নিউজ

হানাদারমুক্ত আফগান

*সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা, সকলের অংশগ্রহণে সরকার চায় তালেবান
*হাউজ অব কমন্সে মার্কিন ও ব্রিটিশ সরকারের ভূমিকা নিয়ে এমপিদের তুমুল বিতর্ক
*কাবুলের এতো তাড়াতাড়ি পতন হবে তা তালেবানদেরও ধারণা ছিলো না: বরিস
*২০ হাজার আফগান শরণার্থীদের আশ্রয় দেবে বৃটেন

।। সুরমা প্রতিবেদন ।।
লণ্ডন, ২০ আগষ্ট : দীর্ঘ বিশ বছর পর আবার আফগানিস্তান দখলে নিয়েছে তালেবান। এর মধ্যদিয়ে বিদেশী হানাদার মুক্ত হলো আফগানিস্তান। ফের তালেবানের নিয়ন্ত্রণে যাওয়া আফগানিস্তানে শাসন ব্যবস্থা কেমন হবে? তা নিয়ে নানা প্রশ্নের উদ্রেক হলেও এবারকার তালেবানদের রক্তপাতহীন শান্ত আচার-আচরণ ভিন্ন ইঙ্গিতবহন করছে। রাজধানী কাবুল দখলে নেয়ার পর ‘আফগানিস্তান আর কোনো যুদ্ধক্ষেত্র নয়’ বলেও ঘোষণা দিয়েছে তারা।

আফগানিস্তানে অন‍্যায় যুদ্ধের দুই ক্রীড়নক
বুশ-ব্লেয়ার

গত ১৫ আগস্ট, রোববার প্রায় বিনা রক্তপাতে কাবুল করে তালেবান। কাবুল দখলের মাধ্যমে পুরো আফগানিস্তান তালেবানদের নিয়ন্ত্রণে চলে যায়। কাবুলে ঢোকার পর মার্কিন নেতৃত্বাধীন জোট সমর্থিত আফগান প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনি পালিয়ে যান। তালেবান নেতৃবৃন্দকে কোনো প্রতিবন্ধকতা ছাড়াই প্রেসিডেন্ট প্রাসাদে ঢুকতে দেখা যায়। দীর্ঘদিনের নেতিবাচক সংবাদ ও প্রপাগাণ্ডার কারণে হঠাৎ করে তালেবানের ফের আফগানিস্তান দখলে বিস্মিত হয়েছে বিশ্ব। তবে আফগান দখলের পরপরই প্রথম সংবাদ সম্মেলনে সবার প্রতি সাধারণ ক্ষমা ঘোষণাসহ দেশের জনগণ এবং বহির্বিশ্বের সাথে তালেবান নেতৃত্বের সুসম্পর্কের ইচ্ছার আভাস বিশ্ববাসী ইতিবাচক হিসেবে দেখছে।

সাপ্তাহিক সুরমার প্রিণ্ট ভার্সন

দীর্ঘ যুদ্ধে বিশ্বশক্তিধর মার্কিন, ব্রিটিশসহ সাম্রারাজ্যবাদী পরাশক্তি এবং আভ্যন্তরীণ শত্রুর বিরুদ্ধে কঠিন যুদ্ধ করতে হয়েছে তালেবানদের। এই রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের সূচনা হয়েছিলো বুশ-বেøয়ারের শাসনামলে। যুদ্ধবাজ হিসেবে খ্যাত এই দুই শক্তিধর শাসকের আমলেই শুরু হয়েছিলো ইরাক ও আফগানিস্তান যুদ্ধের মাধ্যমে বিশ্ব অশান্তির সূচনা। দীর্ঘদিন পরও ইরাকের ভাগ্য-ভবিষ্যতের কোনো সুরাহা হয়নি। কিন্তু দীর্ঘ ও অসম যুদ্ধের পাশাপাশি সফল কূটনৈতিক তৎপরতায় সম্প্রতি আফগানিস্তানকে বিদেশী শক্তির দখলমুক্ত করতে সক্ষম হয়েছে তালেবানরা। আর আফগানিস্তান ইস্যুতে আলোচনার ক্ষেত্র প্রস্তুত করে বিশ্বকূটনীতিতে সফলতার অন্যন্য নজির স্থাপন করলো বিশ্বের অন্যতম অর্থনৈতিক সমৃদ্ধ দেশ কাতার। কাতারে অবস্থারত তালেবান নেতৃত্বই আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সাথে সব বোঝাপড়া সম্পন্ন করে এই পরিবেশের সৃষ্টি করে।

সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের সৈন্য প্রত্যাহারে সম্মতি ও চুক্তি সম্পন্নের পর আফগান সরকার শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তরে সম্মত না হওয়ায় মাত্র সপ্তাহ দশকের মধ্যে জোরপূর্বক আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ নিলো তারা। একের পর এক বিভিন্ন শহর দখলের পর রোববার সকালে প্রায় বিনা বাধায় কাবুলে প্রবেশ করতে সক্ষম হয় তালেবান বাহিনী। এখন পুরো দেশ তাদের নিয়ন্ত্রণে। তালেবানের নিয়ন্ত্রণের যাবার পর আফগানিস্তান পরিস্থিতির কী হবে? শুরু থেকেই তা ভাবিত করছে পুরো বিশ্বকে। আফগানিস্তানে মার্কিন, ব্রিটিশদের পরাজয় এবং দীর্ঘ যুদ্ধে অসংখ্য সামরিক ও বেসামরিক মানুষ হত্যার দায় বিষয়ে কঠোর সমালোচনা হচ্ছে সর্বত্র। এহেন পরিস্থিতিতে সামারকালীন অবকাশে থাকা ব্রিটিশ পার্লামেন্টের জরুরী অধিবেশ ডাকা হয়। সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অবকাশে থাকা পার্লামেন্টে এসময়ে কোনো অধিবেশন হওয়ার কথা ছিলো না। কিন্তু বিরোধী দল এবং সরকারের নীতির সমালোচকদের প্রবল চাপের প্রেক্ষিতে সরকারের অনুরোধে পার্লামেন্ট অধিবেশন ‘রিকল’ করেন হাউজ অব কমন্সের স্পীকার স্যার লিণ্ডসি হোয়েল।

গত ১৮ আগস্ট, বুধবার সকালে আফগান ইস্যুতে ব্রিটিশ পার্লামেন্টের এই জরুরী অধিবেশন বসে। সকালে সাড়ে ৯টায় শুরু হয়ে অধিবেশনে যোগ দিয়ে সর্বদলীয় এমপি ও লর্ড সদস্যরা আফগানিস্তানে মার্কিন ও ব্রিটিশ সরকারের ভূমিকা বিষয়ে তুমুল বিতর্কে জড়ান। এমপি ও লর্ডদের সমালোচনার জবাবে প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, অধিবেশনের সূচনা করবেন। উক্ত অধিবেশন আলোচনায় অংশ নিতে অনেক লর্ড সদস্যরাও আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। ইতোমধ্যে ৯২ জনের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে যারা এবিষয়ে বিতর্কে অংশ নিতে চান।উল্লেখ্য, ১৯৪৮ সালের পর আফগান পরিস্থিতিতে ডাকা ব্রিটিশ পার্লামেন্টের এটা ৩৪তম কোনো জরুরী অধিবেশন। সম্প্রতি ডিউক অব এডিনবারা, রাণী দ্বিতীয় এলিজাবেথের স্বামী প্রিন্স ফিলিপের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে এপ্রিল মাসে সর্বশেষ কমন্সের অধিবেশন ডাকা হয়েছিলো। এছাড়া কোভিড নীতিমালা নিয়ে গত ২১ জানুয়ারীতে এবং ব্রেক্সিট প্রস্তাবনা আইনে পরিণত করতে ৩১ ডিসেম্বরের ডেডলাইনের ঠিক একদনি আগে পার্লামেন্ট অধিবেশন ডাকা হয়েছিলো।
আফগানিস্তান হলো একটি বিভ্রম মন্তব্য করে বরিস জনসন বলেন, আফগানিস্তানে আর নতুন সামরিক পদক্ষেপের জন্য কোনো দেশের আগ্রহ নেই। তিনি সবার সমালোচনার জবাবে বলেন, দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে যুক্তরাজ্য অপ্রস্তুত ছিল বা সে সম্পর্কে পূর্বাভাস দেয়নি বলাটা সত্য নয়। বরিস বলেন, আফগানিস্তানের সরকারের পতন তালেবানের ধারণার চেয়েও দ্রুত ঘটেছে। আর তাদের দখলের বিষয়টি যে বৃটেনের অজান্তে হয়েছে — সে বিষয়টিও তিনি অস্বীকার করেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, এটা অবশ্যই আমাদের পরিকল্পনার অংশ ছিল। তিনি বলেন, যুক্তরাজ্যের নাগরিকদের প্রত্যাহারের জন্য খুব কঠিন লজিস্টিক অপারেশন হিসেবে অনেক মাস ধরে প্রস্তুতি চলছে এবং আমি হাউসকে বলতে পারি যে বিমানবন্দরে জরুরী ব্যবস্থাপনা কেন্দ্র চালু করার সিদ্ধান্ত দুই সপ্তাহ আগেই হয়েছিলো। তিনি আরও বলেন যে, নতুন তালেবান শাসনকে কথায় নয়, তাদের ক্রিয়াকলাপের ভিত্তিতে বিচার করা হবে।

