![](http://www.surmanews.com/wp-content/uploads/2023/11/Screenshot_20231121-173942_WhatsApp-780x470.jpg)
সুরমা ডেস্ক।। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি অটোয়া শাখার উদ্যোগে যথাযোগ্য মর্যাদায় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উৎযাপন করা হয়।
অটোয়ার সেইন্ট লরেন্ট কমপ্লেক্সে আয়োজিত আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে অটোয়া বিএনপির সমন্বয়ক মো: মঞ্জুর মোরশেদের সভাপতিত্বে এবং সহ:সমন্বয়ক এস এম হুমায়ুন পাটওয়ারীর পরিচালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ সরকারের সাবেক রাষ্ট্রদূত ও অটোয়া বিএনপির উপদেষ্টা আশরাফ উদ্দিন। বিশেষ অতিথি ছিলেন কবিতা নূর ও মিজানুর রহমান, ইঞ্জিনিয়ার হাফিজুর রহমান লিটন ও ইউছুপ হারুন। বিশেষ বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন
সৈয়দ আনোয়ার হোসেন।
কোরআন তেলাওয়াত, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের রুহের মাগফিরাত ও বেগম খালেদা জিয়ার সূস্থ্যতার জন্য বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।
বাংলাদেশ-কানাডার জাতীয় সংগীত ও বিএনপির দলীয় সংগীত পরিবেশনের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু হয়। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন এস এম হুমায়ুন পাটওয়ারী। এছাড়াও সভায় বক্তব্য রাখেন সহ:সমন্বয়ক ইঞ্জিনিয়ার হাফিজুর রহমান লিটন, উপদেষ্ঠা জুলফিকার রহমান ফুলু, মোঃ আনোয়ার হোসেন, রফিকুল ইসলাম, আহমেদুল কবির পলাশ, মজিবুল হক প্রমূখ।
প্রধান অতিথির ভাষনে আশরাফ উদ্দিন বলেন, বিপ্লব ও সংহতি দিবসের মাধ্যমে বাংলাদেশের ক্ষমতা গ্রহণ করে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের গোড়াপত্তন করেন। বাংলাদেশে বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা, সার্ক গঠন, ওআইসিতে ভূমিকার মাধ্যমে বৈদেশিক সম্পর্কের উন্নয়নে তার অবদান জাতি চিরদিন স্মরণ রাখবে। বিপ্লবী চেতনা বুকে ধারণ করে বর্তমান ফ্যাসিষ্ট সরকারের পতন ঘটিয়ে মানুষের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
বিশেষ অতিথি কবিতা নূর তার বক্তব্যে গ্রাম সরকার প্রবর্তনের বিষয়টি তুলে ধরেন। তিনি অটোয়া বিএনপি’র অতীত কার্যক্রমে সাবেক সভাপতি ফারুক আনোয়ার মিন্টুর অবদান শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন।
![](http://www.surmanews.com/wp-content/uploads/2023/11/Screenshot_20231121-174046_WhatsApp.jpg)
![](http://www.surmanews.com/wp-content/uploads/2023/11/Screenshot_20231121-174011_WhatsApp.jpg)
এস এম হুমায়ুন পাটওয়ারী বলেন, ১৯৭৫ এর ৭ নভেম্বর বিপ্লব ও সংহতি দিবস ব্যর্থ হলে বিএনপির জন্ম হতোনা, আর বিএনপির জন্ম না হলে বাংলাদেশের ইতিহাস ভিন্নভাবে লেখা হত। বাংলাদেশের প্রথম মক্তিযোদ্ধা ও প্রথম রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের দূরদর্শি নেতৃত্বে বাংলাদেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন, বহুদলীয় গণতন্ত্র ও বাক-স্বাধিনতা প্রতিষ্ঠা, বিদেশে জনশক্তি রপ্তানী ও গার্মেন্টস শিল্প প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে বেকারত্ব হ্রাস, সাম্য, ন্যয়বিচার ও ইসলামী মূল্যবোধের ভিত্তিতে বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ প্রতিষ্ঠা করে একটি মর্যাদাশীল দেশ গঠন করেন। কিন্তু গত ১৭ বছরে অনির্বাচিত ও ফ্যাসিষ্ট সরকার সকল প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করে বাংলাদেশকে ভারতের করদরাজ্যে পরিণত করে ।
বিশেষ বক্তা সৈয়দ আনোয়ার হোসেন বলেন, আওয়ামীলীগের ইতিহাসে সূষ্ঠ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের রেকর্ড নেই। ১৯৭৩ সনের নির্বাচনে হেলিকপ্টারে ব্যালটবাক্স ঢাকায় এনে তাদের প্রার্থীকে বিজয়ী ঘোষনা করে। অবৈধ সরকারের পাঁতানো নির্বাচন প্রতিহত করতে না পারলে বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব থাকবেনা।
সভাপতির বক্তব্যে মো: মঞ্জুর মোরশেদ বলেন, সিপাহী-জনতা ঐক্যবদ্ধ হয়ে আন্দোলন করে ফ্যাসিবাদী আওয়ামীলীগ সরকারের পতন ঘটাতে হবে। যার যাকিছু আছে তা নিয়ে ঝাপিয়ে পড়তে হবে।