নিউজ

সরকারের ফার্লো স্কিম এবং ছোট ব্যবসায় সহায়তা প্রকল্প

সুরমা সম্পাদকীয় ।। ইস‍্যু ২১৫৫
কভিড-১৯ এর প্রেক্ষিতে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ব্যক্তিদের জন্য বৃটিশ সরকার ফার্লো স্কিম চালু করেছে। ফার্লো কথাটার অর্থ হচ্ছে সাময়িক ভাবে কাজ থেকে অব্যাহতি। এ স্কিমের আওতায় যারা কাজে যাবেন না তাদের চাকরি বজায় থাকবে এবং ফার্লোর সময়সীমা শেষ হলে কর্মচারীরা কাজে যোগ দিতে পারবেন।
কোভিড-১৯ এর আক্রমণ সারা বিশ্বের মতো বৃটেনের কর্মরত জনশক্তিকে বিপর্যয়ের মুখে ফেলেছে। ছোট ও মাঝারি ব্যবসায়ীরা নিজেদের ব্যবসা রক্ষা করতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন। যাদের বাড়িতে বসে কাজ করার সুযোগ-সুবিধা রয়েছে তারা বাড়িতে বসেই অফিসের কাজ করতে পারছেন। এর বাইরে রয়েছেন হাজার হাজার মানুষ যাদের বাড়িতে বসে কাজ করার সুযোগ নেই। তাদের জন্য কাজ না করেও বেতনের সিংহভাগ পাওয়ার সুযোগ করে দিয়েছে সরকারী ফার্লো স্কিম। এতে বলা হয়েছে, ফার্লোভূক্ত কর্মচারীদের ৮০ শতাংশ অর্থ সর্বোচ্চ ২ হাজার ৫শ পাউ- ট্রেজারী থেকে প্রদান করা হবে। এ স্কিমের আওতায় সরকার ৮ দশমিক ৪ মিলিয়ন কর্মচারীকে ১৫ বিলিয়ন পাউ- প্রদান করবে। স্কিমটি ১ জুন বন্ধ হওয়ার কথা থাকলেও এর সময়সীমা অক্টোবরের শেষদিন পর্যন্ত বর্ধিত করা হয়েছে।
এইচএমআরসি প্রদত্ত তথ্য মতে বাঙালি পাড়ায় প্রায় ৪০ হাজারের মতো কর্মচারী ফার্লো স্কিমের আওতায় রয়েছেন। এর মধ্যে পপলার ও লাইম হাউস এলাকায় রয়েছেন ১৯ হাজার ৮ শ এবং বেথনাল গ্রিন ও বো এলাকায় রয়েছেন ১৭ হাজার ৫ শ। পপলার ও লাইম হাউস এমপি আপসানা বেগম এবং বেথনাল গ্রিন ও বো এমপি রুশনারা আলী কভিড-১৯ এর আক্রমণে বিপর্যস্ত কর্মচারীদের ফার্লো স্কিমে সহায়তা বন্ধ না করে আরো কিছুদিন অব্যাহত রাখার দাবি জানিয়েছেন। করোনার প্রকোপ কমে এলেও আক্রমণ অব্যাহত রয়েছে এবং কর্মচারীদের জীবনের নিরাপত্তা ও তাদের পরিবার-পরিজনকে বির্যয়ের হাত থেকে রক্ষার প্রয়োজনকে অগ্রাধিকার দিতে হবে।
পপলার ও লাইম হাউস এমপি আপসানা বেগম আরো বলেছেন, যারা ফ্রিল্যানস কাজ করেন, যারা নতুন কাজে যোগ দিয়েছেন এবং যাদের ব্যবসা রেইট-রেজিস্টার্ড নয় তারা সরকারী নিয়মনীতির ফাঁকে পড়ে সরকার ঘোষিত আর্থিক সহায়তা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। কভিড-১৯ এর কারণে যারা খোলাবাজারে ব্যবসা করেন তারা নিদারুন অর্থনৈতিক সংকটে রয়েছেন এবং তাদের মধ্যে এথনিক-মাইনোরিটি সম্প্রদায় সবচেয়ে বেশি বিপদগ্রস্থ। সুবিধা বঞ্চিতদের দাবি সামনে নিয়ে আসার জন্য আমরা আপসানা বেগম এমপিকে ধন্যবাদ জানাই।
সারাদেশে খোলা বাজারের ব্যবসায়ী এবং ছোট ব্যবসায়ীদের সংখ্যা কম নয়। ছোট-বড় সকল শহরেই তাদের দেখা যায়। বিপুল সংখ্যক ব্যবসায়ী নানা সঙ্গত কারণে রেইট-রেজিস্টার্ড নয়। অনেকে ডিসেম্বর ২০১৯ এর পর ব্যবসা শুরু করেছেন। অসংখ্য মানুষ এ দেশে ফ্রিল্যান্স কাজ করেন। সরকার ঘোষিত নিয়মের কারণে ‘কভিড-১৯ আর্থিক সহায়তা’ থেকে তারা সবাই বঞ্চিত রয়েছেন। বৈশ্বিক মহামারীতে তাদের ক্ষতির পরিমান উপেক্ষা করা যায় না। তাদের জন্যেও সরকারী সহায়তা প্রসারিত করা ন্যায় বিচারের দাবি। সহায়তা বঞ্চিতদের প্রয়োজনকে বিবেচনার জন্যে আমরা সরকারের প্রতি জোর দাবি জানাচ্ছি।

Sheikhsbay

Related Articles

Back to top button
Close
Close