প্রধানমন্ত্রী তাঁর বক্তব্যে জানান, আফগানিস্তানে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বেসামরিক লোকসহ মোট ৬৫৬ ব্রিটিশ বাহিনীর কর্মী মারা গেছেন। এসময় তিনি জোর দিয়ে বলেন, আফগানিস্তানে ব্রিটিশ সৈন্যদের আত্মত্যাগ আমাদের জাতীয় চেতনার সাথে মিশে আসে এবং তা কখনও ভুলে যাবে না। তিনি আরো যোগ করেন যে, তারা আমাদের নিরাপত্তার জন্য তাদের সর্বস্ব দিয়েছে এবং আফগানিস্তানকে আবার সন্ত্রাসবাদের প্রজননস্থল হতে তাদের সর্বস্ব দিয়ে বাধা দেওয়ার জন্য আমরা তাদের কাছে ঋণী।
এমপিদের প্রধানমন্ত্রী বলেন, আফগানিস্তানে যারা তাদের মিশনকে সহায়তা করেছে যুক্তরাজ্য তাদের সহায়তার জন্য সবকিছু করবে এবং মানবিক সংকট এড়াতে আমাদের যা করা দরকার তার সবটুকু করবো।
তিনি বলেন, যুক্তরাজ্য সরকারের পুনর্বাসন কর্মসূচির অংশ হিসেবে ৬০৬ জন ব্রিটিশ নাগরিক এবং ২,০৫২ জন আফগান নাগরিকের নিরাপদ প্রত্যাবর্তন নিশ্চিত করেছে, আরও ২,০০০ আফগানের আবেদন সম্পন্ন হয়েছে এবং আরও অনেকের বিষয় প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
তিনি আরো জানান, পুনর্বাসন পরিকল্পনার অংশ হিসাবে আগামী বছরগুলিতে ২০,০০০ আফগান শরাণার্থীদের গ্রহণ করবে বৃটেন।
লেবার লিডার স্যার কিয়ার স্টারমার বিতর্কে অংশ নিয়ে বলেন, আমরা আজ যে বিষয়ে বিতর্কে অংশ নিয়েছি সে বিষয়ে আমাদের সরকারের ব্যর্থতা ছিল, এটি ক্ষমার অযোগ্য এবং প্রধানমন্ত্রীর উপর ভার বর্তায়।
তিনি ফরেন সেক্রেটারি ডোমিনিক রাবের হলিডেতে থাকার সমালোচনা করে বলেন, আফগানিস্তানে আমাদের মিশন ভেঙে যাওয়ার মুহূর্তে তিনি ছুটিতে ছিলেন। তিনি ফরেন সেক্রেটারির উদ্দেশ্য করে বলেন, আপনি সৈকত থেকে একটি আন্তর্জাতিক বিষয়ের সমন্বয় করতে পারবেন না।
ওয়েস্টমিনিস্টারের এসএনপি নেতা ইয়ান বø্যাকফোর্ড বলেন, এক্ষেত্রে মি. রাবের কোনো মর্যাদা নেই। কারণ আফগানিস্তানের সঙ্কট ছড়িয়ে পড়ায় সময় তিনি রোদ পোহাচ্ছিলেন।
এসময় ব্যাকবেঞ্চ এমপিরা ব্রিটিশ সরকার এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন উভয়েরই সমালোচনা তুমুল সমালোচনা করেন।
তারা বলতে থাকেন যে, আমাদের বুদ্ধিমত্তা কি সত্যিই এত দরিদ্র ছিল? আফগান সরকার সম্পর্কে আমাদের বোঝাপড়া কি এতই দুর্বল ছিল? আমাদের অবস্থান সম্পর্কে আমাদের জ্ঞান কি এতই অপ্রতুল ছিল? নাকি আমরা সত্যিই এটা বিশ্বাস করেছিলাম?

