নিউজ

স্বাস্থ্য কমিশন গঠন করে ইংল্যাণ্ডের NHS’র আদলে বাংলাদেশে স্বাস্থ্য নিরাপত্তা সেবা গড়ে তুলবে বিএনপি : তারেক রহমান

লণ্ডন, ৭ এপ্রিল : বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, আগামী দিনে জনগণের রায়ে বিএনপি সরকার গঠন  করার সুযোগ পেলে বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে একটি স্বাস্থ্য কমিশন গঠন করে ইংল্যান্ডের এনএইচএস এর আদলে বাংলাদেশে অগ্রাধিকারভিত্তিতে  নাগরিকদের  স্বাস্থ্য নিরাপত্তা সেবা গড়ে তোলা হবে। ৭ এপ্রিল বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস উপলক্ষে ঢাকায় মতিঝিলে একটি হোটেল পূর্বাণীতে বিএনপি আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। 

তারেক রহমান বলেন, দেশের স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা ব্যবস্থাকে  ইংল্যাণ্ডের এনএইচএস এর আদলে একটি সুসংগঠিত পদ্ধতির  মধ্যে আনা গেলে   একদিকে  দেশের স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা ব্যবস্থায় শৃঙ্খলা ফিরে আসবে  অপরদিকে  যথাসম্ভব  হয়রানিমুক্ত পরিবেশে   রোগীর চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করা  সহজ হবে।

এনএইচএসের আদলে বাংলাদেশে স্বাস্থ্য সেবা গড়ে তোলার ইতিবাচক চিন্তার যৌক্তিকতা তুলে ধরতে গিয়ে তারেক রহমান বলেন, বর্তমান বিশ্বে স্বাস্থ্যসেবা প্রতিটি নাগরিকের জন্য এক অলঙ্ঘনীয় মানবাধিকার। ফলে বিশ্বের প্রতিটি গণতান্ত্রিক দেশ তাদের প্রত্যেক নাগরিকদের স্বাস্থ্যসেবা  নিশ্চিত করতে নানারকম উদ্যোগ নিয়েছে। নিতে বাধ্য হচ্ছে।

 তারেক রহমান বলেন, সকল নাগরিকের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে আমেরিকায় রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে চালু হয়েছিল ‘প্যাশেন্ট প্রোটেকশন অ্যান্ড এ্যাফোর্ডেবল কেয়ার এ্যাক্ট’ যেটি ‘ওবামা কেয়ার’ হিসেবে পরিচিত অপরদিকে  প্রতিটি নাগরিকের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে  ইংল্যান্ডে চালু রয়েছে ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিস-এনএইচএস। ইংল্যান্ডের জাতীয় এবংস্থানীয় প্রশাসনের প্রতিটি প্রশাসনিক ইউনিটে  জাতীয় স্বাস্থ্য সেবা তথা এনএইচএস কার্যক্রম চালু রয়েছে।

 চিকিৎসার জন্য ইংল্যান্ডে এসেছিলেন তারেক রহমান। এরপর বাংলাদেশের ক্ষমতাসীন মাফিয়া সরকার দেশে ফিরতে না দেয়ায় গত একযুগের বেশি সময় ধরে তিনি ইংল্যান্ডেই বসবাস করছেন। এ ব্যাপারে তারেক রহমান বলেন, পরিস্থিতির কারণেই বাধ্য হয়ে অনেকগুলো বছর ব্রিটেনে থাকার সুবাদে স্বাস্থ্য সেবায় ইংল্যান্ডের এনএইচএসের ইউনিক কার্যক্রম নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণের সুযোগ হয়েছে।

তারেক রহমান বলেন, ইংল্যাণ্ডের জাতীয় স্বাস্থ্য সেবা তথা এনএইচএস এর অধীনে  প্রতিটি প্রশাসনিক ইউনিটে একটি করে হেলথ সেন্টার রয়েছে।  ওই হেলথ সেন্টারে সংশ্লিষ্ট এলাকার শিশু থেকে বৃদ্ধ প্রতিটি নাগরিকের স্বাস্থ্য তথ্য সংরক্ষিত রয়েছে।  হেলথ সেন্টারগুলো তাদের কাছে সংরক্ষিত থাকা নাগরিকদের, হেলথ ইনফরমেশন ডাটাবেইজ  অনুযায়ী স্ব-উদ্যোগী হয়ে স্বাস্থ্য বিষয়ক পরামর্শ  দিয়ে থাকেন। একই সঙ্গে হেলথ সেন্টারগুলোতে রোগী সহজেই ডক্টরদের সঙ্গে এপয়েন্টমেন্ট করে আগেভাগেই রোগ সম্পর্কে  প্রয়োজনীয় পরামর্শ নিতে পারেন, প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবা গ্রহণ করতে পারেন। প্রয়োজনে রোগ অনুযায়ী, হেলথ সেন্টার থেকেই রোগীকে  সংশ্লিষ্ট প্রয়োজনীয় বিশেষজ্ঞ ডক্টরের সঙ্গে এপয়নমটমেন্ট ঠিক করে দেয়া হয়।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, স্বাস্থ্যসেবায় ব্রিটেনের এনএইচএস সিস্টেম  সারা বিশ্বের প্রশংসা কুড়িয়েছে। এই ইউনিক সিস্টেমে  কোনোরকমের হয়রানি কিংবা  মধ্যস্বত্বভোগী ছাড়াই  একজন নাগরিক  কিংবা একজন রোগী যথাযথভাবে স্বাস্থ্য সেবা পেয়ে থাকেন।

