মন্তব্য প্রতিবেদন- টাকা ছাপানোর অর্থনীতি ও তার ভয়াবহতা!

সুরমা ডেস্ক।। একটা সময় ছিল, বাজেটের পরের দিন পত্রিকার পাতা খুলে হিসেব করা হতো-কোন আইটেমের কর বৃদ্ধি করা হয়েছে।সেই অনুসারে সকলে তাদের খরচ এডজাস্ট করতেন। জার্মান প্রবাসী বিশিষ্ট অর্থনীতি বিশ্লেষক ও গবেষক জিয়া হাসান তাঁর ভেরিফাইড ফেসবুক পেইজে বাংলাদেশের আসন্ন বাজেট (২০২৩-২৪) নিয়ে সম্ভাব্য মুদ্রাস্ফীতি নিয়ে বিশ্লেষণ তুলে ধরেছেন।
প্রসঙ্গক্রমে তিনি বলছেন, (বিষয়গুলো আগের মতো নেই) এখন বিষয়টা আলাদা। এখন সুনির্দিষ্ট পণ্য ও সেবার উপরে ভ্যাট ও ট্যাক্সের বৃদ্ধি রয়েছেই কিন্তু, এইটাই মানুষের পকেট কাটার প্রধান উপলক্ষ্য নয়। সরকার তার সর্বগ্রাসী ক্ষুধা মেটাতে যে টাকা ছাপাচ্ছে তার পরিণতিতে সকল পন্য ও সেবার মুল্য বৃদ্ধি পাবে।
চলতি বছরের (২০২২-২৩) ৬ দশমিক ৬ লক্ষ কোটি টাকা বাজেটের ঘাটতি মেটাতে সরকার মার্চ পর্যন্ত ৭০ হাজার কোটি টাকা ছাপিয়েছে এবং অর্থবছরের শেষ পর্যন্ত এই টাকা ছাপানোর পরিমাণ হিসেব মতে ১ লাখ ৩০হাজার কোটি টাকা পর্যন্ত যেতে পারে।
আগামী বছরে ৭ দশমিক ৬ লাখ কোটি টাকা বাজেট মেটাতে সরকার যাই বলুক এই টাকা ছাপানোর পরিমাণ ২ লাখ কোটি টাকার উপরে যাবে।
এই বছরের ঘাটতি মেটাতে ছাপানো প্রায় ১ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা, ৪ দশমিক ২ গুণ বৃদ্ধি পেয়ে প্রায় ৫দশমিক ৫০ লাখ কোটি টাকার অর্থপ্রবাহ বৃদ্ধি পাবে।
ফলে, সরকারের এই অশ্লীল পরিমাণ ৭ দশমিক ৬৪ লাখ কোটি টাকা বাজেটেরএই খাই খাই খরচ মেটাতে এক দিকে কর, ভ্যাটের চাপ ও অন্যদিকে টাকা ছাপানোর ফলে সকল পণ্যের খরচ বৃদ্ধি পাবে।
ফলে আলাদা করে, কোন পণ্য ও সেবার উপরে কর বৃদ্ধি হয়েছে তা নয় বরং টাকা ছাপানোর কারণে, প্রতিটা পণ্যেরই মূল্যস্ফীতি হবে। এইটাই বাংলাদেশের জন্যে “২০২৪ এর বাজেটের সারমর্ম।”