চাপ তৈরি করা হয়েছে। গত কয়েক মাসে ইইউ, ব্রিটেন, জাপান বাংলাদেশের গত বারের নির্বাচনের প্রসঙ্গ তুলে সমালোচনা করছে। এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ চাইছে, বন্ধু দেশ হিসাবে ভারত কূটনৈতিক ভাবে ওই দেশগুলির সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে কথা বলুক। ঢাকার বক্তব্য, দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক নেতৃত্ব ভারতের হাতে, তাই পশ্চিমের কাছে নয়াদিল্লির বক্তব্যের গুরুত্ব রয়েছে।‘ বাংলাদেশের অবৈধ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার সাম্প্রতিক যুক্তরাজ্য সফরের সময় বিবিসির ইয়ালদা হাকিমের সাথে একান্ত সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র আমাকে ক্ষমতা থেকে সরাতে চায়’। আর ঠিক একারণেই শেষ হাসিনা ভারতকে পাশে চায়।

ভোট ডাকাতদের জনগণ আগামীতে ভোট দিবে না

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচন হলে ভোট ডাকাতদের জনগণ ভোট দিবে না। তত্ত্বাবধায়ক  সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত বিগত তিনটি নির্বাচনই সুষ্ঠু হয়েছিল। সেসব নির্বাচনে দেশের মানুষ নিরাপদে স্বাধীনভাবে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছিল। বাধাহীনভাবে তারা তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পেরেছিল। কিন্তু ২০০৯ সালে ফখরুদ্দিন-মইনুদ্দিনের সহযোগিতায় ক্ষমতায় এসে ২০১১ সালে চীফ জাস্টিস খায়রুল হককে ২০ লাখ টাকা ঘুষ দিয়ে অবৈধ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জনপ্রিয় কেয়ারটেকার সরকার পদ্ধতি বাতিল করেছিলো। ২০০৯ সালের ২৫ ও ২৫ ফেব্রুয়ারি ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’ এর পরিকল্পনায় পিলখানায় ৫৭ জন মেধাবী সেনা কর্মকর্তাকে নির্মমভাবে হত্যা করার পরই হাসিনার আওয়ামী লীগ সরকার বুঝতে পেরেছিল যে এদেশের মানুষ আর ভবিষ্যতে আওয়ামী লীগকে ভোট দিবে না। নির্বাচনে পাস করতে হলে জালিয়াতি, কেন্দ্র দখল আর ডাকাতি করেই পাস করতে হবে। সেই জন্যই শেখ হাসিনা জনপ্রিয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি বাতিল করেছিল। তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি বাতিল করে অবৈধ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিগত ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচন এবং আগামী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন নিয়ে এখন প্রায় প্রতিদিনই কথা বলছেন। দাবি করছেন, কথিত উন্নয়নে খুশি হয়ে দেশের মানুষ নাকি আওয়ামী লীগকে বিগত দুইটি নির্বাচনে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছেন। এরচেয়ে প্রতারণা আর বাটপারি আর কিছুই হতে পারে না। ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনে কি হয়েছে এবং শেখ হাসিনা কিভাবে ক্ষমতা দখল করেছেন সারাবিশ্বের মানুষ তা দেখেছেন। শেখ হাসিনা যদি ন্যূনতম লজ্জা শরমের অধিকারী হতেন তাহলে বিগত দুইটি নির্বাচন নিয়ে কোন কথাই বলতেন না। যাই হোক, যেহেতু তার লজ্জা শরম বলতে কিছু নেই তাই আগামী দ্বাদশ নির্বাচন নিয়েও শেখ হাসিনা সোমবার সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, নির্বাচন নিয়ে সরকার কোনো ভয়ে নেই। জনগণ ভোট দিলে থাকবে, না দিলে বিরোধী দলে যাবে। নির্বাচন নিয়ে সরকারের কোনো ভয় নেই-শেখ হাসিনা এই কথাটা সত্য বলেছেন। আসলেই নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগের কোনো উদ্বেগ বা ভয় নেই। কারণ, নির্বাচনে যদি জনগণ ভোট দিতে পারে তাহলে একটা ভয় থাকে। দেশের মানুষ স্বাধীনভাবে ভোট দিয়ে তাদের প্রতিনিধি নির্বাচিত করার সুযোগ পায় তাহলে আওয়ামী লীগের সব প্রার্থী যে জামানত হারাবে এটা শেখ হাসিনা ভাল করেই জানেন। এজন্য দিনের ভোট এখন রাতেই শেষ করে ফেলেন যাতে ভোটারদের ঘুম থেকে উঠে আর কেন্দ্রে যেতে না হয়। দেশের জনগণের অধিকার রক্ষায় ও নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা সেনাবাহিনী, বিজিবি, র‌্যাব, পুলিশ ও আনসার বাহিনীর সদস্যরাই এখন নির্বাচনে হাসিনার মূল ভোটার। জনগণের ভোট আর এখন হাসিনার দরকার নাই। র‌্যাব-পুলিশ আর সেনাবাহিনী দিয়েই হাসিনা রাতের আধারে সিল মেরে ব্যালট বক্স ভরতে পারে। তাই আগামী নির্বাচন নিয়ে শেখ হাসিনা বলেছেন, নির্বাচন নিয়ে সরকার কোনো ভয়ে নেই। কিন্তু সমস্যা হলো এবার আর শেখ হাসিনার অবৈধ সরকার সেই সুযোগ পাবে না। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এই অবৈধ সরকারই আওয়ামী লীগের শেষ সরকার। এরপর আর কোনদিনই শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসবেনা। কারণ ভোট ডাকাতদের জনগণ আগামীতে ভোট দিবে না।