সকলের অংশগ্রহণে সরকার চায় তালেবান:
আফগানিস্তানে সবার অংশগ্রহণে নতুন সরকার গঠন হতে যাচ্ছে বলে ইঙ্গিত দিয়েছে তালেবান। রোববার তালেবানের হাতে কাবুলের পতন হওয়ার পর নতুন শাসন কেমন হবে তা নিয়ে জল্পনা-কল্পনা চলছে বিশ্বজুড়ে। তবে তালেবান জানিয়েছে, তারা আফগানিস্তানে অংশগ্রহণমূলক সরকার গঠন করতে চায়। অর্থাৎ তালেবান নন, এমন রাজনৈতিক নেতাদেরকেও এই সরকারে ঠাঁই দেয়া হবে। তালেবানরা দেশ দখল করেছে দু’দিন হলো। কিন্তু এখনো সরকার গঠন না হওয়ার নেপথ্য কারণ হলো এটা। এমনকি এই সরকারে নারীদের জন্যও জায়গা থাকবে বলে জানিয়েছে সংগঠনটি। তালেবান সরকারে অংশগ্রহণের জন্য তারা নারীদের আহŸান জানাচ্ছেন।
তালেবানের শীর্ষ কোনো নেতার পক্ষ থেকে সরকার গঠনের ইঙ্গিত দিয়ে প্রথমবারের মতো এমন মন্ত করা হলো — যেখানে নারীদের অংশগ্রহণের কথাও বলা হয়েছে। তালেবানের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ইসলামিক আমিরাত চায় না যে, নারীরা ক্ষতিগ্রস্ত হোক। শরীয়া আইন অনুযায়ী, সরকারী কাঠামোতে তাদের অংশগ্রহণ থাকা উচিত।
এদিকে আফগানিস্তানে আলোচনার মাধ্যমে একটি নতুন সরকার গঠনের জন্য আহবান জানিয়েছে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ। গত সোমবার সংস্থাটির এক বৈঠক থেকে এ আহবান জানানো হয়। সম্ভাব্য নতুন সরকার যেন অন্তর্ভূক্তিমূলক হয় এবং সেখানে যেন নারীদের সমান ও অর্থবহ অংশগ্রহণ থাকে সে বিষয়টিও নিশ্চিত করার আহবান জানিয়েছে নিরাপত্তা পরিষদ। বৈঠকে আফগানিস্তানে অবিলম্বে সব ধরনের সহিংসতা এবং মানবাধিকার লঙ্ঘন বন্ধের আহবান জানানো হয়।

সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা তালেবানের:
সব সরকারি কর্মকর্তার জন্য সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করেছে তালেবানরা। একই সঙ্গে তাদেরকে কাজে ফেরার আহŸান জানিয়েছে তারা। সারা দেশ নিজেদের আয়ত্তে আনার পর রাজধানী কাবুল দখল করে তারা দু’দিন আগে। কিন্তু এ সময়ে তাদেরকে দেখা গেছে, আগের চেয়ে ভিন্ন ভূমিকায়। এখন পর্যন্ত রাজধানীতে তাদের বিরুদ্ধে কোনো নৃশংসতার খবর পাওয়া যায়নি। এরই মধ্যে আলোচনা শুরু হয়েছে যে, তালেবানরা তাদের কৌশল পরিবর্তন করেছে। তারা আগের চেয়ে উদারতা নিয়ে সম্ভবত সামনে চলার চেষ্টা করছে। কাতারের রাজধানী দোহা’য় যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট্রাল কমাণ্ডার প্রধান মুখোমুখি আলোচনা করেছেন তালেবান মুখপাত্র সুহেইলের সঙ্গে। এরই মধ্যে বিভিন্ন দেশ তালেবানদের দেশ দখল নিয়ে যে প্রতিক্রিয়া দিয়েছে, তাতে তাদেরকে মেনে নেয়ার এক প্রচ্ছন্ন আভাস রয়েছে। এ জন্য তালেবানদের গণতান্ত্রিক হতে হবে। এ জন্যই তারা সরকারি কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করেছে। তালেবানরা এক বিবৃতিতে বলেছে, সবার জন্যই সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করা হয়েছে। সুতরাং পূর্ণ আস্থা নিয়ে আপনার প্রাত্যহিক রুটিন জীবন শুরু করা উচিত।

২০ হাজার আফগানকে স্বাগত জানাবে যুক্তরাজ্য:
আফগানিস্তানে তালেবান সরকার গঠন করার পর ২০ হাজার আফগান শরণার্থীকে আশ্রয় দেবে যুক্তরাজ্য। মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন হাউজ অব কমন্সে আফগান ইস্যুতে ডাকা জরুরী অধিবেশনের বক্তব্যে তিনি এমনটি জানিয়েছেন।
এছাড়া হোম অফিস ইতোমধ্যে জানিয়েছে যে, আগামী বছরগুলোতে প্রায় ২০ হাজার আফগান নাগরিককে বৃটেনে বসবাসের অনুমতি দেওয়া হবে।
প্রথম বছর ৫ হাজার শরণার্থী বৃটেনে স্থায়ী হওয়ার সুযোগ পাবেন। এছাড়া ৫ হাজার আফগান দোভাষী ও যুক্তরাজ্যের হয়ে কাজ করা কর্মীদেরও বসবাসের অনুমতি দেওয়া হবে। সরকারের পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়েছে যে, নতুন প্রকল্পের আওতায় নারী, শিশু ও যাদের বেশী প্রয়োজন তাদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। তবে তালেবানের অধীনে মানবাধিকার লঙ্ঘনে সবচেয়ে ঝুঁকিতে থাকা আফগানরাই নতুন পুনর্বাসন প্রকল্পের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকবেন।
এদিকে, মঙ্গলবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে আফগানিস্তানের পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলেছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।

Sheikhsbay

Related Articles

Back to top button
Close
Close