বিশ্ব বরেণ্য ইসলামি চিন্তাবিদ ইউসুফ আল কারযাভীর ইন্তেকাল
|| সুরমা ডেস্ক ||
লণ্ডন, ২৯ সেপ্টেম্বর : বিশ্ব বরেণ্য ইসলাম চিন্তাবিদ এবং মুসলিম বিশ্বের অন্যতম প্রভাবশালী ধর্মীয় নেতা শেখ ইউসুফ-আল-কারযাভী আর নেই। ইন্না লিল্লাহি ওয়াইন্না ইলাহি রাজিউন। গত ২৬ সেপ্টেম্বর, সোমবার তিনি ইন্তেকাল করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৯৬ বছর। অগাধ ইসলাম সম্পর্কীয় জ্ঞানের অধিকারী ও ধর্মীয় প্রবক্তা মিশরীয় নাগরিক কারযাভী কাতারে বসবাস করতেন। সোমবার তাঁর অফিসিয়াল টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকেই তাঁর ইন্তেকালেল খবর নিশ্চিত করা হয়। তিনি মিশরের মুসলিম ব্রাদারহুডের নেতা ছিলেন এবং ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন অব মুসলিম স্কলার নামের সংগঠনের চেয়ারম্যান ছিলেন তিনি।
২০১৩ সালে মুসলিম ব্রাহারহুডের নেতা মোহাম্মদ মুরসিকে ক্ষমতাচ্যুত করে মিশরের ক্ষমতা দখল করেন তৎকালীন সেনাপ্রধান আব্দুল ফাতাহ আল সিসি। কারযাভী আব্দুল ফাতাহ আল সিসির একজন কঠোর সমালোচক ছিলেন। এ কারণে ২০১৩ সালের পর আর নিজ দেশ মিশরে ফিরতে পারেনি ইউসুফ-আল-কারযাভী। এর আগে ২০১১ সালে দীর্ঘদিনের স্বৈরশাসক হোসনি মোবারক ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর বিদেশে নির্বাসিত জীবন-যাপন করতে হয়েছিল তাকে। কারযাভীকে তাঁর অনুপস্থিতিতেই মিশরে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়।
উল্লেখ্য, ২০১১ সালে আরব বসন্তের অপ্রতিরোধ্য আন্দোলনের মুখে পদত্যাগে বাধ্য হন তৎকালীন মিশরের প্রেসিডেন্ট হুসনি মোবারক। যেটির উৎসাহ দাতাদের অন্যতম ছিলেন ইউসুফ আল কারযাভী। এর পরের বছরই ফ্রিডম এবং জাস্টিস পার্টি তাদের কার্যক্রম বিস্তৃত করার সুযোগ পায়। ফলে পরবর্তী নির্বাচনে এ দলটি বড় আসনে জয়লাভ করে এবং মিশরের প্রেসিডেন্ট হিসেবে মুহাম্মাদ মুরসি নির্বাচিত হন।
মুসলিম বিশ্বকে একত্রিত করণের ক্ষেত্রে কারযাভীর ভূমিকা স্মরণীয় হয়ে থাকবে এবং তিনি বিশ্বের মুসলিম স্কলারদের কাছে একজন অনুকরণীয় ব্যক্তি হিসেবে বেঁচে থাকবেন।
তিনি মানুষের কল্যাণে তার মূল্যবান সময় ব্যয় করেছেন। বিশেষ করে তিনি ইসলামী শরিয়াহ বাস্তবায়নে কাজ করেছেন। এর ফলে পুরো বিশ্বে তার ব্যাপক অনুসারি তৈরী হয়েছে। যারা তাঁর আদর্শকে ধারণ করেন।