বিদায় বুঝতে পেরে আবোলতাবোল বকছেন হাসিনা

বিদায় ঘণ্টা বেজে গেছে বুঝতে পেরে শেখ হাসিনা এখন আবোল-তাবোল বকছেন। কখনো আমেরিকা থেকে কিছু না কেনার ঘোষণা দিচ্ছেন। কখনও পশ্চিমীদের প্রটোকল বাতিল করার ঘোষণা করছেন। চাপে পড়ে কখনো প্রধান বিরোধী দলের সাথে সংলাপের কথা বলছেন। আবার ক্ষমতায় টিকে থাকতে কখনো সংলাপের না করার কথা বলছেন। সর্বশেষ গত সোমবার সরকারি চাকরি প্রার্থীদের চাকরির বয়স বাড়ানো সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেছেন, ‘৩০ বছর বয়সে যে চাকরির পরীক্ষা দেয়, সে কিন্তু বেশির ভাগ ফেল করে।’ অবৈধ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এই আবোল-তাবোল বক্তব্য শোনে নেটিজেনরা সোশ্যাল মিডিয়ায় তাকে নিয়ে ট্রল করছেন। ৩০ বছর বয়সী যুবকরা প্রশ্ন করছেন, ৭৫ বছর বয়সি বুড়ির কি দেশ চালানো যৌক্তিক?

অংশগ্রহণমূলক না হলে ভোটে পর্যবেক্ষক পাঠাবে না ইইউ

বাংলাদেশের আগামী নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করতে ইতোমধ্যে নির্বাচন কমিশনের আমন্ত্রণ পেয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে আগামী জুলাই মাসে ইইউর একটি প্রতিনিধি দল ঢাকায় আসবে। তবে নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক না হলে ঢাকায় নিযুক্ত ইইউ রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি পর্যবেক্ষণ না পাঠানোর কথা জানিয়ে দিয়েছেন। ইউরোপ ডে উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ইইউ রাষ্ট্রদূত এই কথা বলেছেন। সংবাদ সম্মেলনে সুইডেন, ডেনমার্ক, ইতালি, নেদারল্যান্ডস, ফ্রান্স, জার্মানি ও স্পেনের ঢাকায় নিযুক্ত রাষ্ট্রদূতরা উপস্থিত ছিলেন। ইইউ রাষ্ট্রদূত জানান, নির্বাচন পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের জন্য বিশেষজ্ঞ দল পাঠাবে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন। স্বাধীন ওই বিশেষজ্ঞ দল জুলাই মাসে বাংলাদেশে আসবে এবং পরিস্থিতি মূল্যায়ন করে তাদের মতামত ইইউ’র হাই রিপ্রেজেন্টিটিভ (পররাষ্ট্রমন্ত্রী) জোসেফ বোরেলের কাছে জমা দেবে। নির্বাচনের সময়ে ইইউ পর্যবেক্ষক পাঠাবে কি না, সেটির সিদ্ধান্ত নেবেন জোসেফ বোরেল। তবে নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক না হলে পর্যবেক্ষক পাঠানো হবে না এমন কথা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘জোসেফ বোরেল যখন বাংলাদেশকে পর্যবেক্ষক পাঠানোর অগ্রাধিকার তালিকায় রাখেন, তখন তিনি বলেছিলেন যে, পর্যবেক্ষক তখনই পাঠানো হবে যখন নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হবে। বিশেষজ্ঞ দল এখানে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের পরিস্থিতিও দেখবে। বাংলাদেশের জনগণের মতো ইউরোপীয় ইউনিয়নও এ দেশে সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য নির্বাচন চায়।

বোঝাই যাচ্ছে আগামী নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে শেখ হাসিনার অশ্বস্তি ততই বাড়ছে। কারণ, জনগণের ভোটের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসার কোনো সুযোগ তাদের নাই। ক্ষমতায় আসতে চাইলে নির্বাচনের নামে কোনো একটা মেকানিজম করেই তাদেরকে ক্ষমতায় আসতে হবে বা থাকতে হবে। কিন্তু আন্তর্জাতিক মহলের সমর্থন ছাড়াও আবার ম্যাকানিজম করা সম্ভব হবে না। আর এক্ষেত্রে শেখ হাসিনার সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ ও সাহায্যকারী হল ভারত। একাধিক সূত্রে জানা গেছে, ভারতকে কাছে পেতে এবং আগামী নির্বাচনে সমর্থন পেতে সম্পর্ক বৃদ্ধি করার চেষ্টা করছেন শেখ হাসিনা। আর এরই অংশ হিসেবে জাতীয় নির্বাচনের মাত্র ৮ মাস আগে ভারতকে দেশের প্রধান দুই বন্দর ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছেন। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, হাসিনা নিশ্চিতভাবেই জানেন যে সুষ্ঠু নির্বাচন দিলে তার দলের প্রার্থীরা সবাই জামানত হারাবেন। তাই অতীতের মতো আগামী নির্বাচনেও ভারতের সাপোর্ট পেতে চট্টগ্রাম ও মোংলা বন্দর ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছেন। কারণ, শেখ হাসিনার কাছে সব সময়ই দেশের স্বার্থের চেয়ে ক্ষমতা বড়। ক্ষমতার জন্য দেশ বিক্রি করার দরকার হলে তিনি তাই করবেন। তবে যত যা-ই করেন এবার আর শেষ রক্ষা হবে না বলে পর্যবেক্ষরা মনে করছেন।

Sheikhsbay

Related Articles

Back to top button
Close
Close