নির্বাচন বর্জন ও অসহযোগের ডাক দিয়েছেন তারেক রহমান
সকল প্রকার কর, খাজনা ও গ্যাস বিদ্যুৎ বিল দেওয়া স্থগিত এবং মিথ্যা ও গায়েবি মামলায় অভিযুক্ত লাখ লাখ নেতা-কর্মীকে আদালতে হাজিরা দেওয়া থেকে বিরত থাকার আহ্বান।
সুরমা প্রতিবেদন।
লন্ডন ২০ ডিসেম্বর; আগামী ৭ জানুয়ারির দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বর্জনেনির্বাচন বর্জন ও অসহযোগের ডাক দিয়েছেন বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও চলমান আন্দোলনে সম্মিলিত বিরোধী দলের নেতা তারেক রহমান। তিনি আজ (২০ ডিসেম্বর) থেকে সরকারকে ‘সবক্ষেত্রে’ অসহযোগিতা করার জন্য জনগণকে অনুরোধ করেছেন। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বুধবার বাংলাদেশ সময় সকালে এক ভিডিও বার্তায় এই কর্মসূচি ঘোষণা করে দেশের বৃহত্তর স্বার্থে জনগণের প্রতি এই সর্বাত্মক কর্মসূচি পালনের আহবান জানান।
এদিকে বুধবার বেলা সাড়ে ১২টায় এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচি সম্পর্কে বিস্তারিত বক্তব্য তুলে ধরেন দলটির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।রুহুল কবির রিজভী ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে’ ভোট গ্রহণে নিযুক্ত কর্মকর্তা কর্মচারীদের দায়িত্ব পালনে বিরত থাকার আহ্বান জানান। এই আহ্বানের পেছনে যুক্তি দিয়ে রিজভী বলেন, নির্বাচনের নামে বানর খেলায় যাবেন না। ভোটকেন্দ্রে যাবেন না। নির্বাচনে কারা এমপি হবেন সেই তালিকা তৈরি হয়ে গেছে।
বিএনপির পক্ষ থেকে সরকারকে সকল প্রকার কর, খাজনা, পানি, গ্যাস বিদ্যুৎ বিল দেওয়া স্থগিত রাখার অনুরোধ জানানো হয়। রিজভী বলেন, ‘ব্যাংক খাতের মাধ্যমে সরকার সবচেয়ে বেশি অর্থ লুটপাট করেছে।ফলে ব্যাংকে টাকা জমা রাখা নিরাপদ কিনা সেটি ভাবুন।’ এর পাশাপাশি মিথ্যা ও গায়েবি মামলায় অভিযুক্ত ‘লক্ষ লক্ষ রাজনৈতিক নেতা-কর্মীকে’ আজ থেকে আদালতে হাজিরা দেওয়া থেকে বিরত থাকারও আহ্বান জানান রিজভী।
বিএনপি সর্বশেষ সরকাররে পদত্যাগ ও নির্বাচন বাতিলের দাবিতে মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) দেশব্যাপী সকাল-সন্ধ্যা হরতাল পালন করেছে। এর আগে ২৮ অক্টোবর ঢাকায় মহাসমাবেশ পণ্ড হওয়ার পর ২৯ অক্টোবর সারা দেশে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল পালন করে বিএনপি। এর পর থেকে বিএনপি ও আন্দোলনকারী সকল দল দফায় দফায় অবরোধ ও হরতালের মতো কর্মসূচি পালন করেছে। সরকারের পদত্যাগ, নির্দলীয় সরকারের অধীন নির্বাচন এবং নেতা-কর্মীদের মুক্তি ও হয়রানি বন্ধের দাবিতে এসব কর্মসূচি পালন করছে বিএনপি ও যুগপৎ আন্দোলনে থাকা অন্যান্য বিরোধী দল।