ব্রিটেনে মাদক সেবন জনিত মৃত্যুর সংখ্যা অতীতের রেকর্ড ভেঙ্গেছে
।। ডোরিনা লাইজু ।।
লণ্ডন, ২০ আগষ্ট – ব্রিটেনে মাদক সেবনের কারনে মৃত্যুর সংখ্যা অতীতের সকল রেকর্ড ভঙ্গ করেছে। অফিস ফর ন্যাশনাল স্ট্যাটিসটিকস এর তথ্য মতে ২০১৮ সালে ইংল্যান্ড এন্ড ওয়েলসে মোট ৪ হাজার ৩শ ৫৯ জন মাদক সেবনজনিত কারনে মৃত্যুবরন করেছেন যা ২০১৭ সালের তুলনায় ১৬% বৃদ্ধি।
১৯৯৩ সালে রেকর্ড রাখা শুরুর পর থেকে এবারই একারনে সর্বোচ্চচ সংখ্যক মানুষ মৃত্যুবরন করলেন। অন্যদিকে, পরিসংখ্যান মতে টাওয়ার হ্যামলেটসে মাদক সেবনজনিত মৃত্যুর সংখ্যা কমেছে।২০১৪/১৬ সালে টাওয়ার হ্যামলেটসে ৮৬ জন মারা গেলেও ২০১৬/১৮ সালে এসে এই সংখ্যা কমেছে। এসময়ে মারা গেছেন ৬৫ জন।
ইউনিভার্সিটি অব কেন্টের ক্রিমিনাল জাস্টিস বিষয়ের অধ্যাপক এলেক্স স্টিভেনের মতে কেন্দ্রিয় সরকারের বাজেট কাটের কারনে কাউন্সিলগুলো ২০১৫/১৬ সালের পর মাদক সম্পর্কিত চিক্সিৎসা সার্ভিস ২৭% কমাতে বাধ্য হয়েছে। এমনকি কোন কোন অঞ্চলে এই সার্ভিস ৫০% কমেছে। উল্লেখ্য যে, প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন ২০২২ সালের মধ্যে ২০ হাজার পুলিশ অফিসার নিয়োগের ঘোষনা দিয়েছেন। এর অর্থ হচ্চেছ দীর্ঘ ব্যয় সংকোচন শেষে এবং এক যুগ পরে পুলিশের সংখ্যা ২০১০ সালের সমান হবে।
এছাড়া প্রধানমন্ত্রী এনএইচএসে ১.৮ বিলিয়ন পাউণ্ড বিনিয়োগের ঘোষনা দিলেও দেখা গেছে এর অর্ধেক অর্থই নতুন ফান্ডিং নয় এবং বাকী অর্থ কোথা থেকে আসবে এর কোন ব্যাখ্যা নেই। টাওয়ার হ্যামলেটসের নির্বাহী মেয়র জন বিগস এব্যাপারে তার প্রতিক্রিয়ায় বলেন, ব্যক্তিগত, পারিবারিক তথা কমিউনিটিতে মাদক সেবনের মারাত“ক নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া রয়েছে। মাদক সেবনজনিত মৃত্যুর নতুন পরিসংখ্যান সত্যিকার অর্থেই দূঃখজনক।
টাওয়ার হ্যামলেটসে মৃত্যুর সংখ্যা কমলেও এই সংখ্যা কমানোর জন্য আমাদের আরো করনীয় রয়েছে। ড্রাগ সংক্রান্ত অপরাধ এবং সেবন কমানোর জন্য পুলিশ, এনএইচএস, স্থানীয় কাউন্সিলসহ অন্যান্য পাবলিক সার্ভিসের মধ্যে সম“য় দরকার। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে চলা ব্যয় সংকোচনের কারনে এই সার্ভিসে বিপর্যয় নেমে এসেছে।
ডেপুটি মেয়র এবং কমিউনিটি সেইফটি বিষয়ক কেবিনেট মে“ার কাউন্সিলার আসমা বেগম বলেন, এই পরিসংখ্যানই বলে দিচ্চেছ পাবলিক সার্ভিসের বাজেট কাটের প্রতিক্রিয়া। পুলিশ এবং এনএইচএসে প্রাইম মিনিস্টার বিনিয়োগের যে ঘোষণা দিয়েছেন এতে তেমন কোন ফল বয়ে আনবে না। কারন দীর্ঘ ব্যয় সংকোচনের কারনে যে গর্ত সৃষ্টি হয়েছে এটি পূরনের জন্য তা পর্যাপ্ত নয়।
কাউন্সিলার আমিনা আলী বলেন, পাবলিক সার্ভিসের বাজেট কর্তন কতো পরিকল্পনাহীন ছিলো বিভিন্ন সার্ভিসে এর নেতিবাচক প্রতিক্রিয়াই এখন ফুটে উঠছে।