।। সুরমা প্রতিবেদন ।।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মতিঝিল জোনের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (এডিসি) এনামুল হক মিঠু জানান, গাড়ি পোড়ানোর একটি মামলায় ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন এক নম্বর আসামি। মতিঝিল থানায় ২০২০ সালে ওই মামলাটি দায়ের করা হয়েছিলো। ওই মামলায় মি. ইশরাক ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি।
বুধবার তাকে গ্রেফতারের পর দুপুরে ঢাকা মেট্রোপলিটান ম্যাজিস্ট্রেট তামান্না ফারাহ’র আদালতে হাজির করা হলে তিনি ইশরাকের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন। ‘নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূলের লাগামহীন উর্ধ্বগতি রোধে সরকারের ব্যর্থতা এবং সরকারদলীয় সিন্ডিকেটের দুর্নীতির বিরুদ্ধে’ জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল ঢাকা মহানগর দক্ষিণ এই কর্মসূচি পালন করছিল।
ইশরাককে লিফলেট বিলির সময় পুলিশের আটকের প্রতিবাদে তাঁর সঙ্গে থাকা নেতা কর্মীরা বিক্ষোভ শুরু করে।এসময় পুলিশ লাঠিচার্জ করলে বিক্ষুব্দ নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ শুরু হয়। তাঁকে পুলিশ ভ্যানে উঠানোর পর পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ ব্যাপক আকার ধারণ করেবিক্ষুব্দ নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ শুরু হয়। পরে আদালত প্রাঙ্গণে নেতাকর্মীরাপুলিশ ভ্যানকে আটক করে রাখে বেশ কিছু সময়।
পুলিশ ভ্যানের ভেতর থেকে ইশরাক নেতাকর্মীদের শান্ত থাকার অনুরোধ জানিয়ে বলেন, পুলিশের উস্কানিতে আজ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে, এর আগে পর্যন্ত পরিস্থিতি শান্ত ছিলো। তিনি বলেন, আমরা আইনের প্রতি আস্থাশীল। আইন আদালত এখন সরকারের আজ্ঞাবহ হয়ে গেছে। তারপরও আমরা আইনের মাধ্যমে পরিস্থিতি মোকাবেলা করবো। আগামী বছরের নির্বাচনকে নিয়ে কৌশল করার জন্যই সরকার এই দমন পীড়নের আশ্রয় নিয়েছে। কোনো কৌশলেই তারা পার পাবেনা,আর জনগণ আন্দোলনের মাধ্যমে এই সরকারের পতন ঘটিয়ে দেশে সুষ্ঠু নির্বাচনের মধ্যে দিয়ে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনা হবে।
ইশরাক ঢাকার সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার ছেলে এবং তাঁর প্রতিষ্ঠিত মিডিয়া বাংলা ভিশনের পরিচালক হিসেবে রাজনীতির পাশাপাশি মিডিয়া জগতে ভূমিকা রেখে চলেছেন।ইতিপূর্বে বাংলা ভিশন থেকে বেশ কয়েকজন বিশিষ্ট সাংবাদিক ও ব্রডকাস্টারকে বাংলাভিশন ছাড়তে বাধ্য করা হয়েছে। এরমধ্যে যায়যায়দিন খ্যাত শফিক রেহমান ও মোস্তফা ফিরোজ বেশ কয়েকবছর আগেই বাংলাভিশন ছেড়েছেন। ইশরাকের গ্রেফতারের মধ্যে দিয়ে বাংলাভিশনের অস্তিত্ব সংকটে পরে কিনা তা নিয়ে অভিজ্ঞ মহল আশংকা প্রকাশ করেছেন।