বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার প্রভাব কি হতে পারে?
বিশেষ প্রতিবেদন।
লন্ডন , ১০ ডিসেম্বর। বাইডেন প্রশাসন র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) বিরুদ্ধে টার্গেটেড নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। এলিট ফোর্স র্যাব ও এই বাহিনীর ৬ জন সাবেক ও বর্তমান কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ১০ ডিসেম্বর’২১ বিশ্ব মানবাধিকার দিবস ও বাইডেনের আহবানে বিশ্ব গণতন্ত্র সম্মেলনের প্রথম দিনে যুক্তরাষ্ট্র সরকার এনিয়ে যে নির্বাহী আদেশ জারি করেছে। বাংলাদেশের উপর এই নির্বাহী আদেশের সুদূর প্রসারী প্রভাব পড়বে বলে বিশ্লেষকগণ মনে করছেন।
র্যাবের বর্তমান ডিজি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন এবং সাবেক ডিজি (বর্তমান আইজিপি) বেনজীর আহমেদ আমেরিকান নিষেধাজ্ঞার লক্ষ্যবস্তু হয়েছেন। এর ফলে বাংলাদেশি নিরাপত্তা কর্মীরা মানবাধিকারের বিষয়ে ভবিষ্যতে আরও সতর্ক হতে বাধ্য হবেন।
এই প্রথম বাংলাদেশের কোন ব্যক্তি বা কোনো সংস্থা যুক্তরাষ্ট্রের এ ধরনের নিষেধাজ্ঞার আওয়তায় পড়লেন।
মার্কিন নিষেধাজ্ঞা দ্বারা লক্ষ্যবস্তু হওয়া ব্যক্তি বা সংস্থার বিবেচনায় বাংলাদেশ এখন ইরান, মিয়ানমারের মতো দেশগুলোর তালিকায় নাম লেখালো।
এই নিষেধাজ্ঞার একটি তাৎক্ষণিক প্রভাব হিসেবে শুধু এইসব ব্যক্তি নন বরং ওই প্রতিষ্ঠানের কোন কর্মকর্তা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে যাবার ক্ষেত্রে ভিসা নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়তে পারেন। এছাড়া তাদের সমস্ত বিদেশী “বিনিয়োগ” বন্ধ হয়ে যাবে। কোনো ব্যাংক বা ব্যবসায় তাদের অর্থ খাটানো যাবে না। এসব ব্যক্তি ও তাদের পরিবারের দেশে বিদেশে থাকা সম্পদের উপর ও নির্বাহী আদেশের কিছু একটি আর আরোপিত হতে পারে তবে এ ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট ধারাসমূহ যুক্তরাষ্ট্র সরকার ধীরে ধীরে প্রকাশ করবে।