বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলন: আশা-নিরাশার দোলাচল
এ সপ্তাহের সম্পাদকীয় ।। ইস্যু ২২২৬
জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় একগাদা এজেন্ডা নিয়ে শুরু হচ্ছে বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলন COP26। ৩১ অক্টোবর থেকে ১২ নভেম্বর স্কটল্যাণ্ডে অনুষ্ঠিত হচ্ছে বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলন। জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবেলায় বিপুল আশাবাদ সামনে নিয়ে এই আয়োজন হলেও পরিবেশ বিধ্বংসী বিপুল কার্বন উৎপাদনকারী দেশগুলোর সর্বগ্রাসী ভূমিকার কারণে এবারের সম্মেলনে নিরাশার এক আয়োজনে পরিণত হওয়ার আশংকা রয়েছে।
আমেরিকা আর চীনের বিপুল কার্বন উদগীরণ আর রাশিয়ার ও বিশ্বাসযোগ্য তথ্য উপস্থাপন জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষেত্রে বিশ্বের ঝুঁকি ক্রমান্বয়ে বাড়িয়ে চলেছে বাংলাদেশের সবচেয়ে বৃহৎ ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট সুন্দরবন ধ্বংস ধ্বংসের আয়োজন করে সেখানে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। তারপরও পরিবেশ রক্ষার মহান বাণী নিয়ে সম্মেলনে যোগ দিবেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী।
বিশ্ব জলবায়ু পরিবর্তনে জাতিসংঘের উদ্যোগ থেকে ডোনাল্ড ট্রাম্প মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে বের করে নিয়ে যাবার ফলে বিশ্ববাসীর সামনে ব্যাপক উদ্বেগের সঞ্চার হয়েছিল। প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সেখান থেকে বিশ্ববাসীর নতুন আশার সঞ্চার করবেন এই সম্মেলনে। তিনি ইতিমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রকে জলবায়ু সম্মেলনে ফিরিয়ে এনেছেন তার শপথ গ্রহণের প্রথম দিনেই। আর কিছু না হোক এই একটিমাত্র বিষয়ে এবারের জলবায়ু সম্মেলনের একটি বড় আকর্ষণ। বিশ্ববাসীকে জো বাইডেন কি আশার বাণী শোনাবেন এবং আগামী দিনের জলবায়ু পরিবর্তনে যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা কতটুকু হবে,তা জানা এই মুহূর্তে বিশ্ববাসীর জন্য খুবই জরুরী। কার্বন নিঃসরণ মোকাবেলায় যুক্তরাষ্ট্র এবং তার মিত্র দেশগুলো কতটুকু ভূমিকা রাখবে? মিত্র নয় এমন দেশ গুলোকে কতটুকু কূটনৈতিক চাপ চাপে রাখতে পারবে ইত্যাদি বিষয়গুলো এবারের সম্মেলনে সবচেয়ে বড় মনোযোগ আকর্ষণের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
সুতরাং COP 26 আশা-নিরাশার দোলাচল থেকে বিশ্ববাসীকে কার্বন নিঃসরণ এবং আগামী দিনের পরিবেশ বিধ্বংসী অবস্থা থেকে ফিরিয়ে মানুষের বাসযোগ্য পৃথিবীতে রূপান্তরের যে প্রত্যয় তা একসঙ্গে ঘোষণা করার মধ্যেই বিশ্ববাসী ন্যূনতম প্রাপ্তির অপেক্ষা করছে। যেকোনো অবস্থায় গ্লাসগোতে বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলন এর সাফল্য কামনা কামনা করছি। আর পরিবেশ বিধ্বংসী বিশ্ব নেতৃবৃন্দ তাদের নিজ নিজ দেশে পরিবেশ রক্ষার অঙ্গীকার বাস্তবায়ন করবেন, পরিবেশ চ্যালেঞ্জের মুখে থাকা বিশ্ববাসীর পাশাপাশি আমরা ও সেই আশাবাদ ব্যক্ত করতে চাই।