যাদের সৌভাগ্য হয়েছে তারা বাবা-মা’র পরম যত্ন নিবেন: তারেক রহমান
ডা. জোবাইদার ধন্যবাদ জ্ঞাপন
মাহবুব আলী খানের ৩৯তম মৃত্যুবার্ষিকী-
সুরমা প্রতিবেদন। সাবেক মন্ত্রী ও নৌবাহিনীর প্রধান, রিয়ার এডমিরাল মাহবুব আলী খানের ৩৯তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে লন্ডনে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় বিএনপির ভরপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সকলের প্রতি তাদের বাবা-মা’র যত্ন নেয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, যাদের সৌভাগ্য হয়েছে তারা যেন কোনোভাবেই বাবা-মা’র পরম যত্ন নেবার সুযোগ হাতছাড়া না করেন। গত সপ্তাহে (৩ আগস্ট) ঢাকায় তারেক রহমান ও তাঁর স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমানকে একটি মামলায় জেলদন্ড দিয়ে রায় ঘোষণার দুদিন পর এই অনুষ্ঠানে তারা যোগ দেন। তবে ওই রায় সম্পর্কে তাঁরা কোনো মন্তব্য করেননি।
মরহুমের রুহের মাগফিরাত কামনায় মাহবুব আলী খান স্মৃতি সংসদের উদ্যোগে পূর্ব লন্ডনের রিজেন্ট লেক হলে আলোচনা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। সভাপতিত্ব করেন সংসদের সভাপতি আহমেদ সাদিক। সাধারণ সম্পাদক আবেদ রাজা ও সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক এমাদুর রহমান এমাদের সঞ্চালনায় অন্যান্যের মধ্যে আলোচনায় অংশ নেন, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ড. হাসনাত হুসেইন, এমবিই, সাপ্তাহিক সুরমা সম্পাদক শামসুল আলম লিটন, ব্যারিস্টার নাজির আহমেদ, কমুনিটি নেতা মাহিদুর রহমান, আবু তাহের চৌধুরী, আব্দুল মালিক, ব্যারিস্টার আব্দুস সালাম ও সংগঠনের সিনিয়র সহ সভাপতি কালাম উদ্দিন, যুগ্ম সম্পাদক খালেদ চৌধরী, শাহজান হোসেন সেনাজ, সাংগঠনিক সম্পাদক আরিফ আহমেদ ও মাহফুজুর রহমান।
তারেক রহমান তাঁর বক্তৃতায় আরও বলেন, তিনি ও ডা. জুবাইদা আমাদের পিতা মাতার প্রতি সঙ্গত কারণেই যত্ন নিতে পারিনি। এই বেদনা আমাদের দুজনেরই রয়েছে। কিন্তু এটা আমাদের সবার জন্য সবচেয়ে জরুরী কর্তব্য। তিনি বলেন, আপনারা যারা এই সুযোগ পাবেন, তারা অবশ্যই বাবা মায়ের প্রতি পরম যত্ন নেবেন। বাংলাদেশের সকল নাগরিকদের প্রতি তিনি পরিবার ও সমাজের প্রতি আরো যত্নবান হবারও আহ্বান জানান। তিনি বলেন, দেশ ও সমাজের জন্য কাজ করতে সব সময় রাজনীতি করার প্রয়োজন নেই। ক্ষমতারও প্রয়োজন নেই। শুধু আপনার একটু ইচ্ছাই যথেষ্ট। সবার ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র প্রচেষ্টায় আমরা আমাদের দেশ ও সমাজকে সভ্যতা ও মর্যাদার উন্নতির শিখরে নিয়ে যেতে পারবো বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ড. হাসনাত হুসেইন বলেন, রিয়ার এডমিরাল মাহবুব আলী খান বাংলাদেশের ইতিহাসে নানা কারণে এক উজ্জ্বল অধ্যায় হয়ে থাকবেন। তাঁর স্ত্রী ও সন্তানের মর্যাদার উপর আঘাত জাতির মর্যাদার উপর আঘাত বলে তিনি উল্লেখ করেন।
সুরমা সম্পাদক শামসুল আলম অতিথি বক্তা হিসেবে বলেন, তারেক রহমান ও জোবায়দা রহমানের মাধ্যমে বাংলাদেশের সবচাইতে সম্মানিত দুটো পরিবারের এক মহান পবিত্র ও ঐতিহাসিক সম্মিলন ঘটেছে। শিক্ষায়, সমৃদ্ধিতে, বিনয়ে, ঐশ্বর্যে, ঐতিহাসিক পরম্পরায়, জীবন আচরণে , আধ্যাত্মিক স্নিগ্ধতায় মানব জীবনের সকল উন্নত কলায় এই দুই পরিবারের সাথে পাল্লা দিবে এমন পরিবার বাংলাদেশ দূরের কথা গোটা ভূ-ভারতে খুব বেশি নেই। আল্লাহর বিশেষ কোনো ইশারায় তারেক রহমান আর জোবায়দা আলি খান রহমানের শুভ পরিণয়ের মাধ্যমে বাংলা ভূখণ্ডের সবচেয়ে ঐতিহ্যবাহী এই দুই নদীর ধারা এক প্রবাহে প্রবাহিত হচ্ছে গত সিকি শতাব্দী বেশি সময় ধরে।
ডা. জোবাইদা রহমান লন্ডনে ও বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে কোরআন খতম, আলোচনা ও দোয়া মাহফিল আয়োজন ও অংশগ্রহণের জন্য সকলের প্রতি ধন্যবাদ জানান। ফ্রান্স প্রবাসী মুক্তিযোদ্ধা, লেখক ও সাংবাদিক খান জামালের অনুরোধে ডা. জোবাইদা অনুষ্ঠানে সংক্ষিপ্ত বক্তৃতায় এই ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।