নিউজ

সিটি এয়ারপোর্টের প্রসার বৃদ্ধির বিরুদ্ধে অবস্থান নিলো টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিল

লণ্ডন, ২৫ সেপ্টেম্বর – টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিল লন্ডন সিটি এয়ারপোর্টের ফ্লাইট এবং অন্যান্য অপারেশন কার্যক্রম বৃদ্ধির বিরোধিতা করে মোশন পাশ করেছে।
গত ১৮ সেপ্টে“র ফুল কাউন্সিল মিটিংয়ে লেবার দলীয় কাউন্সিলার ভ্যাল হোয়াইটহেড প্রস্তাবটি উত্থাপন করলে এতে সমর্থন জানান তার সহকর্মী আরেক লেবার কাউন্সিলার এহতেশামুল হক।
এরপর কাউন্সিলাররা এবিষয়ে বিতর্কে অংশ নেন এবং সর্বসম্মতিক্রমে এই মোশন পাশ করেন।

বিতর্কে অংশ নিয়ে তারা বলেন, লন্ডন সিটি এয়ারপোর্টের এই বর্ধিতকরন স্থানীয় বাসিন্দাদের প্রাত্যহিক জীবনকে প্রভাবিত করবে কারন এটি পরিবেশের উপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলার পাশাপাশি শব্দ দূষণ বাড়াবে।
উল্লেখ্য যে, এয়ারপোর্ট কতৃপক্ষ বর্তমানে মাস্টার প্ল্যান ২০২০- ২০৩৫ নিয়ে কাজ করছেন। তাদের প্রস্তাবিত পরিকল্পনায় প্যাসেঞ্জারের সংখ্যার উপর থেকে বিধিনিষেধ প্রত্যাহার এবং বার্ষিক ফ্ল্যাইট সংখ্যা ১শ ১১ হাজার থেকে বাড়িয়ে ১শ ৫১ হাজারে উন্নীত করার কথা বলা হয়েছে। এছাড়া ফ্লাইট অপারেশন টাইম শিথিল করার সুপারিশও রয়েছে। বর্তমানে এই এয়ারপোর্টে শনিবার বেলা সাড়ে ১২টা থেকে রবিবার বেলা সাড়ে ১২টা পর্যন্ত পর্যন্ত ফ্লাইট উঠা নামা বন্ধ থাকে। এর বাইরে প্রতি রাতে ৮ ঘন্টা ফ্লাইট বন্ধ থাকে।
২০১৯ সালের মার্চ মাসে টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিল ক্লাইমেট ইমার্জেন্সি ঘোষনা করে। কাউন্সিল এয়ারপোর্ট কতৃপক্ষের কাছে তাদের বক্তব্য শিঘ্রই তুলে ধরবে। এব্যাপারে কনসালটেশনের সময়সীমা ১৮ অক্টোবর পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।
টাওয়ার হ্যামলেটসের নির্বাহী মেয়র জন বিগস এপ্রসঙ্গে তার প্রতিক্রিয়ায় বলেন, সিটি এয়ারপোর্ট টাওয়ার হ্যামলেটসের অর্থনীতির জন্য বেনিফিট বয়ে আনলেও এর প্রসার বৃদ্ধির বিষয়টি আমাদেরকে সতর্কতার সাথে চিন্তা করতে হবে। ফ্লাইট বৃদ্ধি পেলে শব্দ দূষন এবং পরিবেশ দূষন দুটোই হবে যা বাসিন্দাদের উপর প্রভাব ফেলবে।
মেয়র আরো বলেন উইকএন্ডে ২৪ ঘন্টা ফ্লাইট উঠানামা নিষিদ্ধের নিয়ম বজায় রাখতে হবে পাশাপাশি বর্তমানের মতো ভোরের এবং রাতের ফ্লাইট উঠানামায় যে বিধিনিষেধ রয়েছে তাও বজায় রাখতে হবে।
মোশনের প্রস্তাবক কাউন্সিলার ভ্যাল হোয়াইটহেড বলেন, অন্যান্য কাউন্সিল এবং বিশ্বের বহু সরকারের মতো আমরাও টাওয়ার হ্যামলেটসে ক্লাইমেট ইমার্জেন্সি ঘোষনা করেছি। জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় আমাদের শক্ত অবস্থান দরকার কিন্তু সিটি এয়ারপোর্টের প্রসার আমাদেরকে পিছনে টেনে নিবে। সহকর্মীরা মোশনটি সাপোর্ট করায় আমি তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ এবং এটি গ্রহনের মাধ্যমে আশা করছি আমরা তাদেরকে একটি পরিষ্কার বার্তা দিতে সক্ষম হয়েছি। প্রস্তাবের সমর্থক কাউন্সিলার এহতেশামুল হক বলেন, সিটি এয়ারপোর্ট তাদের ফ্লাইট সংখ্যা দ্বিগুন করার প্রস্তাব করেছে। প্রস্তাব বাস্তবায়িত হলে শতকরা হিসাবে হিথ্রোর তৃতীয় রানওয়ের চেয়েও এটি বেশী সম্প্রসারিত হবে। এয়ারপোর্টটি প্রতিষ্ঠার আগে বাসিন্দাদের কাছে প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছিলো এর আকার ছোট রাখা হবে এবং শব্দ দূষন এড়াতে সতর্কভাবে ফ্লাইট পরিচালনা করবে। কিন্তু একের পর এক প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করায় বাসিন্দারা এখন প্রতারনার শিকার বলে মনে করছেন। এছাড়া এই এয়ারপোর্টটি তাদেরকে খুব কমই ব্যবহার করতে হয়।

Sheikhsbay

Related Articles

Back to top button
Close
Close