নিউজ

দুর্নীতির মামলায় মেজর মান্নান কারাগারে- আরও ৮ মামলা বিচারাধীন 

ঢাকা অফিস।। অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় সাবেক সংসদ সদস্য ও বিকল্পধারা বাংলাদেশের সাবেক মহাসচিব আব্দুল মান্নানকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। সাবেক এই সেনা কর্মকর্তা বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) ঢাকার জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেছিলেন। কিন্তু বিচারক আসসামছ জগলুল হোসেন তা নাকচ করে তাঁকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

এদিন আদালতে জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী শাহিনুর ইসলাম। অন্যদিকে দুদকের পক্ষে জামিনের বিরোধিতা করেন আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল। মান্নানকে কারাগারে পাঠানোর আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করে আইনজীবী মোশাররফ বলেন, ‘আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিআইএফসির চেয়ারম্যান ছিলেন আব্দুল মান্নান। নিজে লাভবান হওয়ার জন্যই যথাযথ কাগজপত্র না থাকার পরও তিনি ঋণের অনুমোদন দিয়েছিলেন। ফলে অপরাধের সঙ্গে তিনি সরাসরি জড়িত।

অপরাধ প্রমাণিত হলে তাঁর যাবজ্জীন সাজা হতে পারে। ফলে তিনি জামিন পেতে পারেন না—এই বলে জামিনের বিরোধিতা করলে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাঁকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।’ মামলাটি তদন্ত পর্যায়ে আছে বলেও জানান তিনি। মান্নানসহ ১২ জনকে সেই মামলায় এই মামলায় আসামি করা হয়। প্রায় সাড়ে আট কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ২০২২ সালের ১৮ ডিসেম্বর এ মামলা করেছিলেন দুদকের উপপরিচালক মো. আব্দুল মাজেদ।

দুদক সূত্রে জানা যায়, এখন পর্যন্ত মেজর (অব.) এম এ মান্নান, তার স্ত্রী ও কন্যাসহ তার পরিবারের বিরুদ্ধে বিআইএফসির অর্থ আত্মসাতের ঘটনায় ৯টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। যার মধ্যে দুটি মামলার চার্জশিট দেওয়া হয়েছে ও সাতটি মামলা এখনও তদন্তাধীন রয়েছে।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, মেজর (অব.) আব্দুল মান্নান বিআইএফসির চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে প্রতিষ্ঠানের পরিচালক ও কর্মকর্তাদের যোগসাজসে মো. রফিক উদ্দিন নামের একজন ঋণ গ্রহীতার নামে নিরাপত্তা জামানত ও মর্টগেজ ছাড়াই ১১ কোটি ৭০ লাখ টাকা ঋণ মঞ্জুর করেন। পরবর্তীতে ওই ঋণ বিতরণ দেখিয়ে পুরো টাকা আত্মসাৎ করা হয়। যা সুদে-আসলে ১৪ কোটি ৩১ লাখ ১৯ হাজার টাকায় দাঁড়িয়েছে। আসামিদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪০৬/৪০৯/৪২০/১০৯ ধারা এবং তৎসহ ১৯৪৭ সনের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।

এর আগে গত ৪ এপ্রিল নিরাপত্তা জামানত ছাড়া ৩ কোটি ৭৬ লাখ ৪৬ হাজার ৩১৩ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে মেজর (অব.) আবদুল মান্নানসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে ৮ম মামলা দায়ের করে সংস্থাটি।

‘৯১ সালে বিএনপির এমপি হয়ে মন্ত্রিত্ব পান। ২০০১ এর নির্বাচনেও বিএনপি থেকে এমপি নির্বাচিত হন। ২০০৪ সালে দলে অনিয়মের অভিযোগে বিএনপি ছেড়ে বি চৌধুরীর নেতৃত্বে বিকল্পধারা গঠন করেন। ২০০৮, ১৪ ও ১৮ সালে আওয়ামীলীগের সাথে জোট বেধে নির্বাচন করে তার দল। কিন্তু ২৪’র নির্বাচনে এই দলটি সুবিধা না পেয়ে নির্বাচন করেনি বলে যায়। লেখক মহিউদ্দিন আহমেদের আওয়ামী লীগ যুদ্ধদিনের কথা -১৯৭১ সাক্ষাৎকারে মেজর মান্নানের স্বাধীনতা বিরোধী ভূমিকার তথ্য প্রকাশ করেন।

Sheikhsbay

Related Articles

Back to top button
Close
Close