আন্তর্জাতিক

মোসাদকে সহযোগিতা করায় ইরানে ৪ জনের মৃত্যুদণ্ড

লন্ডন, ৬ ডিসেম্বর: ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদকে সহযোগিতা করার অভিযোগে চারজনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেছে ইরান। গতকাল রোববার এ দণ্ড কার্যকর করা হয় বলে জানিয়েছে ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা মিজান।

দণ্ডপ্রাপ্তদের বিরুদ্ধে ইসরায়েলকে ‘গোয়েন্দা সহযোগিতার’ পাশাপাশি অপহরণে সহযোগিতার অভিযোগও আনা হয়েছিল।

ইরানের বিচার বিভাগের ওয়েবসাইটে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী গতকাল রোববার দিনের শুরুতে চারজনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। তাঁরা হলেন হোসেইন ওরদোখানজাদেহ, শাহিন ইমানি মাহমোদাবাদ, মিলাদ আশরাফি আতবাতান ও মানোচেহর শাহবান্দি বোজান্দি। বিচার বিভাগ দণ্ডিতদের ‘দুর্বৃত্ত’ বলে মন্তব্য করেছে। বলেছে, ইসরায়েলি গোয়েন্দাদের পরিচালনায় তাঁরা সরকারি-বেসরকারি সম্পত্তি ধ্বংস, চুরি, অপহরণ ও ভুয়া স্বীকারোক্তি নিয়েছিলেন। তাঁরা সুইডেনভিত্তিক মোসাদ (ইসরায়েলি সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা) সদস্যদের নির্দেশনা পেয়েছিলেন। বিচার বিভাগ আরও বলেছে, দণ্ডিত ব্যক্তিদের সবার অতীতে অপরাধ সংঘটনের ইতিহাস রয়েছে। মোসাদের সঙ্গে যোগসাজশের অভিযোগ থাকা ওরদোখানজাদেহ তুরস্ক থেকে গ্রিসে মানব পাচারের চেষ্টা করায় ২০১৪ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত গ্রিসে কারাভোগ করেছিলেন।

দণ্ডিতদের ক্রিপ্টোকারেন্সিতে অর্থ পরিশোধ এবং তাঁদের বিরুদ্ধে অস্ত্র কেনার অভিযোগ আনা হয়েছে। তাঁরা তথ্য-প্রমাণ ধ্বংস, নিরাপত্তা ক্যামেরা এড়িয়ে চলা ও গাড়ি বদলের মতো প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন, যা মোসাদের ভূমিকাকে সামনে এনেছে বলে ইরানি বিচার বিভাগ বলছে।

বিবিসি জানায়, গত মে মাসে চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। গত বুধবার ইরানের সুপ্রিম কোর্ট তাদের বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখে বলে জানায় বিবিসি।

ইরানে দু’মাসেরও বেশি সময় ধরে বিক্ষোভ ও টান টান উত্তেজনা চলার মাঝে এই মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের ঘটনা ঘটল।

এছাড়াও, দেশের নিরাপত্তার বিরুদ্ধে অপরাধ, অপহরণে জড়িত থাকা এবং অবৈধ অস্ত্র রাখার অভিযোগে অন্য আরও তিনজনকে ৫ থেকে ১০ বছরের জেল দেওয়া হয়েছে বলে জানানো হয়েছে ইরানের বিচার বিভাগের ওয়েবসাইটে। তাঁদের নাম প্রকাশ করা হয়নি।

ইরান এবং ইসরায়েল ঘোরতর আঞ্চলিক শত্রুদেশ। দেশ দুটি বহুদিন ধরেই একে অপরের বিরুদ্ধে ছায়াযুদ্ধে লিপ্ত। যুক্তরাষ্ট্র ও দেশটির ইউরোপীয় মিত্রসহ বিদেশিদের হয়ে কাজ করার অভিযোগে ইরান মাঝেমধ্যেই লোকজনকে আটকের কথা ঘোষণা দিয়ে থাকে।

Sheikhsbay

Related Articles

Back to top button
Close
Close