।। সুরমা প্রতিবেদন।।লন্ডন, ৩ নভেম্বর; চাঁদপুরে সলিমুল্লাহ লাবলু নামে স্থানীয় বিএনপির একজন নেতা গুপ্ত হত্যার শিকার হয়েছেন। সরকার পতন আন্দোলন সারাদেশে ছড়িয়ে পড়ার পর এই প্রথম এই ধরণের খুনের ঘটনা ঘটলো।
খুনের শিকার সলিমুল্লাহ লাবলু চাঁদপুরের মতলব (উত্তর) উপজেলার ১১ নম্বর পশ্চিম ফতেপুর ইউনিয়নের বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক। মঙ্গলবার রাতে বাড়ি ফেরার পথে সন্ত্রাসী হামলায় খুন হয়েছেন বলে জানা গেছে। তাঁর শরীরের বিভিন্ন অংশে মারাত্মক আঘাতের চিহ্ন দেখা গেছে। পুলিশ লাশ উদ্ধার করেছে।
এরিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কোনো মামলা বা কাউকে গ্রেফতারের খবর পাওয়া যায়নি। এদিকে বৃহস্পতিবার লাবলুর জানাজা ও দাফনে কয়েক হাজার শোকার্ত মানুষ যোগ দেন।
স্থানীয় বিএনপি এই হত্যাকাণ্ডের জন্য সরাসরি আওয়ামী লীগকে দায়ী করে বলেছেন, আন্দোলনে ভীতি সঞ্চার করতেই এই খুনের ঘটনা ঘটানো হয়েছে। কিন্তু জনগণ চলমান আন্দোলনকে আরো বেগবান করে এই সরকারের পতন ঘটিয়ে লাবলু হত্যার প্রতিশোধ নেবে।
জানা গেছে, গত ২৮ নভেম্বর মতলব উত্তর যুবদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগ কর্মীরা দফায় দফায় হামলা চালায়। হামলাকারীদের সাথে বিএনপি ও যুবদলের নেতা কর্মীদের বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষ ও হাঙ্গামার মধ্যেও যুবদলের নেতাকর্মীরা অনুষ্ঠান সফল করতে সক্ষম হয়। সন্ত্রাসী হামলা উপেক্ষা করে হাজার হাজার নেতাকর্মী যুবদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে যোগ দেয়। সরকারী দলের কর্মীদের দফায় দফায় হামলার সময় সলিমুল্লাহ লাভলু দু:সাহসী প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। তাঁর বীরোচিত ভূমিকার কারণেই সন্ত্রাসীরা পিছু হটতে বাধ্য হয়।
চাঁদপুরের মতলব (উত্তর) আসনে বিএনপির প্রার্থী ও জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ড.মোহাম্মদ জালাল উদ্দিন এবং স্থানীয় বিএনপি নেতৃবৃন্দ পৃথক বিবৃতিতে লাবলু হত্যাকাণ্ডের জন্য আওয়ামী লীগকে দায়ী করেছেন। তাঁরা বলেন, মরহুম সলিমুল্লাহ লাভলু দলের একজন ত্যাগী ও নির্ভীক নেতা ছিলেন।পরপর দুইবার ওই ইউনিয়নে বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। দলের প্রতি আনুগত্য ও সাহসী ভূমিকার কারণেই হয়তো তাঁকে জীবন দিতে হলো বলে তাঁরা বিবৃতিতে আশন্কা প্রকাশ করেন।