বাংলাদেশের বর্তমান স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে অনিয়ম ও দুর্নীতির আখড়া উল্লেখ করে তারেক রহমান বলেন, ইংল্যাণ্ডের এনএইচএস এর আদলে বাংলাদেশে অগ্রাধিকারভিত্তিতে  নাগরিকদের  স্বাস্থ্য নিরাপত্তা সেবা গড়ে তোলা গেলে দেশের স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা ব্যবস্থায় শৃঙ্খলা ফিরে আসবে।

বৃহস্পতিবার (৭ এপ্রিল) রাজধানীর হোটেল পূর্বাণীতে আয়োজিত এই আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক স্বাস্থ্য মন্ত্রী ড. খন্দকার মোশাররাফ হোসেন।  সভায় আরো বক্তব্য রাখেন বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আবদুল মঈন খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সেলিমা রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক এ জেড এম জাহিদ হোসেন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিন-পূর্ব এশিয়ার সাবেক উপদেষ্টা অধ্যাপক মোজাম্মেল হক। আলোচনা সভায় মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন দলে স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম।

সভায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান আরো বলেন, জনগণের স্বাস্থ্য সমস্যা বিচ্ছিন্ন কোনো বিষয় নয়, এর সঙ্গে একটি দেশের আর্থ-সামাজিক-রাজনৈতিক, অবস্থা-ব্যবস্থা এবং পরিবেশ প্রতিবেশের  সরাসরি সম্পর্ক ও প্রভাব রয়েছে।  ‘Our Planet Our Health’ শ্লোগানে  এমন এক সময় স্বাস্থ্য দিবস পালিত হচ্ছে যখন বায়ু দূষণে বিশ্বে বাংলাদেশ আবারো শীর্ষস্থানে। 

বিশ্বব্যাংকের ২০২১ সালের রিপোর্ট উল্লেখ করে তারেক রহমান বলেন, বাংলাদেশের ৪৬ শতাংশ পরিবারে প্রয়োজনীয় পুষ্টিকর খাদ্যের পেছনে ব্যয় মেটানোর সক্ষমতা নেই। বর্তমানে দেশে খাদ্যদ্রব্যের দাম, অস্বাভাবিক হারে বেড়ে গেছে । ফলে এখন প্রয়োজনীয় পুষ্টিকর খাদ্যের পেছনে ব্যয় মেটানোর সক্ষমতা ৭০ পার্সেন্ট পরিবারের নেই। 

দেশে যখন  দুর্ভিক্ষ পরিস্থিতি বিরাজ করছে, তখন দেখা যায় ক্ষমতাসীন মাফিয়া চক্র রীতিমতো স্টেডিয়ামে আয়োজন করে গান বাজনা আর আমোদ ফুর্তিতে লিপ্ত। মানুষের প্রতি এমন অবহেলা, মানবতার প্রতি এমন নিষ্ঠুর তামাশা, একমাত্র আওয়ামী লীগকেই মানায়, বলেন তারেক রহমান।

তারেক রহমান অভিযোগ করে বলেন, দেশে জনগণের নির্বাচিত সরকার নেই  বলেই প্রতিটি ক্ষেত্রেই এমন বেহাল দশা। দেশের প্রতি সেক্টরের মতোই  হেলথ সেক্টরও দুর্নীতিতে  আকণ্ঠ নিমজ্জিত।  কোভিড সংকটকালে দেশের  স্বাস্থ্যখাতের প্রতিটি স্তরে অনিয়ম আর দুর্নীতির মাত্রা কোভিডের চেয়েও ভয়ঙ্কর রূপে  জনগণের সামনে ধরা পড়েছে।

নিউরো সায়েন্স হসপিটালে মেডিক্যাল সরঞ্জামাদি কেনায় দুর্নীতির চিত্র উল্লেখ করে তারেক রহমান বলেন, রোগীর ট্রিটমেন্টের কাজে  ব্যবহারের জন্য প্রয়োজনীয় সুঁই যার প্রতিটির বাজার মূল্য মাত্র ২৫০ টাকা অথচ প্রতিটি সুঁই কেনা হয়েছে ২৫ হাজার টাকায়। যেই সরকারের আমলে সুঁই কিনতেও দুর্নীতির আশ্রয় নিতে হয় এমন দুর্নীতিবাজদের হাতে বাংলাদেশ নিরাপদ নয়। 

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, দেশের প্রতি সেক্টরে দুর্নীতির এমন সর্বগ্রাসী থাবায় দুদকের ভূমিকা নির্বাচনের কমিশনের মতোই লজ্জাকর। তিনি প্রশ্ন করে বলেন, ২০১৯ সালেই নাকি দুদক হেলথ সেক্টরের দুর্নীতির ১১টি খাত চিহ্নিত করে দুর্নীতি বন্ধের জন্য  স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে ২৫ দফা সুপারিশ জমা দিয়েছিলো। প্রশ্ন হলো, দুদক যদি হেলথ সেক্টরে সুনির্দিষ্টভাবে দুর্নীতি চিহ্নিতই করতে পারে তাহলে ওই চিহ্নিত দুর্নীতির বিরুদ্ধে  ব্যবস্থা নিতে দুদকের বাধা কোথায়?

বাংলাদেশে স্বাস্থ্য সেবা ব্যবস্থার উন্নয়নে বিএনপি সরকারের বিভিন্ন মেয়াদের শাসনকালের উল্লেখ করতে তারেক রহমান বলেন, ২০০০ সালের মধ্যে ‘সবার জন্য স্বাস্থ্য’ জাতিসংঘ ঘোষিত এই স্বাস্থ্যনীতি স্বাধীনতার ঘোষকের নেতৃত্বে, বাংলাদেশে ১৯৭৮ সাল থেকেই বাস্তবায়নের কাজ শুরু হয়। শহরে কিংবা গ্রামে দেশের প্রতিটি নাগরিকের স্বাস্থসেবা  নিশ্চিতের লক্ষ্যে, অবকাঠামোগত উন্নয়নের পাশাপাশি প্রেসিডেন্ট জিয়া প্রতিষ্ঠা করেন ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ক্যান্সার রিসার্চ এন্ড হসপিটাল, আই-সি-ডি-ডি-আর-বি এবংনিপসম এর মতো আন্তর্জাতিক মানের চিকিৎসা ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান। 

তারেক রহমান বলেন, গ্রামীণ জনপদে মানুষের দোরগোড়ায়  চিকিৎসা সেবা পৌঁছে দিতে প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান  দেশে  ‘পল্লী চিকিৎসক ব্যবস্থা’চালু করেন। তার শাসনামলেই দেশের প্রতিটি ইউনিয়নে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ প্রতিষ্ঠার কাজ শুরু হয়। 

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, স্বাধীনতার ঘোষকের উদ্যোগে ১৯৭৯ সালের ৭ এপ্রিল থেকে  বাংলাদেশ প্রথমবারের মতো বিনামূল্যে শুরু হয়েছিল সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচি/ইপিআই, সকল শিশুর জন্য বাধ্যতামূলক করা হয়েছিল বিসিজি টিকা। তিনি বলেন, বিশ্বে কোভিড আতঙ্ক চলাকালে ২০২০ সালের আগস্ট মাসে, আন্তর্জাতিক চিকিৎসাবিজ্ঞান সাময়িকী ‘সেল রিপোর্টস মেডিসিন’ এ একটি ‘গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছিল। নেদারল্যাণ্ডস, অস্ট্রেলিয়া, ডেনমার্ক, গ্রিস এবং জার্মানির বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের ২৪ জন বিশেষজ্ঞের গবেষণা নিবন্ধে বলা হয়, ‘বিসিজি টিকা নেয়া ব্যক্তিদের করোনা-ভাইরাস জনিত অসুস্থতা কম থাকে’ । সুতরাং, এটি গর্বের সঙ্গেই বলা যায়, বিনামূল্যে বাধ্যতামূলকভাবে ‘বিসিজি টিকা’ দেয়ার ক্ষেত্রে  শহীদ জিয়ার সেই দূরদর্শী সিদ্ধান্তটির সুফল কোভিডকালে পেয়েছে বাংলাদেশ।

তারেক রহমান আরো বলেন, প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মতো বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বাধীন  প্রতিটি সরকারের আমলেও   ‘সবার জন্য স্বাস্থ্য’ কর্মসূচি বাস্তবায়নে সকল কার্যক্রম অব্যাহত ছিল এবং আরো বিকশিত হয়েছিল। বিএনপি সরকারের আমলেই  চিকিৎসকদের  চাকরিতে নিয়োগদানের  বয়সসীমা ৩০ বছর থেকে বাড়িয়ে ৩২ বছরে উন্নীত করা হয়েছিল। বাংলাদেশে নার্সিং পেশা চালু এর উন্নয়ন এবং বিকাশও বিভিন্ন মেয়াদে দেশ পরিচালনা করা বিএনপি সরকারেরই অবদান।

তিনি বলেন, ১৯৭৮ সালে বাংলাদেশে চালু হওয়া  ‘সবার জন্য স্বাস্থ্য’ কর্মসূচি থেকে  শুরু করে  ইপিআই, ইওসি, বিআইএনপি এবং আইএমসিআই পর্যন্ত যতগুলো  আন্তর্জাতিক জনস্বাস্থ্য নীতিমালা রয়েছে, প্রায় প্রত্যেকটিই  শহীদ জিয়া কিংবা বেগম খালেদা জিয়ার শাসনামলেই হয়েছে। নির্মিত হয়েছে আরো নতুন নতুন হাসপাতাল এবং চিকিৎসা গবেষণা প্রতিষ্ঠান।

তারেক রহমান বলেন, স্বাস্থ্য নিরাপত্তাসহ সকল ক্ষেত্রেই নাগরিকদের অধিকার রক্ষা এবং বাস্তবায়নে দরকার জনগণের সরকার। জনগণের সরকার গঠনের পূর্বশর্ত জনগণের ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ নিশ্চিত করা। গত একযুগ ধরে জনগণের ভোটাধিকার কুক্ষিগত  করে রেখেছে  নিশিরাতের সরকার।  জনগণের ভোটাধিকার আদায়ে আসুন রাজপথে শ্লোগান তুলতে হবে ‘হঠাও মাফিয়া-বাঁচাও দেশ, টেইক ব্যাক বাংলাদেশ’ বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, স্বাধীন বাংলাদেশের জনগণ  আজ যেন নিজ দেশেই পরাধীন।  মানুষ এখন শুধু  এখন নাগরিক স্বাধীনতা তথা গণতন্ত্র কিংবা বাক স্বাধীনতা থেকেই বঞ্চিত নন, স্বাস্থ্য নিরাপত্তা থেকেও বঞ্চিত। মানুষকে গুম-খুন-অপহরণ হামলা-মামলা নির্যাতন করে, ক্ষমতাসীন মাফিয়া চক্র নাগরিকদেরকে সকল গণতান্ত্রিক মৌলিক মানবাধিকার থেকে বঞ্চিত করে রাখা হয়েছে। 

তারেক রহমান বলেন, ‘স্বাধীনতার ঘোষকের নেতৃত্বে ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বরের পর থেকে সাম্য-মানবিক মর্যাদা এবংসামাজিক সুবিচার মুক্তিযুদ্ধের এই মূলমন্ত্রের আলোকে বাংলাদেশের শাসন-প্রশাসন যাত্রা শুরু হয়েছিল। এর পর থেকেই মূলতঃ জীবনের সকল ক্ষেত্রে মানুষ সত্যিকার অর্থেই মানুষ স্বাধীনতার স্বাদ পেতে শুরু করেছিল।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেন, শুধু স্বাস্থ্য ব্যবস্থাই নয়, অন্ন-বস্ত্র-বাসস্থান-শিক্ষা-নিরাপত্তা-চিকিৎসা  কিংবা নাগরিকদের বাক ও ব্যক্তি স্বাধীনতা নিশ্চিত করা, প্রতিটি ক্ষেত্রেই ঈর্ষণীয় সাফল্য অর্জন করেছিলেন স্বাধীনতার ঘোষক প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান এবং ‘মাদার অফ ডেমোক্রেসি’ বেগম খালেদা জিয়া। এ সাফল্যের কারণেই এ কারণেই ক্ষমতাসীন অপশক্তি  স্বাধীনতার ঘোষকের বিরুদ্ধে এতো ক্ষিপ্ত, মিথ্যাচারে লিপ্ত। অপরদিকে ক্ষমতাসীন অপশক্তির প্রতিহিংসার বেড়াজালে বন্দি দেশের জাতীয়তাবাদী শক্তির  ঐক্যের প্রতীক বেগম খালেদা জিয়া। সূত্র: (ওএনবি)

Sheikhsbay

Related Articles

Back to top button
Close
Close